দুর্গাপুর ব্যারেজের পলি উত্তোলন নিয়ে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুললেন সেচ মন্ত্রী মানস ভূঁইয়া।

শুক্রবার সকালে দুর্গাপুর ব্যারেজের সংস্কার হওয়া রাস্তা পরিদর্শন করতে আসেন রাজ্যের সেচ মন্ত্রী মানস ভূঁইয়া। তখনই তিনি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন,”দুর্গাপুর ব্যারেজের লকগেট মেরামতির জন্য ২০১৫ সাল থেকে কেন্দ্রের কাছে কোন সহযোগিতা পায়নি। আর ১২ বছর ধরে ড্যামগুলির ধারণ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য পল্লী উত্তোলনের আবেদন জানানো হয়েছে রাজ্যের তরফ থেকে কেন্দ্রের কাছে। দুর্গাপুর ব্যারেজেও দীর্ঘদিন ধরে পলি উত্তোলন না হওয়ার জন্য জল ধারণ ক্ষমতা কমছে।

সেই পলি উত্তোলনের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কেন্দ্রকে চিঠি করেছেন জলশক্তি মন্ত্রকে এবং প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি করেছেন। কিন্তু ওরা শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু কোন সহযোগিতা না করে রাজ্যকে বঞ্চিত করছে।” দুর্গাপুর ব্যারেজের রাস্তা সংস্কার নিয়ে তিনি বলেন,”সময়ই রাস্তা সংস্কারের কাজ শেষ হয়েছে। বৃষ্টির জন্য কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। এখনো ব্যারেজের রাস্তায় রবার সিল লাগানো বাকি রয়েছে। হায়দ্রাবাদ থেকে এনে সেগুলি লাগানো হবে। দেড় মাস ধরে রাস্তার কাজ হওয়ার জন্য বন্ধ ছিল জল ছাড়া।

মাইথন পাঞ্চেত এবং দুর্গাপুর ব্যারেজের জলে লেবেল স্বাভাবিক করার জন্য অল্প অল্প জল ছাড়া হচ্ছে। বাঁকুড়া,পুরুলিয়া পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং ঝাড়খন্ডে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। সেই জল দামোদরের নামছে। তেলুঘাট যাতে জল ছাড়ার আগে রাজ্যকে জানাই সেই আবেদন করা হয়েছে। আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা এবং সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা নজর রাখছে। সেচ দপ্তরের সচিব মণীশ জৈন নিজে নজর রাখছে। আজ ৪১ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হচ্ছে। কোন মানুষের যাতে সমস্যা না হয় সেজন্য তৎপর রাজ্য প্রশাসন।

পুরনো সেতুর পাশে নতুন সেতু করার আবেদন দেওয়া হয়েছে। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো। তারপরেই উত্তর জানানো হবে।” এদিন মন্ত্রীর সাথে ছিলেন বাঁকুড়ার সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী, সিয়াদ এন, আইএএস
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও কালেক্টর,
বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক পন্নামবলাম এস, বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি, দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায়, বড়জোড়ার বিধায়ক অলোক মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।
Leave a Reply