*নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁকুড়া, ২৪ জুন:*
বাঁকুড়া জেলার কৃষিজীবী মানুষদের জন্য সুখবর। চলতি মরসুমে প্রথমবারের জন্য মুকুটমণিপুরের কংসাবতী জলাধার থেকে জল ছাড়া হল। সেচ দফতর সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার রাত বারোটা নাগাদ জলাধারের চারটি গেট খুলে প্রায় ছয় হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হয় কংসাবতী নদীতে।

গত কয়েক দিনের লাগাতার বৃষ্টি ও বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত হওয়া সম্ভাব্য নিম্নচাপের আশঙ্কায় জলাধারের জলস্তর দ্রুত বেড়ে চলেছে। সোমবার রাত পর্যন্ত ওই স্তর দাঁড়ায় ৪২৫.৭৫ ফুটে। ফলে অতিরিক্ত জল ধরে রাখতে না পেরে আগেভাগে জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেচ দপ্তর।

এই পদক্ষেপে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হচ্ছেন গ্রামীণ এলাকার কৃষকরা। ইতিমধ্যেই আলু তোলা হয়ে গেছে, তিলও কাটার কাজ প্রায় শেষ। এবার এই বিনামূল্যের জল ব্যবহার করে জমিতে আউশ ও আম্রপালি ধানের বীজতলা তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছেন কৃষকেরা। এর ফলে সাবমার্সিবল পাম্প চালিয়ে জলের জন্য বাড়তি খরচের হাত থেকেও রেহাই মিলেছে।

গ্রামের কৃষকদের মতে, “প্রতিবার জল কিনতে গিয়ে 1 বিঘা প্রতি অনেক টাকা চলে যায়। এবার জলাধার থেকে জল পেয়ে আমরা খুবই খুশি। হাতের কাছে জল থাকলে জমি বাঁচে, ফসল বাঁচে।”
সেচ দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “জলাধারে অতিরিক্ত জল জমা হতে থাকলে আরও কয়েক দিন এমনভাবে জল ছাড়া হতে পারে।
এই খবরের পর বাঁকুড়া ও আশেপাশের অঞ্চলে কৃষকদের মধ্যে উৎসবের আমেজ। বীজতলা তৈরির পাশাপাশি অনেকে আগাম জমি তৈরি করে ফেলছেন আগামী চাষের জন্যও।
Leave a Reply