দিনে দুপুরে ঘুরে বেড়াচ্ছে ভুত, ভর করছে অশরীরী আত্মা, ভয়ে আত্মারাম খাঁচা অবস্থা গ্রামবাসীদের,কোথায় এমন ঘটল দেখুন বিস্তারিত।

Bangla circle news

গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছে ভূত, বাড়ির বাইরে বের হলেই বিপদ, দিনের বেলাতেও ভূত আতঙ্কে আতঙ্কিত গোটা গ্রাম।
গ্রামে ভুতের আতঙ্ক,

হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন- গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছে ভূত, অশরিরী আত্মা ভর করছে নাবালিকা ছাত্রীদের উপর। তাই স্কুল যাওয়া বন্ধ করে দিচ্ছে গ্রামের ছাত্রীরা।
হঠাৎ হঠাৎ দেহে ভর করছে অশরীরী আত্মা, আর সেই ভয়ে আতঙ্কে গোটা গ্রাম। গোটা গ্রাম জুড়ে যেন ছমছমে পরিবেশ।
গ্রামের বাইরে গেলে নাকি বিপদ হতে পারে, এমন আশঙ্কায় কার্যত গৃহবন্দি হয়ে রয়েছেন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ব্লকের ময়রাপুকুর গ্রামের বাসিন্দারা।
গ্রামের সত্যিই কি ভূত নাকি গুজব ওটা কি এমন হলো গ্রামবাসীদের ভূতের ভয়েস থরথর করে কাঁপছে আস্তো গোটা গ্রাম। এমন আতংকই ছড়িয়ে যে গোটা এলাকায়। এবার সেই আতঙ্ক কাটাতেই গ্রামে ছুটলেন প্রশাসন এবং ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি, করা হলো সচেতনতা শিবির।


খুব সুন্দর সাজানো গোছানো একটি গ্রাম হঠাৎ কেন এমন হলো উঠছে প্রশ্ন, তবে অবশ্য স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ২০দিন আগে গ্রামে মনসাপুজোর সময় একটি পরিবারেরই তিন নাবালিকা ছাত্রীর ভর আসে। তারা অসংলগ্ন কথার্বাতা বলে। নিজেদেরকে দেবীরূপে জাহির করে। এমনকি গ্রামের বাইরে গেলে বাসিন্দাদের বিপদ হবে বলে নিদান দেয়। তাতেই বাসিন্দাদের মনে আতঙ্ক তৈরি হয়।

এরপর থেকে প্রায় দিনই তাদের ভর আসে। এবং গ্রামবাসীদেরকে ঠাকুরকে মান্য করা থেকে আরম্ভ করে নানা নিদান দিতে থাকে। তাতেই সিংহভাগ ছাত্রছাত্রীরা স্কুল যাওয়া বন্ধ করে দেয়। শুক্রবার পানশিউলি জুনিয়ার হাইস্কুলে ক্লাস চলাকালীন এক ছাত্রী অসুস্থ হওয়ার ঘটনা জানাজানি হতেই প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। শনিবার গ্রামে সচেতনতা শিবির করা হয়।


গ্রামের এক গৃহবধূ অর্চনা লোহার বলেন, গ্রামে পরপর অনেকগুলি অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তাছাড়া তিন নাবালিকার শরীরে অশরিরী আত্মা ভর করার ঘটনা গ্রামের সকলেই দেখেছেন। তাই আমরাও আতঙ্কে রয়েছি। এখন ধান লাগানো চলছে।

বাধ্য হয়ে মাঠে যাচ্ছি। বিকালের আগেই ঘরে চলে আসছি। আমার মেয়ে পানশিউলি জুনিয়ার হাইস্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে। ভয়ে সে স্কুলে যেতে চাইছে না। গ্রামের অন্যান্য ছাত্রছাত্রীরাও ঘরে বসে রয়েছে।
দেখুন কি বলছেন গ্রামের মহিলারা।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *