আজ মহা রামনবমী। আর সেই রামনবমীর দিনেই বাঁকুড়ার জয়পুরে বাবা আধার কুলির রথযাত্রা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় বাঁকুড়ার জয়পুর রাজ ষোল গ্রামে।
রঞ্জিত কুণ্ডু–বাঁকুড়া
প্রতিবছর এই রথ রামনবমীর দিনেই অনুষ্ঠিত হয়, রথযাত্রা রামনবমী কে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত হয় এটা বলা ভুল,ভুলেও ভাববেন না। এই রথের ইতিহাস রয়েছে অনেক কয়েকশো বছর আগে বিষ্ণুপুরের মল্লরাজার সাথে রাজষোল এলাকায় রাংদেব রাজার মহাযুদ্ধ হয়, সেই যুদ্ধে পরাস্ত হন রাংদেব রাজা। যুদ্ধে জেতার আনন্দে আজকের দিনেই বিজয় রথ বের হয় আর সেই দিনটি ছিল রামনবমী আর সেই থেকেই এই রামনবমীর দিনে রথযাত্রা বের হয় রাজষোল গ্রামে।বাবা আধার আঁধার কুলি কে রাজ বেশ পরিয়ে আঁধার কুলি মন্দির থেকে নিয়ে এসে রথে চাপিয়ে তাকে ঘোরানো হয়। আর ঘোরানোর সাথে সাথেই শুরু হয় মেলা। এই মেলা আঁধার কুলি রথের মেলা বলেই পরিচিত পাই। আজো সেই মেলা বহু বছর ধরে রাজশোল গ্রামের মানুষ আজও চালিয়ে আসছেন। বাঁকুড়া জেলা মানে রাজ রাজা ও মনীষীদের বাস বাঁকুড়া জেলার ইতিহাস রয়েছে অনেক, একদিকে যেমন বিষ্ণুপুর মল্ল রাজা আমলে তৈরি হওয়া মন্দির নগরী বিষ্ণুপুর ঠিক তেমনি তার আশেপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে হাজার হাজার দেব দেবীর মন্দির। মল্ল রাজার আমলে সৃষ্টি হওয়া মন্দির কতইনা রয়েছে তার জ্বলন্ত উদাহরণ এলাকায় ঘুরলেই দেখতে পাওয়া যাবে। আজকের দিনে মহা রামনবমীর দিনে আধার কুলি রথ সেই রথ কে নিয়েও মল্ল রাজা ভূমিকা রয়েছে। বলেই তারও জ্বলন্ত উদাহরণ পাওয়া গেল। এলাকার মানুষের কাছ থেকে কথা বলে। এলাকার শ্যামপ্রসাদ মুখার্জী বলে একজন গ্রামবাসী তিনি এমনটাই জানালেন আমাদের ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে।
Leave a Reply