কন্যাশ্রীরা কন্যাশ্রীর জমানো টাকা খরচ করে তীব্র গরমে শরবত বিতরণ করলেন।
রঞ্জিত কুন্ডু–বাঁকুড়া
প্রখর বৈশাখের কাঠফাটা রোদ্দুর। তীব্র দহন জ্বালায় মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। পথ ক্লান্ত পথযাত্রীরা গরমে নাজেহাল। এই প্রথম ক্লান্ত যাত্রীদের তৃষ্ণার জল দিয়ে, নুন চিনি লেবুর শরবত দিয়ে তীব্র দহন জ্বালা থেকে সাময়িক স্বস্তি দিল বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের রাজ খামার হাই স্কুলের কন্যাশ্রী প্রাপ্ত ছাত্রীরা। কন্যাশ্রীর টাকা জমিয়ে তাদের এই মহৎ উদ্যোগ সকলকে মুগ্ধ করেছে। কন্যাশ্রী ছাত্রীদের এই অভিনব উদ্যোগ সত্যি প্রশংসার যোগ্য। পথ চলতি মানুষ থেকে শুরু করে, বাস যাত্রী, ড্রাইভার, খালাসী, যে কোন গাড়ির চালক, পথযাত্রীদের তৃষ্ণার জল, শরবত দান করে ছাত্র জীবনের একটি মানবিক পুণ্য কর্মে তারা সামিল। বাদ গেলোনা পুলিশ গাড়িও। পুলিশ গাড়িতে পুলিশ অফিসারদের ও জল আর শরবত গ্রহণ করতে দেখা গেল। যে কাজ বড় বড় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার করা উচিত, গ্রাম এবং শহরের ক্লাব গুলোর করা উচিত, করা উচিত অর্থ বান প্রভাবশালীদের। সেটা করে দেখালো কচি কাঁচা ছাত্রীরা। তাও আবার তাদের কন্যাশ্রী প্রকল্প থেকে পাওয়া অর্থ খরচ করে! ভাবলে সত্যি খুব বিস্ময় জাগে! তারা দেখিয়ে দিল সদিচ্ছা থাকলে সব কাজ করা যায়। সে গল্পটির কথা মনে পড়ে গেল শিকারির জালে পড়া সিংহ উদ্ধারে ইন্দুরের মহান কর্ম। কিংবা রামায়ণে ছোট্ট কাঠবিড়ালির সেতুবন্ধনে সহযোগিতার কথা। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিন্দুতে সিন্ধু তৈরি হয়। যেকোনো ছোট উপকার ফেলনা নয়। এই ছোট উপকারগুলিই বৃহত্তর জীবনে অনেক বড়সড়ো উপকার করার প্রেরণা যোগায়। বড় মনে ছোট উপকার মানুষের অনেক কাজে আসে।
Leave a Reply