রাত পেরোলেই তারাপীঠে কৌশিকী অমাবস্যা ভক্ত সমাগমে কড়া নিরাপত্তা প্রস্তুতি তুঙ্গে !

রাত পোহালেই তারাপীঠে শুরু হচ্ছে বছরের অন্যতম বৃহৎ উৎসব—কৌশিকী অমাবস্যা। এই বিশেষ তিথিকে কেন্দ্র করে আজ বৃহস্পতিবার থেকেই দূর-দূরান্ত থেকে সাধু-সন্ন্যাসী ও ভক্তদের আগমন শুরু হয়েছে। ভক্ত সমাগমের ভিড়ে সুশৃঙ্খলভাবে দেবী দর্শন ও পূজা নিশ্চিত করতে মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে গোটা মন্দির চত্বরে বাঁশের ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি মন্দির প্রাঙ্গণকে ফুল ও আলোকসজ্জায় সাজানো হচ্ছে।

কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষে পুরাণ কাহিনী অনুযায়ী দেবী তারা মা কৌশিকী রূপে আবির্ভূত হয়ে মহিষাসুর, কুশুম্ভ ও নিশুম্ভ দানবকে বধ করেছিলেন। আবার এদিনই তারাপীঠ মহাশ্মশানে শিমুল গাছতলায় সাধক বামাক্ষ্যাপা সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। তাই এই তিথিতে পূণ্যলাভের আশায় প্রতিবছরই লক্ষ লক্ষ ভক্ত ভিড় জমায় তারাপীঠে।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা
এবারও পুণ্যার্থীর সমাগম প্রায় পাঁচ লক্ষেরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই মন্দির চত্বরে কড়া নিরাপত্তা জারি হয়েছে। সারা বছর যেখানে ১০০ জন নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন থাকেন, সেখানে এবার কৌশিকী অমাবস্যাকে ঘিরে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত ২০০ জন নিরাপত্তারক্ষী। পাশাপাশি মন্দির ও আশপাশের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ মোড়, ভিআইপি রাস্তা ও পূর্বসাগর মোড় জুড়ে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।
ভক্তদের ভিড় সামলাতে পুলিশ, মন্দির কমিটি ও প্রশাসন মিলিতভাবে বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে বারবার মাইকিং করে ঘোষণা করা হচ্ছে যাতে ভক্তরা তাদের সন্তানদের সঙ্গে আসলে বাচ্চাদের পকেটে নাম ও ঠিকানা লিখে রাখেন। যাতে ভিড়ের মধ্যে হারিয়ে গেলে দ্রুত পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়।
ভক্তদের সুবিধার জন্য বিশেষ উদ্যোগ
মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় জানান—
“
কাজী আমীরুল ইসলামের রিপোর্ট।।
Leave a Reply