ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের লেখা
জল পড়ে পাতা নড়ে,
পাগলা হাতি মাথা নাড়ে।
কিন্ত বাঁকুড়ার বড়জোড়ার দক্ষিণ সরাগাড়া গ্রামে
জল পড়ে পাতা নড়ে,
চেন বাঁধা হাতি মাথা নাড়ে।

আম প্রেমে হাতি। এখন আমের মরসুম । রাজ্য জুড়ে ল্যাংড়া, ফজলি, গোপালভোগ, , হিমসাগর, মোহনভোগ, লক্ষ্মণভোগ বাহারি মরসুম । কিছু দিন বাদে উঠবে ফজলি আম । আম প্রিয় বাংলা।আম প্রিয় বাংলার মানুষ। আম ডালোবাসে পশুরাও । বাঁকুড়া (উত্তর) বনবিভাগের বড়জোড়া রেঞ্জের সংগ্রামপুর বীট এর দক্ষিণ সরাগাড়া গ্রামে তিনের মাইল জঙ্গল থেকে একটি দাঁতাল হাতি প্রতিদিন বিকালে এসে নিয়ম করে আম ভক্ষণ করে যাচ্ছে ।
দক্ষিণ সরাগাড়া গ্রামের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ কুন্ডু , সুশান্ত দে , দীনবন্ধু কুন্ডু বলেন বেশ কিছুদিন বিকাল হলেই ‘চেন বাঁধা ‘ হাতিটা রোজ বিকাল বেলায় চলে আসে আম খেতে আমাদের গ্রামে । গোটা সাতেক আম গাছ আছে আমতলায় ।

দক্ষিণ সরাগাড়া গ্রামের নারায়ণ চন্দ্র কুন্ডু বলেন হাতি চারটে আছে । এই হাতি গুলো দলছুট হাতি দলের সাথে যেতে যেতে মেদিনীপুর বিষ্ণুপুর থেকে ঘুরে চলে এসেছে । ঝরে এখন আম পাকার সিজিন । আমাদের এখানে শ্যামপুর, ডকাইসিনী বাগান আছে । আম কাঁঠাল বাগান খেতে পেলে সরতে চাইছে না। চাষাবাদ বন্ধ হয়ে গেছে একরকম ধান চাষ । হাতির উপদ্রব এ পা দিয়ে থেঁতলে শুঁড়ে খেয়ে নষ্ট করে দেয় ।এখন হাতি আম খাচ্ছে। আমতলায় আসবে । গ্রামে আসবে ।

সংগ্রামপুর বীট অফিসার জয়ন্ত কুমার ঘোষ বলেন খাবার না পেয়ে আম প্রিয় হয়ে গেছে হাতিটি। একটা হাতি এক দিনে প্রায় এক কুইনট্যাল খেতে পারে খাবার। হাতি মিষ্টি পাকা আম ছাড়া খায় না । টক আম না পসনদ । রাতে ঝড় বৃষ্টিতে আম টুপ টাপ পড়ছে আর খাচ্ছে।
মঙ্গলবার রাতে চারটি হাতি দক্ষিণ সরাগাড়ায় আছে । বাজ পড়ছে বৃষ্টি হচ্ছে হূলা টিমের সদস্যরা হাতি গুলিকে নজরে রেখেছি। যাতে গ্রামে না ঢুকে পড়ে । ক্ষয়ক্ষতি না হয়।
মঙ্গলবার সকাল বেলায় হাতি তিনটি বেলিয়াতোড় রেঞ্জের লাদুনিয়া-২টি,কাঁটাবেস-১টি থেকে বড়জোড়া রেঞ্জে চলে আসে। চেন বাঁধা হাতি পাবয়া জঙ্গলে ছিল আগে থেকেই।

বড়জোড়া রেঞ্জের রেঞ্জার সৈয়দ সঈফ উর রহমান বলেন হাতির অবস্থান তাং-০৪.০৬.২০২৫
মোট হাতি-৪টি,বড়জোড়া রেঞ্জে দক্ষিণ সরাগোড়া-৪টি। বাঁকুড়া (উত্তর) বনবিভাগ। নজরে রাখা হয়েছে হাতি গুলিকে । বনদপ্তরের কর্মীরা রয়েছে।

Leave a Reply