চাষের মরশুমে রাসায়নিক সারের রমরমা কালো বাজারীর অভিযোগে আচমকায় জয়পুরের একাধিক দোকানে হানা, সভাধিপতির।

Bangla circle news

চাষের মরসুমে সারের কালোবাজারীর অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সারের দোকানে হানা জেলা সভাধিপতি। প্রমান মিললে সার ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ দাবি সভাধিপতির।

চাষের মরসুমে সারের কালোবাজারীর অভিযোগ সামনে আসে। এবারও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর মহকুমার একাধিক ব্লকে সারের দোকানদারের বিরুদ্ধে এমন অতিরিক্ত দাম নেওয়ার অভিযোগ সামনে আসছে। বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের একাধিক সারের দোকানে হানা দেন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি অনুসূয়া রায়। তার সাথে ছিলেন কৃষি ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা। সারের দোকানে আচমকা হানা দিয়ে খতিয়ে দেখলেন দোকানের রেজিস্ট্রার ও স্টক।

রাসায়নিক সারের দাম প্যাকেটের দামের থেকে কোনভাবেই বেশী নেওয়া যাবে না সারের ব্যবসায়ীকে কড়া বার্তা দিলেন সভাধিপতি। পাশাপাশি সারের দোকানদার কে সতর্ক করে জানান বেশী দামে সার বিক্রি করলে লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হবে৷ সারের দোকানদারের দোকানে ভিসিট করার আগে এলাকার চাষীদের কাছেও খোজ নেন সেখানে চাষীরাও জানান এম আর পি থেকে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেশী নেওয়া হচ্ছে সারের দাম। চাষীদের সতর্ক করে দেন সভাধিপতি, সারের দাম বেশী নিলে সংশ্লিষ্ট দোকানদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেই দোকানদারের বিরুদ্ধে।

চাষীদের অভিযোগ কিছু কিছু ব্যবসায়ী রসিদ ছাড়া জোর করে দামের থেকে অতিরিক্ত দাম নিচ্ছে। প্রতি বছর এক শ্রেনীর সার ব্যবসায়ী আমন ধানের মরসুমে চাষীদের চড়া দামে সার বিক্রি করেন। অভিযোগ আসে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পদেক্ষেপ নেওয়া হয়। কিন্তু সারের কালোবাজারী আটকানো যাচ্ছে না। এক শ্রেনীর ব্যবসায়ী তারা এই মরসুমগুলোকে কাজে লাগিয়ে কালবাজারী করে মোটা টাকা উপার্জন করেন।

সেই কালাবাজারী ঠেকাতে জয়পুর ব্লকের একাধিক এবার সারের দোকানে আচমকা হানা দিয়ে কড়া বার্তা দিলেন সভাধিপতি।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *