
দিনের পর দিন প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছিল অবৈধ ভাবে পোগলেন মেশিন দিয়ে নদী খনন, কারো কোথায় গুরুত্ব দিচ্ছিল না খননকারীরা, এবার মহিলাদের রণমূর্তি দেখে নদীখনন বন্ধকরে প্রান হাতে নিয়ে চম্পট দিল খননকারীর দল।
বালিপাথর খননের বিরুদ্ধে চ্যাংমারিতে মহিলাদের বিক্ষোভ আন্দোলন অব্যাহত। আন্দোলনের জেরে নদী থেকে পকলিন মেসিন সরিয়ে নিতে বাদ্ধ্য হলো নদী খননকারীরা। আন্দলনকারী মহিলারা নিজেদের শাসকদলের সমর্থক বলেই দাবি করেছেন। জানাগিয়েছে বিগত তিন মাস ধরে কুমারগ্রাম ব্লকের চ্যাংমারিতে দুই নং রায়ডাক নদীর বালিপাথর খননের বিরুদ্ধে স্থানীয় মহিলাদের বিক্ষোভ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। পশ্চিম চ্যাংমারি কাঞ্চিবাজর লাগোয়া নৌকাঘাট এলাকায় সোমবার সকালে ফের আন্দোলনের তিব্রতা বাড়ায় গ্রামের মহিলারা। মহিলাদের রণমূর্তি দেখে নদীপাড়ে পোকলিন ফেলে রেখে পালিয়ে যায় পকলিন চালক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন কুমারগ্রাম থানার পুলিশ এবং যুগ্ম বিডিও । মহিলাদের দাবি, জোর করে বাহুবল দেখিয়ে অবৈধভাবে নদী খনন করা হচ্ছে। গ্রামবাসীদের আশঙ্কা খননের ফলে পশ্চিম চ্যাংমারির সেচ বাঁধ এবং তাদের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, একসময় আশ্রয়হীন হতে হবে তাদেরকে। গ্রামের ক্ষতি ঠেকাতেই অবৈধ নদী খননের বিরুদ্ধে তাদের আন্দোলন বলে জানাগিয়েছে। পুলিশ ও প্রশাসনের কথায় নদীর পাড় থেকে পোকলিন সরিয়ে নিলে বিক্ষোভ আন্দোলন প্রত্যাহার করে বাড়ি ফেরেন ভাঙনের আতঙ্কে দিশেহারা পশ্চিম চ্যাংমারির বাসিন্দারা ।

আলিপুরদুয়ার কুমার গ্রাম থেকে নিমাই চাঁদ এর রিপোর্ট বিসিএন বাংলা।
Leave a Reply