সাতসকালে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পরল মাটির দোতলা বাড়ির একাংশ, অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পাশের বাড়ির সদস্যরা সহ ওই পরিবারের পাঁচ সদস্যের।

রঞ্জিত কুণ্ডু-জয়পুর-বাঁকুড়া
লাগাতার বৃষ্টির জেরে মাটির দেয়ালের ভিত নড়বড়ে হয়ে ভেঙে পড়ল দীর্ঘদিন ধরে জোড়াজীর্ণ মাটির দোতলা বাড়ির একাংশ, দিনের আলোয় মাটির বাড়ি ভেঙে পড়ায় ছুটে পালিয়ে গিয়ে প্রাণে রক্ষা পরিবারের।
ঘটনা বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের সলদা গ্রাম পঞ্চায়েতের নামাতা পাড়া দিঘীরপাড় এলাকায়।

দীর্ঘদিন ধরে জড়াজীর্ণ মাটির বাড়ির দেওয়াল, ভেঙে পড়ল পাশের বাড়িতে। আর তাতেই ক্ষিপ্ত হলো এলাকার মানুষ। পাশেই রয়েছে বসত বাড়ি ও রান্নাঘর সেখানেই রান্না করছিলেন আজ সকালে। তখনই হুরুমুরিয়ে ভেঙে পড়ে মাটির দোতলা বাড়ির একাংশ ঝুলে রয়েছে ওই বাড়িরী একাংশ যেকোনো সময় আবারও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে আতঙ্কে রয়েছে পাড়া-প্রতিবেশীরা, ওই ভগ্নাবশেষ বাড়ির একাংশ আচময় আজ সকালে ভেঙে পড়ায় কোনক্রমে ছুটে পালিয়ে গিয়ে প্রাণ রক্ষা পেল পাশের বাড়ির লোক ও ভাঙ্গা দোতলা বাড়ির সদস্যরা।

তবে হুড়মুড়িয়ে বাড়ি ভেঙে যাওয়ার ঘটনায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন গ্রামবাসীরা। তারা জানান দীর্ঘদিন ধরে জড়াজীর্ণ মাটির বাড়ি, যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে এই ভয়টাই পাচ্ছিলেন,তাই বার বার পঞ্চায়েত ও বিডিওকে দরখাস্ত করেছিলেন পাশের বাড়ির লোক, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই আজ হঠাৎ ভেঙে পড়ায় বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে ফেরায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উপড়ে দেন গ্রামবাসীরা।
তারা জানান বারবার বাড়ি মালিক ও প্রশাসনকে গ্রামের ভিতরে বসত বাড়ির পাশে ভগ্নাবশেষ এই বাড়ি ভেঙে ফেলার কথা বললেও বা প্রশাসনকে জানালেও কোন ব্যবস্থা করেনি প্রশাসন ও বাড়ি মালিক। এখনো ওই বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ার ভয় রয়েছে তার কারণ ঝুলে রয়েছে মাটির বাড়ির দেয়াল। আবারো দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
তাই পাশের বাড়ির লোক দাবি করেন আজ যদি বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেত যদি গ্রামবাসীদের কারোর প্রাণ হানি ঘটতো তাহলে এর দায় কে নিতো? এমনই প্রশ্ন ছুড়ে দেন গ্রামবাসীরা।
তবে অবশ্য জড়াজীর্ণ মাটির বাড়িতেই বসবাসকারী দেবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় তিনি জানান, এই বাড়িটি ছয় ভাইয়ের, তাই তারা ভাঙতে পারেনি, ভাঙতে গেলেও বাধা দেয় অন্য ভাইয়েরা।
তার থেকেও বড় কথা এই বাড়ি ছাড়া তাদের মাথা গোজার কোন আশ্রয় নেই, বারবার প্রশাসনকে বাড়ি পাওয়ার জন্য আবেদন নিবেদন করলেও কোন সুরাহা মেলেনি তাই এই ভগ্নবশেষ বাড়ির মধ্যেই প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে এখনো বসবাস করছেন দেবী বাবু।

দেবীপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় তিনি বলেন প্রাণের ভয় রয়েছে কিন্তু মাথা গোজার আশ্রয় নেই এখন তারা কোথায় যাবেন, কি করবেন,বাধ্য হয়েই এই ভগ্নাবশেষ বাড়ির দুয়ারেই তাদেরকে থাকতে হবে বলেই জানান তিনি।
প্রশাসনের কাছে আবেদন করেন ওই ভেঙে পড়া বাড়ি থেকে সরিয়ে নিয়ে গেলে খুব ভালো হয়।
কি জানাচ্ছেন দেবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও গ্রামবাসীরা চলুন শোনাবো আপনাদের।।
Leave a Reply