এই সাল বিজ কেন বিক্রি হচ্ছে, কারা কিনছে,কেনই বা কিনছে?

জঙ্গলের শাল বীজ বিক্রি করেও অর্থ উপার্জন করছেন বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের বাসিন্দারা। জঙ্গলমহল তথা জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের মানুষের মরসুমী আয়েরও এক উৎস। বৈশাখের শুরুতেই প্রখর রোদে শাল গাছের বীজ পেকে যায়। ফলে গাছ থেকে পড়ে। আর জঙ্গলমহলের বাসিন্দারা রুজি রুটির টানে আর সেগুলোকে বিক্রি করে রোজকারের পথ বেছে নিয়েছে। আগে এক কেজি শাল বীজ বিক্রি করে তিন কেজি লবন পাওয়া যেত ল্যাম্পসের মাধ্যমে। তবে এখন সেখানে এই বীজ আর কেনা হয় না, বাইরে থেকে ব্যবসায়ীরা এসে বীজ গুলো কিনে নিয়ে যায়।শাল গাছের বীজ অনেকের কাছে ‘শাল বীজ’ আবার অনেকের কাছে ‘শালুই’ নামে পরিচিত। এই বীজ থেকে তেল উৎপন্ন হয়, যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজে লাগে। সাধারণত বৈশাখ মাসের শেষ দিক থেকে তা পেকে পড়তে শুরু করে মাটিতে। এটা পাওয়া যায় সাধারণত আষাড় মাসের প্রথম দিক পর্যন্ত। জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের মানুষ সেই বীজকে কুড়িয়ে নিয়ে আসেন জঙ্গল থেকে। এরপর ওই বীজের স্তুপে আগুন লাগিয়ে দেন। ফলে বাইরের অংশ পুড়ে যায়। তারপর সেগুলো রাস্তার উপর মেলে দেওয়া হয়। বেশ কিছুক্ষন রোদ পাওয়ার পর ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে বীজের ভেতরের দানা বের করা হয়। সেই বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে কিনে নেন। এর দাম অবশ্য চাহিদার উপর বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন রকম হয়।
Leave a Reply