দুষ্টুর দুষ্টুমি দেখবে এবার সারাদেশ, আগেই দেখেছে জেলার মানুষ এবার দেখবে তথা রাজ্য ও দেশের মানুষ।

Bangla circle news

কষ্ট করলে যে কেষ্ট মেলে আর ধৈর্যের ফল যে মিষ্টি হয়, তা আরো একবার প্রমাণ করে দিল বাঁকুড়ার ইন্দাসের ছেলে শ্যামাপদ মল্লিক ওরফে দুষ্টু।


এবার জেলা পেরিয়ে সারা রাজ্যের মানুষ দুষ্টুর দুষ্টুমি দেখবে অর্থাৎ দু পায়ের জাদু দেখবে ফুটবলপ্রেমী দর্শকেরা।
এবার বাঁকুড়ার ঘরের ছেলের টালিগঞ্জ অগ্রগামী টি এ এফ সি ফুটবল ক্লাবের খেলার সুযোগ পেল শ্যামাপদ, খুশির হওয়া ইন্দাস জুড়ে।
ছোট থেকেই হারিয়েছে বাবাকে অনেক কষ্ট করে সংসারের হাল ধরেছে মা, নিজেও অনেক কষ্ট করে বড় হয়েছেন। খেলাটা শুরু ছিল স্কুল জীবনে, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত তিনি পড়াশোনা করেছেন অনেক কষ্ট করে।
অনেক কষ্টের মধ্যে বড় হলেই হাল ছাড়েনি তিনি চালিয়ে গেছেন খেলা ধুলা।


খেলা ছিল তার কাছে নেশার মত, কেউ ফুটবল খেলতে দেখলেই নেমে পড়তো মাঠে, আর খেলোয়ার হিসেবে এতটাই নাম অর্জন করেছিল এলাকায় যে মাঠেই যে দলের হয়ে খেলতে যেতেন দর্শকের মন কেড়ে নিতেন এলাকায় ভালই নাম রয়েছে দুষ্টুর।
তার প্রমাণ তার বাড়িতে সারি সারি ভাবে সাজানো ট্রফি মেডেল সবই রয়েছে,তার কাছে। কিন্তু বাঁকুড়া জেলার মানুষের কাছে খেলোয়ার হিসাবে নাম অর্জন করলেও সেরকমভাবে সুযোগ পায়নি নামিদামি কলকাতার নামকরা ফুটবল ক্লাবে।


কিন্তু ইন্দাস ব্লকের ইন্দাস ফিটনেস গ্রুপ ফুটবল কোচিং সেন্টার তারাই যোগাযোগ করেন কলকাতার নামিদামি ক্লাবে, সেখান থেকেই যোগাযোগ হয়ে চান্স পেল টালিগঞ্জ অগ্রগামী ফুটবল ক্লাবে, অর্থাৎ টি এ এফসিতে নিজেকে একটা প্রতিষ্ঠিত ফুটবল ক্লাবে জায়গা করে নেওয়ায় বা সুযোগ পাওয়ায় যেমন খুশি তেমনি ঠিক ততটাই খুশি ইন্দাস ফিটনেস গ্রুপের প্রতিটি সদস্য থেকে শুরু করে এলাকার মানুষ।
আর ইন্দাস বিধানসভার মধ্যে এত সুন্দর একজন খেলোয়াড় কলকাতার ক্লাবে খেলতে যাবে তাকে সম্বর্ধনা জানাবে না বিজেপি বিধায়ক নির্মল ধারা, তা কখনো হয়।

ছুটে গেলেন তার বাড়িতে দিলেন সমবর্ধনা দাঁড়ালেন পাশে উত্তরীয় ও ফুলের মালা ও ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করলেন তাকে। আগামী দিনে আরো বড় হোক দুষ্টু আরো নামিদামি ক্লাবে খেলে আগামী দিনে রাজ্য তথা দেশের নাম উজ্জ্বল করুক শ্যামাপদ মল্লিক এটাই ঈশ্বরের কাছে তিনি প্রার্থনা করেন।
মাত্র 29 বছর বয়সে ইন্দাসের যুবকের এই সাফল্যে খুশি আপামোর সাধারণ মানুষ, কি জানাচ্ছেন শ্যামাপদ মল্লিক ওরফে ইন্দাস এলাকার দুষ্টু ।

তিনি জানান ছোট থেকেই অনেক কষ্ট করে মানুষ মা লোকের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালান। বাবা মারা গেছে বেশ কয়েক বছর হল। মা কোনদিনই বাধা যায়নি খেলাধুলা বন্ধ করতে।

সহযোগিতা করেছে সকলে খেলেছেন বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে এক জেলা থেকে আরেক জেলা তবে এত বড় মাপের ক্লাবের সুযোগ পাওয়ায় তিনি খুশি ধন্যবাদ জানান উনার পাশে দাঁড়ানো বিজেপির বিধায়ক নির্মল ধারা কে তিনি যে পাশে দাঁড়িয়েছেন এতেই খুশি। তিনি চান আরো অনেকে এভাবেই ওর পাশে দাঁড়াক। এই বিষয়ে কি বলছেন নির্মল ধারা তা বিস্তারিত দেখতে এই ভিডিওটি অবশ্যই দেখুন।।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More posts