18 জুলাই কংসাবতী ক্যানেল পোলের লক গেট পড়ে দুর্ঘটনার ১২ দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন যুবক।

বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজ হসপিটালে প্রায় ১২ দিন ভর্তি থাকার পর দীর্ঘদিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন বাঁকুড়ার জয়পুরের যুবক।

গত ১৮ই জুন বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের সুইজারগড় গ্রামে কংসাবতী ক্যানেলের তোলার গর্ত দিয়ে জল নামা দেখতে গিয়ে কংসাবতী ক্যানেলের লক গেট ভেঙে পড়ে গুরুতর যখন হন জয়পুর শ্যামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলিয়া গ্রামের বছর ৪০ থেকে ৪৫ এর যুবক, তিনি কর্মসূত্রে থাকতেন শ্বশুরবাড়ি সুজারগর গ্রামে। এলাকার জামাই বলেই পরিচিত ছিলেন তিনি, উনার নাম ষষ্ঠী লোহার পিতা মথুর লোহার।

আহত হওয়া ব্যক্তিকে দ্রুত এলাকার মানুষ তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া জয়পুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে, সেখানে চিকিৎসার অবনতি হলে চিকিৎসকেরা দ্রুত রেফার করে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে, সেখানেও অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দ্রুত স্থানান্তরিত করে বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল এতদিন যাবত, অবশেষে আজ ভরে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলেই খবর পাওয়া যায়। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

এর আগে কোনদিনই আজ পর্যন্ত বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের রাউৎখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের সুজারগড় গ্রামে। এইরকম ভাবে এত বড় মাপের দুর্ঘটনা ঘটেনি। সামান্য স্নান করতে যাবে বলে বেরিয়ে প্যানেল পুলের গর্তের তল দিয়ে জল বেরোনো দেখতে গিয়ে গামছা পড়ে গিয়ে সেই গামছা কুড়িয়ে আনতে গিয়ে চলে যাবে তরতাজা যুবকের একটি প্রাণ।

কল্পনাও করতে পারছে না গ্রামের মানুষ থেকে আত্মীয় পরিজন সকলে। আজ ওই যুবককে হারিয়ে কান্নায় বুক ভাসাচ্ছেন পুরো পরিবার।
Leave a Reply