
ঘটনার সূত্রপাত একটি সাধারণ গ্রামীণ পরিবারে। স্বামী নিয়েছিলেন একটি গ্রুপ লোন, ব্যবসার উদ্দেশ্যে। কিন্তু সময়মতো কিস্তি শোধ করতে না পারায়, নিয়মিত গ্রামে আসতেন লোন অফিসার তথা গ্রুপ লোনের স্যার। তার নাম ভিকাশ। প্রতি মাসেই কিস্তি আদায়ের জন্য এই পরিবারে যেতেন তিনি।প্রথমে কিস্তির কথাবার্তা, এরপর বাড়তি খোঁজখবর, ফোনালাপ—এইভাবে গড়ে ওঠে গৃহবধূ সোমা ও ভিকাশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। ধীরে ধীরে সম্পর্কটি প্রেমে রূপ নেয়। বিষয়টি গোপনে চললেও, একসময় তাঁরা আর লুকিয়ে রাখতে পারেননি নিজেদের অনুভব। বাড়ির প্রতি দায়িত্ব ভুলে, নিজের স্বামী ও সংসার ছেড়ে পালিয়ে যান ওই গৃহবধূ, আর বিয়ে করে নেন ভিকাশকে।এই ঘটনা সামনে আসতেই পুরো গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে আলোচনা ও চাঞ্চল্য। স্থানীয় মহল থেকে উঠছে নানা প্রশ্ন—ঋণ নেওয়া ছিল স্বামীর, কিন্তু তার দায়ভার কি প্রেমে পরিণত হতে পারে?এই ঘটনা আমাদের এক বড় শিক্ষা দেয়—পারিবারিক টানাপোড়েনে যখন বাইরের কেউ ঘনিষ্ঠ হয়, তখন সম্পর্কের ভিত নড়ে যায়। বিশেষ করে, গ্রুপ লোন বা আর্থিক বিষয়ে যাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হয়, তাদের সঙ্গে অতিরিক্ত ঘনিষ্ঠতা যে বড় বিপদের কারণ হতে পারে, এ ঘটনা তারই স্পষ্ট উদাহরণ।

Leave a Reply