এ যেন সাক্ষাৎ কলিযুগের কৃষ্ণ নাম বদলে হয়েছে গোবিন্দ। ছবি দেখে ভাবছেন তো কিকেন এমন কথা বলছেন,তাহলে দেখুন বিস্তারিত।

Bangla circle news

এ যেন সাক্ষাৎ কলিযুগের কৃষ্ণ নাম বদলে হয়েছে গোবিন্দ। ছবি দেখে ভাবছেন তো কি ব্যাপারটা কেন এমন বললাম তাহলে দেখুন বিস্তারিত।

দ্বাপর যুগে ভগবান কৃষ্ণ ও বিষাক্ত সাপ কালিয়ার লড়াই দেখেছেন, কিন্তু কলিযুগে সাক্ষাৎ কোবড়ার সাথে লড়াই গোবিন্দর দেখেছেন কি দেখেননি তাহলে দেখুন, না-জানুন বিস্তারিত:—

দু বছরের ছেলের কামরে প্রাণ হারালো কোবরা, খেলতে খেলতে বিষাক্ত কোবরা পেচিয়ে ধরল একরতির হাত। তারপর শিশু পাল্টা কামড়ে ধরল সবথেকে শিশুর পাল্টা কামড়ে আশ্চর্যজনক ভাবে মৃত্যু হল বিষাক্ত কোবরা সাপের।
ভগবান কৃষ্ণ ও বিষাক্ত সাপ কালিয়া লড়াইয়ের কথা কমবেশি আমরা সকলেই জানি যেখানে ছোটবেলায় কৃষ্ণ যখন বৃন্দাবনে যমুনা নদীর ধারে, খেলছিলেন ঠিক তখন শুনতে পান যে কালিয়া নামে একটি বিষাক্ত সাপ নদীটিকে বিপদজনক করে তুলছে, তখন তিনি গ্রামবাসীদের বাঁচানোর জন্য কালিয়া সঙ্গে লড়াই করেন এবং অবশেষে তাকে পরাজিত করে কালিয়ার মাথায় উঠে নৃত্য করেন কলিযুগে এবার সেই ঘটনাটি যেন পুনরাবৃত্তি হলো।


ঘটনাটি একেবারেই মিরাক্কেল বললেও হয়তো কম বলা হবে, কোথায় আছে জাতোগোগরো এক ছোবলে ছবি।
এই বিষাক্ত সাপ কামড়ালে খুব কম মানুষ আছে যারা নিজেদের প্রাণ ফিরে পায় কিন্তু এক্ষেত্রে একেবারেই উল্টো ছবি দু’বছরের ছেলের কামড়ে উল্টে প্রাণ হারালো বিষাক্ত কোবরা।

অলৌকিক এই ঘটনাটি ঘটে বিহারের পাটনায়, পশ্চিম চম্পারনের বেতিয়ার বাসিন্দা ওই আগরতী বাড়ির কাছে খেলার সময় বিষাক্ত পোকরায় তাকে কামড় বসাই এবং পেচিয়ে ধরে। ঠিক তখনই এই গোবিন্দ নামে ওই একই শিশু তাকে পাল্টা কামড় বসায় কোবরার গায়ে তারপরই গোবিন্দ অজ্ঞান হয়ে পড়ে। ঘটনার স্থলেই সাপটির মৃত্যু হয় কয়েক ঘন্টা পরেই গোবিন্দের অবস্থার অবনতি হতে থাকে গোবিন্দর বাবা-মা তাকে দুটো স্থানীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায় পরে তাকে বেটিয়ার সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে শিশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যায়।

মেডিকেল টিম এই ঘটনাটিকে অত্যন্ত অস্বাভাবিক বলে বর্ণনা করেছেন এবং তাদের মতে শিশুদের কামড়ের ফলে সাপটির মাথায় ও মুখে আঘাত লাগে, যাতে সে মারা যায়। এদিকে গোবিন্দের উপর বিশের প্রভাব তুলনামূলকভাবে হালকা ছিল যা তাকে অজ্ঞান করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল কিন্তু প্রাণঘাতই হওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না বলেই জানান।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *