পুলিশের সামনেই দুই কুখ্যাত গ্যাংস্টারের এনকাউন্টার যোগীর রাজ্যে, আটসাটো নিরাপত্তার মাঝে খুন করল কে?
বিশেষ প্রতিবেদন,তন্ময় নন্দী
যোগী রাজ্যের এনকাউন্টার রাজ নতুন কিছু নয়। শিরোনামে যোগী আদিত্য নাম আসলেই প্রথমে উঠে আসে এনকাউন্টার রাজের কথা। নাম কুখ্যাত গ্যাংস্টার আসাদ আহমেদ। নানাবিধ কারণে বারংবার পুলিশের খাতায় নাম লিখিয়েছেন তিনি। বাপ, ছেলে ও কাকার মস্টানিতে অতিষ্ট গোটা এলাকা। শেষপর্যন্ত দিন দুই আগেই পুলিশি এনকাউন্টারে খতম হয়েছিল ছেলে আসাদ আহমেদ। ছেলের শেষকৃত্যের দিনেই এবার খুন তাঁর বাবা গ্যাংস্টার আতিক আহমেদও। সাথে একই জায়গায় খুন কাকাও। শনিবার রাতে উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে এই ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, মেডিক্যাল টেস্ট করানোর জন্য প্রয়াগরাজের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল কুখ্যাত গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ ও তাঁর ভাই আশরফকে। প্রিজন ভ্যান থেকে নামতেই, হাসপাতালের সামনে আতিক ও তাঁর ভাই আশরফকে ঘিরে ধরেন সাংবাদিকরা। পুলিশি এনকাউন্টারে ছেলে আসাদের মৃত্যু ও তাঁর শেষকৃত্যে যেতে না পারা নিয়েই নানা প্রশ্ন করছিলেন সাংবাদিকরা। হঠাৎ এক ব্যক্তি হাত উঁচিয়ে এসে আতিকের মাথায় বন্দুক ঠেকান এবং ট্রিগারে চাপ দেন। আতিক মাটিতে লুটিয়ে পড়ার সময়ই আরও কয়েকটি এলোপাথাড়ি গুলি চলে। গুলি লেগে মৃত্যু হয় তাঁর ভাই আশরফেরও। পুলিশের সামনেই পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে দুই অপরাধীকে খুনের ঘটনায় গোটা উত্তর প্রদেশে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আর এই ঘটনার পর থেকে একদিকে যেমন মানুষের তরফ থেকে প্রসংশা কুড়িয়েছে অন্যদিকে এবার বিরোধীদের নিশানায় যোগী সরকার। কুখ্যাত গ্যাংস্টারের পক্ষে দাড়িয়ে একের পর প্রশ্ন যোগী সরকারের বিরুদ্ধে। তবে পুলিশের তরফে জানা যায়, ইতিমধ্যেই আততায়ী সন্দেহে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শান্তি বজায় রাখতে উত্তর প্রদেশের সমস্ত জেলাতেই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। তবে কুখ্যাত গ্যাংস্টারের এনকাউন্টারের ঘটনায় একদিকে যেমন প্রশংসা কুড়িয়েছে যোগী সরকার ও যোগী সরকারের পুলিশ অন্যদিকে পুলিশের সামনে কুখ্যাত গ্যাংস্টারের এনকাউন্টার রীতিমত কোমরে গামছা বেঁধে ময়দানে বিরোধীরা।
Leave a Reply