কলেজে টিএমসিপি নেতাদের চাকরি ঘিরে ফের বিতর্ক,, ফের শাসকদলের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ!

তাহলে কি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কোথায় সত্যি, তিনি ভাইপোগাং বলে সাংবাদিক সম্মেলন করে হাতে ব্যানার পোস্টার প্রকাশ করেন ৫০ জনের, আরো ৯০০ জনের লিস্ট রয়েছে বলে দাবি করেন। ঠিক একইভাবে বিষ্ণুপুর রামানন্দ কলেজের এই ছবি।আবারও তৃণমূল ছাত্র সংগঠনের নেতাদের ‘প্রভাব’ খাটিয়ে চাকরি! প্রশ্নের মুখে রামানন্দ কলেজ কর্তৃপক্ষ।

দক্ষিণ কলকাতা আইন কলেজে ছাত্রী ধর্ষণে অভিযুক্ত ছাত্রনেতা মনোজিৎ মিশ্রের চাকরি পাওয়া নিয়ে যখন রাজ্যজুড়ে বিতর্ক, ঠিক সেই সময় বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের রামানন্দ কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই শীর্ষ নেতার ‘নিয়মবহির্ভূত’ অস্থায়ী নিয়োগ ঘিরে নতুন করে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে।

বিজেপি ও বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই অভিযোগ তুলেছে, রামানন্দ কলেজে কোনও রকম সরকারি নিয়ম না মেনেই টিএমসিপির শহর সভাপতি বাপন দাস ও ব্লক সভাপতি শেখ আমির সোহেলকে অস্থায়ী পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার মুখপাত্র দেবপ্রিয় বিশ্বাস বলেন, “রাজ্যের প্রায় সব কলেজেই তৃণমূলের দাদাগিরি চলছে। সরকারি নিয়ম না মেনেই এই দুই ছাত্রনেতা চাকরি পেয়েছেন।”

এসএফআই নেতা শুভঙ্কর রায়ের বক্তব্য, “রামানন্দ কলেজে বিরোধীদের কোনও জায়গা নেই। নিয়ম না মেনে শুধুমাত্র তৃণমূলের ছাত্রনেতা হলেই চাকরি মেলে এটা মেনে নেওয়া যায় না।”
তবে কলেজের অধ্যক্ষা স্বপ্না ঘড়ুই জানান, ২০২০ সালে তৎকালীন কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি শ্যামল সাঁতরার নির্দেশে দু’জনকে অস্থায়ীভাবে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে সভাপতি পরিবর্তনের পর অরূপ চক্রবর্তীর আমলে মাসমাইনে ভিত্তিতে তাঁদের ল্যাব অ্যাটেন্ডেন্ট পদে নিযুক্ত করা হয়।
বিতর্কের মুখে থাকা দুই টিএমসিপি নেতা ক্যামেরার সামনে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুব্রত দত্ত বলেন, “যোগ্যতার ভিত্তিতে যে কেউ চাকরি পেতে পারেন। কেউ তৃণমূল করেন বলেই তাঁকে চাকরি থেকে বঞ্চিত করা ঠিক নয়।”
তবুও বিরোধীদের প্রশ্ন, ‘যোগ্যতা’ নাকি ‘যোগাযোগ’ কোনটা চাকরি পাওয়ার আসল চাবিকাঠি।
Leave a Reply