এভাবেও লক্ষ্মী পূজা হয়, আমরা জানি লক্ষ্মীর বাহন পেঁচা এখানে কোন পেঁচা নয় একেবারে স্বয়ং গজরাজ, এক-দুই-তিন…এভাবে কেটে গিয়েছে ১২৫ টি বছর।
আর ঐ সময়কালের আগে গজরাজের আক্রমণের হাত থেকে জমির ফসল বাঁচাতে গঙ্গাজলঘাটির জঙ্গল লাগোয়া রামকানালী গ্রামে কোজাগরী লক্ষী পুজোর দিন শুরু হয়েছিল ‘গজ লক্ষী’র পুজো। সেকারণেই এখানে চিরাচরিত পেঁচা থাকলেও দেবী লক্ষী গজরাজ অর্থাৎ হাতির পিঠে উপবিষ্টা। জঙ্গল লাগোয়া কৃষি প্রধান এই গ্রামে প্রায়শই ঢুকে পড়ে হাতির দল। জমির ফসল বাঁচাতে হিমশিম অবস্থা ঐ গ্রামের মানুষের। ১২৫ বছর আগে দেবী লক্ষী ও হাতিকে একই সঙ্গে তুষ্ট করতে ‘গজ লক্ষী’র আরাধণা শুরু। বর্তমানে স্থায়ী মন্দির নির্মাণ করে এই পূজো হচ্ছে বলে গ্রামের মানুষ জানিয়েছেন।
এই এলাকা মূলতঃ কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু ঐ চাষের জমিতে হাতির উপদ্রব বরাবর। তবে মাঠে ধান পাকার মরশুমে হাতিদের উপদ্রব বেশী দেখা যায়। সেকারণেই গজরাজের আক্রমণ থেকে ফসল বাঁচাতে গজ লক্ষীর পুজা। প্রতিদিন নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বিসর্জনে সিঁদুর খেলার রীতিও চালু আছে এই গ্রামে।
বাইট:
1) দিলীপ শীট (গ্রামবাসী)
2) অনুপমা শীট (গ্রামবাসী)
3) শিউলী শীট (গ্রামবাসী)
Leave a Reply