*রঞ্জিত কুন্ডু-বাঁকুড়া*
একেবারেই মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে সবজির দাম।

কয়েক মাস আগেও যে জিনিসের মূল্য ছিল প্রতি কেজির দাম 5 থেকে 10 টাকা সেই জিনিসের দাম একেবারেই আকাশ সমান।
এমনিতেই সরিষার তেলের ঝাঁজ থাকুক বা না থাকুক মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে নিম্ন মধ্যবিত্তের সরষের তেলের দাম শুনে চোখে জল এসে গেছে এখন।

সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। চিন্তায় শুকিয়ে যাচ্ছেন সজনে ডাটার মত তার উপর অনেক সবজি বাজারে অমিল। টাকা দিলেও না পাওয়ার উপক্রম। অতি বৃষ্টির কারণেই এই মূল্যবৃদ্ধি এমনটাই জানাচ্ছেন যারা সবজি চাষ করেন তারা। তারা জানাচ্ছেন অনেক গাছ লাগাতার বৃষ্টির কারণে মারা যাচ্ছে হচ্ছে না জমির ফসল তার উপর রাসায়নিক সার ও কীটনাশক দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। তাই সবজি চাষে বেড়েছে খরচ তাই দামোদ তুলনামূলকভাবে বাড়ছে বাজারে।

এক নজরে দেখে নিন আজকের সবজি ও বাজারের দাম
বেগুন ৮০ টাকা, ঝিঙে ৭০টাকা, পটল ৪০, লাউ ২৫ থেকে ৩০, কুদরি ৩০, টমেটো ৬০, ঢেঁড়স ৭০, বরবটি ৬০ থেকে ৭০, কাঁচা লঙ্কা ১০০, শশা ৫০, বাঁধাকপি ৪০ ফুলকপি ৮০ কচু ৩০ টাকা, ধনেপাতা ৩০০ টাকা কেজি পেপসিকাম ১৬০, কাকরোল ৮০ টাকা, বিন্স ২০০ টাকা, গাজর ৫০, বিট ও ৫০ টাকা দাম, সজিনা টাটা ২০০ চিচিঙ্গা ৫০, আলু ১৫, কুমড়ো ২০ টাকা কেজি,করোলা ৭০, পুনকো সাক ৫০, কলমি শাক আঠি পেছু পাঁচ টাকা, পুঁইশাক ২০ টাকা কেজি এই হচ্ছে আমাদের নিত্যদিনের বাজারের দাম।

তবে দাম বাড়ুক বা কমুক বাজার তো করতেই হবে না। কারণ পেট তো আর কথা শুনবে না। তবে যে হারের দাম বৃদ্ধি হয়েছে সবজি থেকে আলু পটল থেকে গোলদারীর দোকানে, সরষের তেল হোক বা সোয়াবিন সবেতিই বেড়েছে দাম, দাম কি কমা সম্ভাবনা আছে, নাকি এভাবেই বৃদ্ধি হতে থাকবে আরো।

তবে স্থানীয় এলাকার মানুষ যেটা জানাচ্ছেন এরকমভাবে আর কয়েক মাস চলতে থাকলে সংসার চালানোই দুর্দায় হয়ে পড়বে, একই তো রোজগার নেই, বৃষ্টি হচ্ছে অনর্গল। কাজ নেই হাতে, তার ওপর সংসারের চাপ। শুধু যে সংসারের চাপ তা নয় ছেলেপুলেদের পড়াশোনার খরচ, সবেতি খরচ আর খরচ।
বেতন বাড়েনি লেবারের কাজ থেকে কর্মচারীদের। তাই রোজগার করার সব লাইনেই বন্ধ। শুধু খরচের উপর খরচ কি করবেন আগামী দিনে ভেবে উঠতে পারছে না বলেই জানান স্থানীয় মানুষজন।
Leave a Reply