এই বছরে এই প্রথম আজ থেকে কারণ ছাতু কেনার হিড়িক শুরু হলো বাঁকুড়া জয়পুরে।

প্রায় একটি বছর পর আবারও শুরু হলো ব্যাপকভাবে কারাম ছাতু বিক্রি। সকাল থেকে সন্ধ্যা প্রতিনিয়ত দূর দূরান্তের মানুষ ভিড় করছেন বাঁকুড়ার জয়পুরে। দাম যাই হোক মানে ভালো। কেন বললাম কথাটা? দেখুন তাহলে।

বাঁকুড়া জয়পুর জঙ্গল মানেই বিভিন্ন জীবজন্তুর বসবাস বিশেষ করে হাতি হরিণ বন শুয়োর সহ বিভিন্ন বিষধর সাপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন জীবজন্তুর বাসস্থান হল এই জয়পুর।
জয়পুর জঙ্গল যতটাই সুন্দর ঠিক ততটাই ভয়ে তার কারণ বর্ষাকালে জঙ্গলের ভিতর ঘুরঘুটে অন্ধকার ও স্যাঁত সেতে পরিবেশ, কোন কারণবশত জঙ্গলের ভিতরে প্রবেশ করার পর একটু অন্যমনস্ক হলেই বিপদ অপেক্ষা করছে আপনার জন্য,আর সেই বিপদের মুখ থেকে রাত জেগে গোটা জঙ্গল তন্ন তন্ন করে খুঁজে, সংগ্রহ করছেন ছাতু। কারণ একটাই এই সময় জঙ্গলমহলের মানুষের রোজগার নেই একমাত্র রোজগার এই জঙ্গলের ছাতু সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রয় করা। এই জঙ্গলের ছাতু যেমন দেখতে ভাল তেমনি স্বাদ,তাই দাম যাই হোক বছরের সাদ উপভোগ করার জন্য জয়পুর ব্লক তো বটেই, দূর দূরান্তের মানুষ ভিড় করছেন বাঁকুড়ার জয়পুরে।

বাঁকুড়া জেলা জুড়ে একাধিক ব্লকের রয়েছে জঙ্গল সেখানে ছাতুর বা মাশরুমের এত দাম না থাকলেও বাঁকুড়া জয়পুর জঙ্গলের ছাতুর মান অনেকটাই উন্নত। বাঁকুড়া,বিষ্ণুপুর, রায়পুর হিরবাদ সহ সমস্ত জঙ্গলমহলে ছাতুর দাম
২ থেকে-৩০০ বা ৪০০-৫০০-র মধ্যে প্রতি কেজির দাম থাকলেও,জয়পুর জঙ্গলের ছাতুর দাম বাজারে বিক্রয় হচ্ছে ১০০ টাকা শ, বা এক হাজার টাকা কেজি।

ওই যে কোথায় বললাম দাম যাই হোক মানে ভালো। বছরের একটি বার জঙ্গলের ছাতু বা মাশরুম খাবার জন্য জয়পুর ব্লক ছাড়িয়ে পাশের ব্লক পেরিয়ে পাশের জেলার মানুষ, কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
সকালে হোক বা সন্ধ্যা দাম যাই হোক কিনে নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে অনেকে আবার আত্মীয় বাড়িতে কিনে পাঠাচ্ছেন,বছরের সাদ উপভোগ করার জন্য।
কিভাবে সংগ্রহ করে ছাতু কি জানাচ্ছেন এলাকার মানুষ স্থানীয় বিক্রেতারা চলুন সোনাব আপনাদের।
Leave a Reply