তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের গ্রামে কেন হবে ভবন এই প্রশ্ন তুলে বৃষ্টির মধ্যেই জলে ভিজে বিক্ষোভে গ্রামবাসীরা।

Bangla circle news

কোথায় এমন ঘটনা ঘটলো দেখুন তাহলে,সাহারজোড়া গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের ভবন সাহারজোড়া গ্রামে না হয়ে শীতলা গ্রামে কেন হবে এই প্রশ্ন তুলে বিডিও অফিসে বিক্ষোভ বড়জোড়ার বিডিওর কাছে ডেপুটেশন দিয়ে স্মারকলিপি জমা দিলেন সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের বাসিন্দা সহ একাধিক পঞ্চায়েত সদস্য।এই পঞ্চায়েতের স্থায়ী ভবন না থাকায় অস্থায়ী ভাবে নানা জায়গায় অফিস করে পঞ্চায়েতের পরিষেবা হয়েছে বলে জানান প্রতিবাদী প্রাক্তন প্রধান গৌতম মন্ডল। তিনি বলেন, প্রথমে মুক্তাতোড় গ্রামে পঞ্চায়েত অফিস ছিল। সেখান তা স্থানান্তরিত হয় কোচকুন্ডা গ্রামে।

বর্তমানে শীতলা গ্রামে একটি ভাড়া ঘরে অস্থায়ী পঞ্চায়েত অফিস চলে। গৌতমবাবুর দাবি সাহারজোড়া পঞ্চায়েত অফিস সাহারজোড়া গ্রামে হলে ১২ খানা গ্রামের সুবিধা হবে। কিন্তু তা শীতলায় হলে ২ টি গ্রামের সুবিধা হবে। তার অভিযোগ বর্তমান পঞ্চায়েত প্রধান তারাপদ ঘোষের বাড়ি শীতলা গ্রামে হওয়ায় তিনি কোনো পঞ্চায়েত সদস্যের মতামত বা মিটিং না করে স্থায়ী ভবন নির্মাণ নিজের গ্রামে করিয়ে নিতে চাইছেন। সাহারজোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৪ টি গ্রাম ও ১২ টি সংসদ রয়েছে। তার মধ্যে ১০ জন তৃনমূলের এবং ১ জন করে বিজেপি ও সিপিআইএম প্রার্থী রয়েছেন।

এই ১২ জন জনপ্রতিনিধির মধ্যে ৭ জন স্মারকলিপিতে সাক্ষর করেছেন। পঞ্চায়েত প্রধান তারাপদ ঘোষ বলেন, শীতলা গ্রামে বহু বছর ধরে পঞ্চায়েত অফিস রয়েছে। রাজ্য সড়কের উপর হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো। ব্যাঙ্ক, পোষ্ট অফিস সবই আছে। মানুষ এক জায়গায় সমস্ত পরিষেবা পাবেন।

সেজন্য সরকার এখানেই পঞ্চায়েত অফিস নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছেন।বিষয়টি নিয়ে বিডিও কার্তিক চন্দ্র রায় বলেন, স্মারকলিপি পেয়েছি। এনিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে নির্দেশ চাওয়া হবে বলেই তিনি জানান।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *