বাঁকুড়ায় ডায়রিয়া আতঙ্কের পর এবার জন্ডিসের প্রকোপ, জল থেকেই ছড়াচ্ছে জন্ডিস,আতঙ্কে স্বাস্থ্য দপ্তর। কোথায় এমন ঘটলো দেখুন বিস্তারিত।

Bangla circle news

ডায়েরিয়া আতঙ্কের মাঝেই এবার বাঁকুড়ায় জন্ডিসের প্রকোপ, গ্রামে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে জন্ডিসে আক্রান্তের সংখ্যা, পানীয় জল থেকেই ছড়াচ্ছে জন্ডিস আশঙ্কা স্বাস্থ্য দফতরের


——————–*—————-
নিম্নচাপ কাটতে না কাটতেই বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের দুর্লভপুরে ছড়িয়ে পড়েছিল ডায়েরিয়া। এখনো তা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তার মাঝেই এবার বাঁকুড়ার সিমলাপাল ব্লকের বাঘাখুলিয়া গ্রামে ছড়িয়ে পড়ল জন্ডিস। গ্রামে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়েছে। দূষিত পানীয় জল থেকেই এই জন্ডিস ছড়িয়ে পড়ছে বলে আশঙ্কা স্বাস্থ্য দফতরের।

বাঁকুড়ার সিমলাপাল ব্লকের বাঘাখুলিয়া গ্রামে প্রায় দেড়শোটি পরিবারের বসবাস। মাস দেড়েক আগে বর্ষা শুরুর আগে এই গ্রামে প্রথম জন্ডিস আক্রান্ত হন এক ব্যক্তি। তারপর থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে শুরু করে গ্রামে জন্ডিস আক্রান্তের সংখ্যা। গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতেই থাবা বসায় জন্ডিস। স্থানীয়দের দাবি গ্রামে কমপক্ষে ৬০ থেকে ৭০ জনের শরীরে বাসা বেঁধেছে এই রোগ। একজনের শারিরীক অবস্থার অবনতি হওয়ায় প্রথমে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে ও পরে কলকাতায় এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও স্বাস্থ্য দফতরের দাবি গ্রামে আক্রান্তের সংখ্যাটা পঞ্চাশের আশেপাশে। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য দফতর সকলেরই প্রাথমিক তদন্তে অনুমান দিনের পর দিন দূষিত পানীয় জল পান করার ফলেই গ্রামে ছড়িয়ে পড়ছে জন্ডিস। এমনিতে গ্রামবাসীরা গ্রামে জলজীবন মিশন প্রকল্পে তৈরী সৌরচালিত জল প্রকল্প থেকে পানীয় জল সংগ্রহ করেন। স্থানীয়দের দাবি ওই প্রকল্পের জলের ট্যাঙ্ক নিয়মিত পরিস্কারের কোনো ব্যবস্থা নেই।

ফলে ট্যাঙ্কের মধ্যেই জল দূষিত হয়ে পড়ছে। এদিকে গ্রামে জন্ডিস ছড়ানোর খবর মিলতেই স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে ট্যাঙ্কারে করে গ্রামে পানীয় জল সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গ্রামে বসানো হয়েছে মেডিক্যাল টিমও। কিন্তু তাতেও আতঙ্কের প্রহর কাটছে না গ্রামবাসীদের। প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকায় গ্রামের সকলেরই কার্যত রাতের ঘুম উড়েছে।

বাইট :- সুমিত্রা ঘোষ (স্থানীয় গ্রামবাসী)
বাইট :- দুলালী কর্মকার (স্থানীয় গ্রামবাসী)
বাইট :- স্থানীয় গ্রামবাসী
বাইট :- ময়না ঘোষ ( স্থানীয় গ্রামবাসী)
বাইট :- মালা কর্মকার ( স্থানীয় বাসিন্দা)
বাইট :- রামাশিস টুডু ( ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক, সিমলাপাল)

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *