বজ্রপাতের জেরে ভয়ংকর পরিস্থিতি বাঁকুড়ার। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত বাঁকুড়া জেলা,দুপুরের বজ্রপাতে মৃতের সংখ্যা নয় নয় করে বেড়ে দাঁড়ালো ৯।

একদিকে চলছে প্রবল বৃষ্টি সাথে ঝোরো হাওয়া অন্যদিকে লাগাতার বজ্রপাত ঘনী আছে কালো মেঘ, আচমকায় ঘনিয়ে আসে অন্ধকার। আর তারপরই শুরু প্রকৃতির তাণ্ডব। আর সেই তান্ডবের মাঝে পড়ে প্রাণ দিল ৯জন ।

এখন মাঠে চলছে ধান রোয়ার কাজ, তার উপর কালো মেঘ সাথে ঝেপে বৃষ্টি তার সাথে প্রবল বেগে বইছে হাওয়া। প্রকৃতির রূপ দেখে ভয়ংকর ভাবে কাঁপছিল বাঁকুড়ার মানুষ এই বুঝি কোন বিপদ ঘনিয়ে এল। আর সেই আশঙ্কায় সত্যি হলো এলাকাবাসীদের।
লাগাতার বজ্রপাতের জেরে প্রাণ গেল জেলার ৯জনের।
একই প্রবল বৃষ্টি তার উপর চলছে ধান রোপন, আর ধান রোপোন করতে গিয়ে বজ্রাঘাতে ঝরে গেল প্রাণ, কেউ আবার মাঠে গৃহপালিত পশু চরাতে গিয়ে প্রাণ দিল বজ্রাঘাতে।

দুপুরের কালো মেঘ দেখে অনেকেই ছিলেন গৃহবন্দী, অনেকে আবার পেটের দায়ে বাড়ির বাইরে। করছিলেন অনেকেই লেবারের কাজ। বাড়ি থেকে বের হলেও বিপদ, আর না বেরোলেও বিপদ, আর পেটের দায়ে কাজে বেরিয়ে ঘটে গেল আরও বেশি বিপদ, বজ্রাঘাতে প্রাণ গেল বাঁকুড়া জেলার নয় জনের।কোতুলপুর জয়পুর বিষ্ণুপুর পাত্রসায়ের ও ইন্দাস ওন্দা ব্লক সহ ৯ জন পুরুষ ও মহিলার মৃত্যু হল বজ্রপাতে, আহত হয়েছে আরো অনেকে মানুষ।

জেলায় সকাল থেকে শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টি সাথে ঝোরো হাওয়া ও লাগাতার বজ্রপাত। আর সেই বজ্রপাতে প্রাণ গেল কোতুলপুর ব্লকের একজনের আহত আরো এক। মৃত ব্যক্তির নাম আসিয়া মোল্লা, আহত ও মৃত সহ দুজনেরই বাড়ি কোতুলপুর ব্লকের খিরি গ্রামে। আচমকায় বাজ পড়ে লুটিয়ে পড়ে দুজন তড়িঘড়ি স্থানীয় মানুষজন উদ্ধার করে নিয়ে যায় কোতুলপুর গ্রামীণ হাসপাতাল সেখানে একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আর একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। কোতুলপুরের ঘটনার খবর আসতে না আসতেই আবার অঘট, আবারো বাজ পড়ে মৃত্যু হল পাত্রসায়ের ব্লকের কাঁটাবন গ্রামের বছর ২০যুবক জীবন ঘোষের।

এরপর খবর আসে জয়পুর ব্লক থেকে,জয়পুর ব্লকে মৃত্যু হল জগন্নাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খোরকাসুলি গ্রামের যুবক উত্তম ভূঁইয়া বয়স ৩৫।
সেই ঘটনার খবর হতে না হতেই আবার খবর আসে,ইন্দাস থানার বাঙালচক গ্রামের এলাকা থেকে সেখানেও একজনের মৃত্যু হয় মৃত ব্যক্তির নাম ইসমাইল মন্ডল বয়স পঞ্চান্ন, তার সাথে আহত হন আরো এক মহিলা সহ মোট দুজন। এরপরই খবর আসে
ওন্দা ব্লক থেকে প্রথমে খবর আছে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তারপরেই একের পর এক ওন্দা ব্লক থেকে মৃত্যুর খবর জানা যায়, প্রথমে মৃত্যুর খবর জনা যায় নারায়ণ সাওয়ার নামে এক ব্যক্তির ওনার বাড়ি ওন্দা থানার কামারকাটা গ্রামে।

এরপর খবর আসে ওন্দা থানার কল্যাণী এলাকার রামকৃষ্ণপুর গ্রাম থেকে সেখানেও মৃত্যু হয়েছে একজন মহিলা মিতা ঐ মহিলার নাম তিলকা মাল বয়স ৪৯। এই খবরের পরেই আবারও খবর জানা যায় ওন্দা থানার ভাদুল ডাঙ্গা গ্রামের জবা বাউরির বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে তার বয়স মাত্র ৩০ বছর এক গৃহবধূ বলেই খবর, তারপর আরো এক মহিলার মৃত্যুর খবর জানতে পারা যায় উনার বাড়ি ওন্দা থানার ছাগুলিয়া গ্রামে ওখানেও মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার, বজ্রাঘাতে মৃত মহিলার নাম জবা বাউরী, বয়স ৪৫ বছর বলেই খবর।

আর এই খবরের পরেই খবর আসে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ব্লকের কুলিয়ারা অঞ্চলের বৈকন্ঠপুর থেকে, সেখানে এক বৃদ্ধ নদীর ধারে গরু আনতে গিয়েছিলেন। সেখানেই বাজ পড়ে মৃত্যু হয় মদন বাগদির তার বয়স আনুমানিক ৭০ বছর।

এরপর খবর পাওয়া যায় সোনামুখীর ভাগলুই ফেরিঘাটে সেখানেও নাকি ভয়ঙ্কর বজ্রপাত হয় সেই বজ্রপাতের জেরে ফাটিয়ে দেয় পাকা বাড়ির যাত্রীনিবাসের দেওয়াল, বজ্রপাতের সময় দাঁড়িয়ে ছিলেন বাসস্ট্যান্ডের যাত্রী নিবাসের বাড়িতে,বাস যাত্রীরা কম-বেশি প্রায় ১০-১২ জন বজ্রপাতের জেরে একটু হলেও আহত হন।
বাঁকুড়া জেলায় একাধিক ব্লকে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৯জন।
Leave a Reply