নদী পারাপার বন্ধকরতে রাতের অন্ধকারে নৌকা গায়েব দুস্কৃতীদের।

কুমারগ্রাম ব্লকের পশ্চিম চ্যাংমারিতে রায়ডাক নদীর বালিপাথর খনন বন্ধে গ্রামের মহিলারা গত কয়েক মাস ধরে বিক্ষোভ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন । এতেই রীতিমতো বিপাকে পড়েছে বালিপাথর খননকারীরা । নদী পেরিয়ে এপারে এসে মহিলারা যাতে খননের কাজে বাধা দিতে না পারে সেজন্য রাতের অন্ধকারে কাঞ্ছিবাজার খেয়াঘাটের নৌকা ভাসিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা । খেয়াঘাটে বেঁধে রাখা নৌকা না দেখতে পেয়ে সকাল সকাল ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় পশ্চিম চ্যাংমারি এলাকায়। মাঝি অসিত দাস বলেন, ঘাটে নৌকা নেই দেখে মালিককে ফোনে ঘটনার কথা জানাই। পাশের গ্রাম হেমাগুড়ি এলাকায় রায়ডাক নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে স্থানীয় মৎস্যজীবীরা ডুবিয়ে রাখা নৌকার খোঁজ পান। পরে আমরা গিয়ে নৌকা উদ্ধার করে নিয়ে আসি। এনিয়ে খেয়াঘাটের ইজারাদার সাবলু দাস তিনি জানান আমার নৌকা এই নৌকাতে গ্রামের মহিলারা টাকা দিয়ে নদী পার পার হয়ে আন্দোলন করতে যাচ্ছিল আমাকে কেউ হুমকি না করলেও আমি বুঝতে পারছি আমার উপর প্রতিহিংসা হচ্ছে। চ্যাংমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুমিতা ঈশ্বরারি তিনি জানান কেন এমনটা হয়েছে আমরা কে করেছে সবদিক খতিয়ে দেখছি এবং প্রশাসনকে এর ব্যবস্থা নেওয়ার কোথাও বলা হয়েছে। এই বিষয়ে গ্রামবাসী শৃঙ্খলা মোচারি তিনি সরাসরি অবৈধ বালি পাথর খননকারী দুষ্কৃতীদের দিকেই আঙ্গুল তুললেন, তারা জানান গত তিন মাস ধরে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন গতকাল সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। কিন্তু হঠাৎ করে রাতের অন্ধকারে নদী পারাপারের একমাত্র ভরসা নৌকা সেই নৌকাটি বাধা ছিল ঘাটে। রাতের অন্ধকারে খুলে দেয়া হয় সেই নৌকা ভেসে ভেসে চলে যায় অন্যত্র এবং সেখানে নৌকাটিকে জলে ডুবিয়ে রাখা হয়। আজ সকালে নৌকা চুরির ঘটনায় এলাকায় চারদিকে জানাজানি হতেই সন্ধান পাওয়া যায় নৌকার। তাই তারা এক প্রকার দুষ্কৃতীদের দিকেই আঙ্গুল তুললেন। কারণ এটাও হতে পারে তাদের আন্দোলনকে দেবানোর জন্যই এই কারসাজি।
সংবাদ দাতা-নিমাই চাঁদ, কুমারগ্রাম,আলিপুরদুয়ার।
Leave a Reply