জনমত সমীক্ষকদলের গ্রেফতারির ঘটনায় নতুন মোড়, পুলিশ মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়েছে দাবী ধৃতদের পরিবারের, রাজনৈতিক চাপানউতোর অব্যাহত
————————*—————
বাঁকুড়ায় জনমত সমীক্ষকদলের গ্রেফতারির ঘটনায় নতুন মোড়। পুলিশ মিথ্যা অভিযোগ সাজিয়ে সমীক্ষক দলের সকলকে গ্রেফতার করেছে দাবী তুলে সরব হল ধৃতদের পরিবার। ঘটনাকে নিয়ে অব্যাহত রয়েছে রাজনৈতিক টানাপোড়েনও। বিজেপির দাবী মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পরই দলদাস পুলিশ মিথ্যা অভিযোগ সাজিয়ে ওই ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা তৃনমূলের দাবী বিজেপির এজেন্সির হয়েই ওই দলটি কাজ করছিল।

সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ থেকে মুখ্যমন্ত্রী সমীক্ষার নামে এলাকায় এলাকায় তথ্য সংগ্রহ নিয়ে দলীয় কর্মীদের সতর্ক করেন। দলীয় সার্কুলার জারি করে দলীয় নেতা ও কর্মীদের কাছে সেই সতর্কতা বার্তা পৌঁছেও দেওয়া হয়। আর তারপরই বাঁকুড়া শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে গ্রেফতার করা হয় ২ মহিলা সহ ৫ জনকে। ধৃতদের বিরুদ্ধে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার কার্ড ও আধার কার্ডের ফটোকপি সংগ্রহের অভিযোগ আনে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ। ধৃতদের দুদিন পুলিশ হেফাজত শেষে আজ ফের বাঁকুড়া জেলা আদালতে পেশ করে পুলিশ। এদিন আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে ধৃতেরা স্পষ্টতই পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর দাবীতে সরব হন ধৃতের পরিজনেরা। তাঁদের দাবী ডিপলেন্স রিসার্চ নামের দিল্লির একটি সংস্থার হয়ে তাঁরা জনমত সমীক্ষার কাজ করার জন্য বাঁকুড়া শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়েছিলেন। সেখানে সমীক্ষার কাজ শুরুর আগে কাউন্সিলারের কাছে অনুমতি চাইতে গেলে পুলিশ ডেকে মিথ্যা অভিযোগে তাঁদের ধরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁরা আধার কার্ড বা ভোটার কার্ড সংগ্রহ করেননি বলেও দাবী করেছেন ধৃত ও ধৃতদের পরিজনেরা।

এদিকে এই ঘটনা নিয়ে এখনো রাজনৈতিক চাপানউতোর অব্যাহত রয়েছে বাঁকুড়ায়। বিজেপির দাবী রাজ্য সরকার চাকরী দিতে পারছে না। রাজ্যের শিক্ষিত বেকাররা বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতে গেলে তাদেরও মিথ্যা অভিযোগে এভাবে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে তৃনমূলের দাবী বিভিন্ন এনজিও ও সংস্থার নাম করে বিজেপির লোকজন এলাকায় এলাকায় গিয়ে এই তথ্য ও নথি সংগ্রহ করছে। এ ব্যাপারে দলীয় নেতৃত্ব আগেই সতর্ক করেছিল। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে অনুমতিবিহীনভাবে সেই কাজ করতে গিয়েই ধরা পড়েছে ওই ৫ জন।
Leave a Reply