পুরীতে সোনার শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয় এই দেবতাকে, আপনারা জানেন কি? কারণ জানলে হাড় হিম হবে আপনারা।
রামায়ণ অনুসারে, পুরুষোত্তম রামের পরম ভক্ত ও সঙ্গী হলেন হনুমান। রামায়ণের অন্যতম কেন্দ্রীয় একটি চরিত্র। বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনিতে হনুমানের নানা বীরত্ব ও সাহসের পরিচয় পাওয়া যায়। তবে হনুমান হলেন মর্ত্যে মহাদেবের আংশিক অবতার হিসেবে দেখা হয়। বায়ু দেবতার অবতার বলেও মনে করা হয়। বেদ, মহাভারত ও রামায়ণে ভগবান হনুমানের উল্লেখ রয়েছে। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনিতেও রয়েছে হনুমানের কৃতিত্ব।
অনেকেই জানেন না, পুরীতে একটি মন্দিরের সোনার শিকল দিয়ে হনুমানকে বেঁধে রাখা হয়। বর্তমানে এই মন্দিকে বেড়ি হনুমান নামে বেশি পরিচিত। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, একটা সময় সমুদ্রদেব পুরীর জগন্নাথের মন্দিরের তিনবার ক্ষতি করার চেষ্টা করেছিলেন। তাই শ্রীক্ষেত্র ও শ্রীধামকে সমুদ্রদেবের থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য রামের পরমভক্ত হনুমানকে নিযুক্ত করা হয়েছিল। জগন্নাথের মন্দিরকে রক্ষা করার জন্য চক্রতীর্থে অবস্থান করে সমুদ্রদেবের ভয়ঙ্কর ক্ষতি থেকে রক্ষা করেছিলেন।
ধর্মীয় গ্রন্থ অনুসারে, ভগবান জগন্নাথকে শ্রী রামের অবতার হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। পুরী শহরের প্রায় ২৭ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত, সিরুলি মহাবীর একটি ছোট মন্দিরে রয়েছে বেড়ি হনুমানের একটি মূর্তি। প্রতিমাটি কালো ক্লোরাইট দিয়ে তৈরি। এর উচ্চতা প্রায় ১০ ফুট।
তাই পুরীর দর্শন করার সময় জগন্নাথের পাশাপাশি বেড়ি হনুমান দর্শন করতে ভোলেন না ভক্তরা।
Leave a Reply