মা কামাখ্যা নামটা শুনলেই গা শিউরে ওঠে, আর সেই কামাখ্যাগুড়ির প্রাচীন ইতিহাসের সাথে জড়িত মা কামাখ্যার পুজায় নেমে এলো দর্শনার্থীর ঢল। আর নামবে নাই বা কেন এই মায়ের রয়েছে বহু ইতিহাস।

যে পুজোর সাথে জড়িত গোটা কামাখ্যাগুড়ির প্রাচীন ইতিহাস, সেই পুজোয় ব্যাপক সমাগম দর্শনার্থীদের। অম্বুবাচীর শেষে মা কামাখ্যার পুজোতে ভির জমেছে মধ্য কামাখ্যাগুড়িতে। আলিপুরদুয়ার জেলার মধ্য কামাখ্যাগুড়িতে প্রতিবছয় অম্বুবাচীর শেষ দিনে নিয়ম নিষ্ঠার সাথে এই পূজো অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।

বর্তমান পুজো কমিটির আয়োজনে পুজো শেষে মেলার অয়োজন হয়ে থাকে পাশ্ববর্তী মাঠে। কথিত আছে কোচবিহারের রাজা থাকা কালিন চার পাশ জঙ্গল ঘেরা ঐ এলাকায় কোচবিহারের রাজারা হাতির পিঠে চেপে শিকারে আসতো, সে সময় মহারাজার হাতি ডোবার কাঁদায় ফেসে যায়, মহারাজা সপ্নাদেশ পায় মা কামাখ্যার।

সে সময় থেকেই ঐ এলাকায় মা কামাখ্যার পুজোর প্রচলন বলে জানাগিয়েছে। কোচবিহারের যতদিন রাজার শাসন চলেছে সে সময় পর্যন্ত পুজোর উপকরণ রাজ বাড়ি থেকেই পাঠানো হতো। পরবর্তি সময় আষির দশকে ঐ পুজা বারোয়ারী পুজাতে রূপান্তরিত হয়। জানাগিয়েছে আদি মা কামাখ্যা ধামের নাম অনুকরণ করে বিস্তিন্য এলাকার নাম হয় কামাখ্যাগুড়ি।
আলিপুরদুয়ার কুমারগ্রাম থেকে নিমাই চাঁদ এর রিপোর্ট বিসিএন বাংলা।
Leave a Reply