পুকুর থেকে মোবাইল উদ্ধার করার ঘটনায় ১০০ জন বিধায়ক এজেন্টের কাজ করতেন বলেন শুভেন্দু অধিকারী
নিজস্ব প্রতিনি:-
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে আরও গতি বাড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল, শুক্রবার থেকে মুর্শিদাবাদের বড়ঞায় তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। এদিনও একযোগে ছয় জায়গায় হানা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সেই ছ’টি জায়গার সঙ্গে চারটি বিভাস অধিকারীর ঠিকানা। আর এরই মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতির ইস্যুতে রাজ্যের শাসক দলকে আবারও একহাত নিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বললেন, ‘আমি ওদের সঙ্গে ২১ বছর ছিলাম। এই পার্টির সম্পর্কে অনেকের থেকে বেশি ধারণা আমার রয়েছে। আমি বলেছিলাম, ১০০ জন বিধায়ক এজেন্টের কাজ করেছেন।’ যদিও বিরোধী দলনেতা জানিয়েছেন, এই একশো জনের তালিকায় কয়েকজন প্রাক্তন বিধায়কও রয়েছেন। যাঁরা, ২০১৬ সালে টিকিট পাননি। শুভেন্দুর অভিযোগ, ওই জনপ্রতিনিধিরা চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তুলেছেন। এক এক জন নেতা কেউ ১৫ লাখ, কেউ ১৬ লাখ, কেউ ১৮ লাখ টাকা করে তুলেছেন বলে দাবি বিরোধী দলনেতার। বললেন, ‘সব টাকা তাঁরা পাননি। কলকাতায় ৮-১০ লাখ টাকা করে পৌঁছে দিয়েছেন। আর বাকি কেস পিছু ৫-৬ লাখ টাকা করে নিজেরা রেখেছেন।’শুধু তাই নয়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যদের মতো শাসক বিধায়কদের জেলে থাকা নিয়েও রাজ্যকে আক্রমণ শানিয়েছেন। খোঁচা দিয়েছেন জীবন কৃষ্ণ সাহার বাড়িতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের তল্লাশি অভিযান নিয়েও। বললেন, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য জেলে রয়েছেন। জীবন কৃষ্ণ সাহা, কানাই মণ্ডল, তাপস সাহার তদন্ত চলছে। অখিল গিরি প্রায় হাইকোর্টের দরজার কাছে ঘোরাঘুরি করছেন। উত্তর দিনাজপুরে গৌতম নামে একজন বিধায়ক, পুরুলিয়ায় সুশান্ত নামে একজন বিধায়ক… অসংখ্য বিধায়ক এজেন্টের কাজ করেছেন। নিজের পরিবারের লোককে চাকরি দিয়েছে এবং চাকরি বিক্রি করেছেন। মেধা চুরি হয়েছে।’ শুভেন্দু অধিকারী কটাক্ষের সুরে এও বললেন, এভাবে চলতে থাকলে আগামী ৬-৮ মাসের মধ্যে বিধানসভায় তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা ১০০-য় নেমে যেতে পারে। বিভাস অধিকারীর ঠিকানায় সিবিআই তল্লাশি অভিযান প্রসঙ্গে শুভেন্দু বললেন, ‘বিভাস অধিকারী বড় কালেক্টর। সব কোমরের নীচে হচ্ছে, এবার কোমরের উপরে উঠতে হবে।’এদিকে সিবিআই এর তল্লাশিতে পুকুরের জল থেকে পেনড্রাইভ মোবাইল ফোন সহ একাধিক নথিপত্র উদ্ধার করেছে। আর এই ফোন থেকেই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কেল্লাফতে হবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। যদি নাই তথ্য থাকবেই তাহলে কেন পাঁচিল টপকে পালানোর চেষ্টা মোবাইল ফোন পুকুরের জলে কেন ফেলা হলো এসব প্রশ্ন এখন সাধারণ মানুষের মুখে মুখে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
Leave a Reply