জেলা সভাপতি করা হুশিয়ারিকে কান দিল না বুথ সভাপতি,

পঞ্চায়েত থেকে তিরপল নিয়ে পালাচ্ছে বুথ সভাপতি,দেখুন সেই ভাইটাল ভিডিও।। মানতে নারাজ শাসক দল এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি বিসিএন বাংলা।।
জেলা সভাপতির কড়া হুঁশিয়ারীর পরেও তৃণমূলের বুথ সভাপতির পঞ্চায়েত থেকে ত্রিপল নিয়ে যাওয়ার ভিডিও ভাইরাল করল বিজেপি,শুরু রাজনৈতিক তর্জা*

দলের জেলা সভাপতির হুঁশিয়ারীতেও কাজ হলোনা! অতি সম্প্রতি দলের এক সভায় ত্রাণের ত্রিপল নিয়ে বুথ সভাপতিদের কড়া হুঁশিয়ারী দিয়েছিলেন বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি তারাশঙ্কর রায়। কিন্তু জেলা সভাপতির সেই হুঁশিয়ারীতেও কাজ হলোনা! চলতি বর্ষার মরশুমে সিমলাপাল ব্লকের বিক্রমপুর গ্রাম পঞ্চায়েত ত্রিপল নিয়ে দূর্গত মানুষের ক্ষোভের মাঝেই ওই ত্রিপল নিয়ে বাড়ি যাওয়ার অভিযোগ উঠলো শাসক দলের এক বুথ সভাপতির বিরুদ্ধে। অথচ ঐ পঞ্চায়েতে ত্রিপল না পেয়ে পঞ্চায়েত ঘেরাও এবং রাস্তা অবরোধও করেছেন সম্প্রতি ঐ অঞ্চলের মানুষ। বিরোধী বিজেপির সৌজন্যে সেই ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। যদিও সেই ভাইরাল ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করিনি আমরা।

বিজেপির তালডাংরা মণ্ডল-৪ সভাপতি তথা সিমলাপাল পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য শৌভিক পাত্র তাঁর নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে একটি ভিডিও পোষ্ট করে লেখেন, ‘…তৃণমূল কংগ্রেসের এক বুথ সভাপতি সরকারী ত্রাণ হিসেবে বরাদ্দ ত্রিপল নিজের সুবিধার জন্য বিক্রমপুর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে নিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে, প্রবল বর্ষণে ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত গরীব মানুষরা এখনও একটা ত্রিপল পাচ্ছেননা’।
শুধু ভিডিও পোষ্ট করেই ক্ষান্ত নন বিজেপির মণ্ডল সভাপতি শৌভিক পাত্র। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েও তিনি তাঁর ওই অভিযোগের স্বপক্ষেই বক্তব্য রাখেন।

ত্রিপল বিতর্কে দলের ওই বুথ সভাপতির পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল। সিমলাপাল ব্লক তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক রবিদাস চক্রবর্তীর দাবি, বিজেপির কূৎসা করাই কাজ। দলের কোন বুথ সভাপতি এই ধরণের কাজ করেনা বলেই তিনি দাবি করেন।

একই দাবি করেন তৃণমূল পরিচালিত বিক্রমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ফুলমনি সরেন। তার দাবি তদন্ত করে প্রকৃত উপভোক্তাদের হাতেই ত্রিপল দেওয়া হয়েছে। বুথ সভাপতি কোন ত্রিপল নিয়ে যাননি বলে তিনি দাবি করেন।
অন্যদিকে, সিমলাপালের বিডিও মানস চক্রবর্তী এবিষয়ে বলেন, ভিডিওটি আমি দেখিনি। ওই ভিডিও পেলে তিনি বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন বলে জানান।
Leave a Reply