প্রায় 400 বছর আগে থেকে কেন এই গ্রামে অসময়ে বাবা ধর্মরাজের গাজন হয় জানেন, এই গাজনে কেন উৎসবে মেতে উঠেছে গ্রামবাসীরা, দেখুন তাহলে।

প্রায় ৪০০ বছরের অধিক প্রাচীন ধর্মরাজের গাজনকে ঘিরে উৎসব শুরু গ্রামে।
ভাবছেন তো এখন কেন গাজন? দেখতে হলে চ্যানেলটি ফলো করে রাখুন এখনি।

এই গাজনের ইতিহাস রয়েছে অনেক শুরুটা হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৪০০ বছর আগে দুর্গাপুর দামোদর থেকে তাম্র সম্প্রদায়ের মানুষজন বেলিয়াতোড়ের গ্রামের মানুষদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন বাবা মহাদানা ঠাকুর, স্বরূপ নারায়ণ জীউ ও ধর্মরাজ জীউ কে। সেই থেকেই শুরু গাজন উৎসব।

গাজন তো চৈত্র মাসের সংক্রান্তি থেকে জৈষ্ঠ মাস পর্যন্তই হয় প্রায় এক মাস ধরে বিভিন্ন গাজন হয়ে থাকে, যেমন ছেলে গাজন বা ধর্মের গাজন।
গাজন মানেই দেবাদিদেব মহাদেব অর্থাৎ শিবের গাজন শুনেছেন বা দেখেছেন ।বেলিয়াতোড়ের ধর্মরাজের গাজন কিন্তু একেবারেই অন্যরকম, এটি একটি প্রাচীন লোক উৎসব, যা প্রতি বছর আষাঢ় মাসের পূর্ণিমায় অনুষ্ঠিত হয়।

এটি মূলত ধর্মঠাকুরের পূজা এবং একটি মেলা হিসাবে পরিচিত। এই উৎসবে ধর্মঠাকুরের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন পূজা-অর্চনা করা হয় এবং বিভিন্ন লোকনৃত্য ও গান পরিবেশিত হয়। এটি বেলিয়াতোড় অঞ্চলের মানুষের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব এবং ধর্মীয় ও সামাজিক ঐতিহ্য বহন করে।
বেলিয়াতোড়ের ধর্মরাজের গাজন।
এই উৎসবে প্রধানত ধর্মঠাকুরের পূজা করা হয়, যিনি লোকদেবতা হিসেবে পরিচিত।

গাজন উপলক্ষ্যে বসে মেলা চলে বিভিন্ন লোকনৃত্য ও গান যা এই অঞ্চলের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ।
এই উৎসব বেলিয়াতোড় অঞ্চলের মানুষের কাছে ধর্মীয় ও সামাজিক দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি তাদের
ঐতিহ্যবাহী উৎসব, তাই শত শত বর্ষ ধরে এই গাজন উৎসব তারা করে আসছেন গ্রামে।
Leave a Reply