বৃষ্টির জলে ভাসল মুড়িভাজা কল, জলে ডুবে মুরি, ও মুড়ির চাল, বৃষ্টির জমা জলে গলে গেল বস্তা বস্তা নুন। এমনই ছবি উঠে এলো বাঁকুড়ার জয়পুর সোলদা এলাকায়।

টানা ৪৮ ঘন্টার বৃষ্টিতে জলমগ্ন বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন এলাকা,বাদ নেই জয়পুর ব্লক।
প্রায় ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ১৪২ মিলিমিটার। আর যার জেলে সৃষ্টি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি।
খোলা হয়েছে একাধিক ত্রাণ শিবির নড়বড়ে মাটির বাড়ি থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে আশ্রয়স্থলে।

তারই মধ্যে বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লক এর সোলদা গ্রামের বোষ্টমবাগান এলাকায় একটি মুড়ি ভাজা কলের ভয়াবহ চিত্র। দীর্ঘদিনের জলনিকাসিনালা ছিল এলাকায় বর্তমানে মাটি ফেলে বুঝিয়া ফেলা হয় নালা যার জেরে জলমগ্ন হয়ে পড়ছে এলাকা, তলিয়ে যাচ্ছে মুড়ি ভাজা কল।

জল নিকাশি নালার ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তার বৃষ্টির জল গড়িয়ে ঢুকে পড়ে মুড়ির কলে। একদিকে যেমন বন্ধ মুড়ির কল, তেমনই হয়েছে লোকসান। জলেতে ভেসে গেছে বস্তা বস্তা মুড়ি মুড়ির চাল ও নুন বস্তা। ক্ষয়ক্ষতি প্রচুর হয়েছে বলে জানান মুড়ি কলের মালিক।

বারবার পঞ্চায়েতকে বলেও ব্যবস্থা হয়নি জল নিকাশী নালার, এর পর বন্ধের মুখে মুড়ির কল, কাজ হারানোর আশঙ্কায় কুড়ি জন শ্রমিক। তবে এই বিষয়ে সলদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কে প্রশ্ন করলে তিনি জানান দ্রুত জল নিকাশি নালার ব্যবস্থা হবে তবে স্থানীয় জমির মালিক যারা রয়েছে তারা বাধার সৃষ্টি করছে কারণ চাষযোগ্য জমিতে নোনা জল ঢুকে গেলে জমির ফসল হবে না,এই টালবাহানায় এতদিন হয়নি।
নিকাশি নালার কিভাবে ব্যবস্থা করা যায় সেই ব্যবস্থাই করছেন বলেই জানান প্রধান।
কি জানাচ্ছেন তিনি চলুন শোনাবো আপনাদের।
Leave a Reply