২০২৪ সালে অনলাইন গেম খেলে প্রতারণার শিকার হয়ে শেষমেষ জীবন দিতে হয়েছিল বাঁকুড়ার জয়পুরের যুবতীকে, এবার সেই ঘটনায় রাজস্থান থেকে প্রতারক যুবকে গ্রেফতার করল জয়পুর থানার পুলিশ। আবারো জয়পুর থানা পুলিশের বড় সাফল্য।
রাজস্থানের ভারত পাকিস্তানের বর্ডার এলাকা থেকে প্রতারক যুবককে গ্রেপ্তার করে নিয়ে এলো বাঁকুড়ার জয়পুর থানার পুলিশি।

পুলিশী রিমান্ডের আবেদন নিয়ে ওই প্রতারক যুবককে নিয়ে আরো তদন্তের স্বার্থে নিয়ে যাওয়া হল বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে। বিচারক চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
জানা যায় ২০২৪ সালে বাঁকুড়া জয়পুর ব্লকের হেতিয়া নারায়ণপুর এলাকার এক যুবতী সদ্য গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করে বাড়িতে এসেছিলেন।
কয়েকদিনের মধ্যে শুরু করেছিল গেম খেলা আর সেই খেলায় চলে যাবে এক মেধাবী ছাত্রীর জীবন কল্পনাও করতে পারেনি গ্রামবাসী তো বটেই তার নিজের মা-বাবা।
একই মায়ের ক্যান্সার তার উপর বাবা-মায়ের একমাত্র মেয়ে সুপ্রীতি মণ্ডল পিতা অংশুমান মন্ডল ও মা রুপা মন্ডল।।

সদ্য বাঁকুড়া খ্রিস্টান কলেজ থেকে বি এ ফার্স্ট ডিভিশনে পাস করে ভর্তি হয়েছিল জয়পুর ডি এল এড কলেজে।
বাড়িতে ছিল মাত্র 10 থেকে 15 টা দিন তার মধ্যেই বাড়ির লোকের অজান্তেই শুরু করেছিল অনলাইন গেম খেলা। আর সেই খেলা খেলতে গিয়ে ব্ল্যাকমেল এর শিকার হয়ে খোয়া গিয়েছিল ব্যাংক একাউন্ট থেকে নগদ ২৬ হাজার টাকা, তারপরেই যুবতী বাড়িতে সুসাইড নোট লেখে জীবন দিয়ে চলে গিয়েছিল না ফেরার দেশে।
আর নিজের একমাত্র মেয়ে কে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছিল বাবা-মা। খবর দেওয়া হয় জয়পুর থানায়,জয়পুর থানার পুলিশ শুরু করে তদন্ত ।

সেই সময় তদন্ত ভার দেয়া হয় জয়পুর থানার এসআই কৃষ্ণ প্রসাদ মান্ডি কে, তখন থেকেই শুরু করে তদন্ত উদ্ধার করা হয় সুসাইড নোট ও ব্যাংক একাউন্টের ডিটেলস, সেখান থেকেই শুরু হয় তদন্ত আর তদন্ত করতে গিয়ে জানতে পারেন রাজস্থানের হনুমান নগর জেলার ফে ফনা গ্রামের এক ব্যক্তি যার নাম শচীন ইন্দরিয়া, তার একাউন্টে এই টাকা ট্রান্সফার হয়। আর বিভিন্ন সূত্র মারফত খবর পেয়ে অনলাইন গেম প্রতারকদের খোঁজে চলে তল্লাশি।

অবশেষে রাজস্থানের হনুমান নগর জেলা থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে জয়পুর থানার পুলিশ। আর এই প্রতারক যুবক গ্রেফতার হতেই একমাত্র মেয়ে হারা মা ও বাবা এই দোষী প্রতারকের যাতে ফাঁসি হয় সেই আবেদন রাখলেন একমাত্র মেয়ে হারা মা।
আর যাতে করে কোন মায়ের কোল অনলাইন গেম খেলে না হারাতে হয় প্রশাসনের কাছে আবেদন রাখলেন।
কি জানাচ্ছেন আমাদের ক্যামেরার সামনে চলুন শোনাবো আপনাদের।
১/বক্তব্য-মৃত সুপ্রীতি মণ্ডলের বাবা অংশুমান মণ্ডল:-
২/মাতা-রুপা মন্ডল:-
Leave a Reply