ইউটিউব দেখে ড্রাগন চাষ করে লাভের আসা দেখছেন অরিন্দম।
সমতল জমিতে ঐ যে ড্রাগন ফলের চাষ করা যায় তা দেখিয়ে দিলেন বছর ৩৬ এর যুবক অরিন্দম পাত্র।

ইউটিউব দেখে চাষ করেও সফলতার মুখ দেখছেন অরিন্দম।
মাত্র দু বছর হল লাগিয়েছেন তিনি ইতিমধ্যেই লক্ষ টাকার বেশি ড্রাগন ফল বিক্র করে ফেলেছেন।
শুধু তাই নয় সাথে বিক্রয় করেছেন চারা গাছ।।
এখন শুধু মাঠ ময় সাদা সাদা ফুল আর লাল লাল ও হলুদ রঙের ড্রাগন ফল, কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে মৌমাছির ম ম আর গুনগুন শব্দ।

ইউটিউব দেখেও যে চাষ করে লাভের মুখ দেখা যায় তা প্রমাণ করল বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের রাজগ্রামের যুবক অরিন্দম পাত্র। পড়াশোনাতে তিনি ভালই ছিলেন কিন্তু চাকরি জোটেনি কপালে, আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায় আর সেই সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতেই কপাল খুলতে চলেছে অরিন্দমের। তিনি ইউটিউব ঘাটতে ঘাটতে নজরে আসে ড্রাগন ফলের চাষে যেমন ভাবনা তেমনি কাজ,বেকার বসে না থেকে শুরু করলেন চাষ।

মাত্র ৫২ শতক জায়গায় লাগিয়েছেন ড্রাগন গাছ। এরই মধ্যে প্রায় পাঁচ রকমের প্রজাতির গাছ লাগিয়েছেন তিনি। তার মধ্যেই তিন রকমের কালারের গাছ রয়েছে”লাল-হলুদ ও সাদা”

তিন রকমে ফল হচ্ছে জমিতে। তিনি নিজের জমিতে বিশেষ করে যে প্রজাতির গাছ গুলি লাগিয়েছেন সেগুলি হল “সিয়াম রেড, জাম্বুরেড, ভিয়েতনাম সুইট হোয়াইট, ইসরাইল ইয়োলো ও দেশি মরক্কোর রেড।”

তবে বিভিন্ন প্রজাতির চারা গাছ লাগাতে গিয়ে খরচাও হয়েছে বেশ ভালই, প্রায় ৬ লক্ষ টাকার মতো খরচ ইতোমধ্যেই করে ফেলেছেন দুবছরে।
তবে প্রথম বছরে তেমন একটা লাভের মুখ দেখতে পাননি,মাত্র এক লক্ষ টাকার ফল তিনি বিক্রি করেছেন তিনি। তবে এই বছরের যে হারে গাছে ফুল এসেছে বা ইতোমধ্যেই ফল ধরে রয়েছে তাতে করে তিনি তার খরচের শতকরা টাকা তুলে নিতে পারবেন বলেই মনে করছেন তিনি।।

তবে ড্রাগন চাষ সচরাচর উঁচু জায়গায় চাষ করলে ভালো ফলন হয়। তবে বিশেষ করে তিনি উঁচু জায়গা না হলেও নিচু জায়গাতেও যে চাষ করে ফলন ফলিয়েছেন তাতে করে নজর কেড়েছে রাজগ্রামের যুবক অরিন্দম পাত্র।
বছর ৩৬ এর এই অরিন্দম অসাধ্য সাধন করেছেন বলেই মনে করছেন এলাকার মানুষ।। এই চাষ সচরাচর এর আগে লোকের বাড়িতে টবে বাগান বাড়িতে ছাড়া কোথাও হয়নি,দেখেনি এলাকার মানুষ এরকম ফসল চাষ করা যায় রাজগ্রামের এটেল মাটিতে।

তবে এই চাষ দেখে অনেকেই আগ্রহী হয়ে চারা গাছ নিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান ইউটিউব দেখে সফলতার মুখ দেখতে যাওয়া ড্রাগন ফল চাষি অরিন্দম এমনটাই তিনি জানান।

তবে এই চাষ বিষয় নিয়ে রাজগ্রাম শশীভূষণ রাহা ইনস্টিটিউসনের জীব বিদ্যার শিক্ষক দেবীপ্রসাদ পাত্র তিনি জানান এই গাছ মরুভূমির ক্যাকটাস প্রজাতির মধ্যে বা মনসা গাছ জাতীয় উদ্ভিদ। উর্বর মাটিতে ভালো ফলন হয় তবে নিচু বা সমতল ডোবা জমিতে গাছের ফলন কম ও জল লেগে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে,

তবে একেবারেই যে এই গাছের জল লাগে না তেমনটা কিন্তু নয় যেমন প্রয়োজন তেমন জল দিতে হয়। তিনি এও জানান ১৫৩ বেশি প্রজাতি রয়েছে এই উদ্ভিদের, তার মধ্যেই তিনি পাঁচ রকম প্রজাতির চাষ করেছেন। তবে এই চাষ সচরাচর (লংজিবিটি) অর্থাৎ দীর্ঘমেয়াদী ফসল একবার গাছ লাগালে কুড়ি থেকে ২৫ বছর এই কাজ থেকে ফলন পাওয়া যায়।।

প্রতিবছর পর বছর ফলন দিতেই থাকে, শুধুমাত্র প্রয়োজন এই গাছের পরিচর্যা ।তবে রাজগ্রামের অরিন্দম চাষ করেছে সমতল জমি এবং মেটেল মাটিতে ,তাতেও যে তার ফলন প্রচুর হয়েছে, এতেই তিনি খুশি উনার কোথায় তিনি অসাধ্য সাধন করেছেন এই চাষে।।

এনার চাষ থেকে আরও অনেকেই এলাকার মানুষ চাষ করবেন বলেই তিনি আশাবাদী।।
বিশদ জানতে,
এই ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করলে চারাগাছ পাবেন। Number —- 8972518027call/WhatsApp করুন।

Leave a Reply