গাছ কাটা ঘিরে উত্তেজনা গোঘাটে, আদিবাসী সম্প্রদায়ের জমিতে অনুমতি ছাড়াই প্রবেশের অভিযোগ

হুগলির গোঘাট এক নম্বর ব্লকের কাঁকুরিয়া গ্রামে আদিবাসী সম্প্রদায়ের জমিতে অনুমতি ছাড়াই গাছ কাটতে গিয়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল। ঘটনায় জড়িত একজনের বিরুদ্ধে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন।

জানা গেছে, কাঁকুরিয়া এলাকায় একটি দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করা জমিতে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস ও চাষবাস চলে আসছে বংশানুক্রমে। তাঁদের দাবি, প্রায় ৫০ শতাংশ জমির বৈধ কাগজপত্র তাঁদের নামে রয়েছে। বাকিটা দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবহার করে আসছেন তারা। সেই জমির একাংশে গাছপালা রোপণ ও বনসৃজন করেন স্থানীয় আদিবাসীরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি অমিত মল্লিক নামে এক ব্যক্তি ওই জমিতে প্রবেশ করে গাছ কাটতে যান, কোনও পূর্ব অনুমতি ছাড়াই। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন ঘটনাস্থলে গিয়ে বাধা দেন এবং গাছ কাটার তীব্র বিরোধিতা করেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয় এবং পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

আদিবাসী সম্প্রদায়ের অভিযোগ, এভাবে জোর করে জমিতে প্রবেশ এবং গাছ কাটা তাঁদের অধিকার ও পরিবেশ উভয়ের উপর আঘাত। তাঁদের বক্তব্য, “এই জঙ্গল শুধু আমাদের জীবিকা নয়, আমাদের সংস্কৃতিরও অংশ। এখানে গাছ কেটে পরিবেশ ধ্বংস করলে আমরা কোথায় যাব?”

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছয় এবং দুই পক্ষকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গোঘাট থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে অমিত মল্লিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
এই ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা থাকলেও বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
Leave a Reply