কি এমন হলো এবছর বালির এত দাম কেন? প্রশ্ন অধরা, ট্রাক্টর মালিকদের বিক্ষোভ নারাঙ্গির ঘাটে

Bangla circle news

বৈধ ঘাটে অবৈধভাবে বালি তুলা কে কেন্দ্র করে ঘটনাস্থলে জয়পুর বি এল আরও যেতেয় বন্ধ জয়পুর ব্লকের হেতিয়া নারানগির বালিঘাট

রঞ্জিত কুণ্ডু–বাঁকুড়া

গত এক বছর বন্ধ থাকার পর অবশেষে দিন কয়েক আগে বালিঘাট খুলেছে ব্লকে তাও আবার একটিমাত্র ঘাট। সেই সুযোগ্যে কাজে লাগিয়ে ১০০ সিএফটি বালি ৩২০ টাকায় কিনেছে সরকারের কাছ থেকে,তার সাথে সরকারি রয়েলিটি ৩৬০ টাকা। জিএসটি ৪০ টাকা। মোট খরচ একটা একটা বালির দাম ৮০০ টাকা লেবার নিয়ে হাজার টাকা দাম হওয়ার কথা সেখানে আকাশ ছোঁয়া বালির দাম।বালি কিনতে গিয়ে সাধারণ মানুষের ছেঁকা, একই প্রচণ্ড রোদে হাস ফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের, তার উপর বাড়ি করতে গিয়ে বালির দামের ছেঁকায় হার্ট এটাক অবস্থা সাধারণ মানুষের।
গত এক’বছর ধরে ঘাট বন্ধ থাকার কারণে একেবারেই চরা দামে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা ট্রাক্টর বালি কিনতে হচ্ছিল, এলাকার মানুষ দের।ভেবেছিলেন বালিঘাট খুললে হয়তো দাম কমবে কিন্তু ঘাট খুললেও দাম সেই একই। যেখানে বিক্রি করার কথা ১ হাজার টাকায় সেখানে ঘাট মালিক কালোবাজারি করছে বিক্রয় করছে ২৮০০ টাকায়। বালিঘাট থেকে ট্রাক্টার মালিকদের বালি কিনতে হচ্ছে। তারা ৩৫০০ টাকায় বালি দিতে বাধ্য হচ্ছেন এমনটাই জানান ট্রাক টার মালিকরা। কিন্তু কেন এত দাম গত বছর সাধারণ মানুষ ১৫০০ থেকে ১৭০০ টাকায় বালি কিনছিলেন কি এমন হলো এক বছরে যা দু গুণের থেকেও বেশি টাকা দাম হয়ে গেল শ্রেণী ঘাট মালিকদের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে অবশ্য সাধারণ মানুষ ও ট্রাক্টর মালিকরা বিক্ষোভ দেখান দুদিন ধরে, তবুও ঘাট মালিকের দাম কমানোর কোন বালাই নেই। এলাকার স্থানীয় মানুষজন অভিযোগ করেন একই তো জেলা পরিষদের রাস্তার উপর দিয়ে দশ টনের বেশি মাল নিয়ে যাওয়া যায় না সেখানে ওভারলোড বালি অনবরত যাচ্ছে তার উপর বালিঘাট থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে ওজন করা কম্পিউটার মেশিন থাকার কথা তারও কোন নাম গন্ধ নেই এলাকায়। প্রায় ৭ থেকে ৮ কিল মিটার দূরে কাটা মেশিন রয়েছে সেখানে ওভারলোড বালি গাড়ি ওজন হচ্ছে এবং ওভারলোড বালি সেখানে খালি করে সেই বালি বিনা চালানে এলাকায় পৌঁছে দিচ্ছেন বালি ঘাটের মালিক, তাও আবার কম টাকায়। সেখানে যারা ট্রাক্টারে করে বালি ব্যবসা করছেন তাদেরকে ওই বালি খাদ থেকেই দাম দিয়ে বালি কিনতে হচ্ছে আর ঘাট মালিক নিজের ট্র্যাক্টারে করে ও নিজের লরি করে কম টাকায় বালি এলাকায় পৌঁছে দিচ্ছেন। যার ফলে ট্রাক্টর মালিকদের মধ্যে বিক্ষোভ সৃষ্টি হয় এবং দুদিন ধরে তারা বিক্ষোভ দেখান, পরে ঘাট মালিক ট্রাক্টর মালিকদের সাথে বসে কথা বললে আশ্বাস দেন কম টাকায় বালি দেবেন কিন্তু কিছুই করলেন না ঘাটের মালিক এমনটাই অভিযোগ করছেন ট্র্যাক্টর মালিকরা। যা নিয়ে শুরু হয় বালিঘাটে বিতর্ক, ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে যান জয়পুর ব্লকের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক গুণধর মন্ডল, আর ঘাটে গিয়ে পৌঁছাতেই বিশৃঙ্খলা আরো চরণে পৌঁছায় বন্ধ করে দেন বালিখাদ, বালিখাদ বন্ধ থাকার কারণ জানতে পারা যায় স্থানীয় মানুষজনের কাছ থেকে একটি চালনে ৭থেকে ৮ ঘন্টা সময় রয়েছে তা সত্ত্বেও বি এল আর ও বালির চালানের উপর সই করে দিয়ে চালান নষ্ট করে দিচ্ছেন যা নিয়ে রীতিমতো টাকটার মালিকদের রুজি রোজগার কমে যাচ্ছে। অনেকে আবার দাবি করেন বিএল আরো নাকি ঘাটে গিয়ে টাকার দাবি করেন তবে অবশ্য বি এল আর অফিসার এই অভিযোগ মানতে নারাজ তিনি ঘাট থেকে বালি তোলা বন্ধর কারণ তিনি নিজেও জানেন না বলেই তিনি জানান।
তবে প্রশাসনের কোন ভক্ষেপ নেই সাধারণ মানুষের জন্য বালির দাম কমানোর। তাতে দাম কম হোক বা বেশি। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন প্রশাসন যদি এই বালির দামের উপর নজর দেন তাহলে হয়তো আগামী দিনের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে তা না হলে আর কোন উপায় নেই চড়া দামেই বালি কিনতে হবে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *