বাঁকুড়ায় ওভারলোড বালির গাড়িতে রমরমা ব্যবসা, অভিযানে সভাধিপতি অনুসূয়া রায়।

Bangla circle news

সারের কালোবাজারি অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বেরিয়ে, রাস্তায় ওভারলোডিং বালি গাড়ি দেখে একেবারেই সিঙ্গম মুডে জেলা সভাধিপতি।

নিজের হাতে ধরলে ওভারলোডিং বালি বজায় লরি, প্রশাসনের আধিকারিকদের ডেকে দিলেন ধমক।
গতকাল বীরভূমে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর নড়েচড়ে বসলো বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন।


আচমকায় আজ বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকে হেতিয়া এলাকায় সারের কালোবাজারি অভিযোগ পেয়ে খতিয়ে দেখতে আসার পথে ওভার লোডিং বালি বোঝায় লরি রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বেজায় চটলেন বাঁকুড়া জেলার সভাধিপতি অনুসূয়া রায়।

বাঁকুড়া জেলার জয়পুর ব্লকের রাউৎখন্ড পঞ্চায়েত এলাকায় কুম্ভস্থল থেকে হেতিয়া পর্যন্ত রাস্তার উপর কুন্দপুষ্করিনী এলাকায় সারি সারি দাঁড়িয়ে থাকা ওভারলোড বালির গাড়ি ঘিরে উঠেছে বিতর্ক। এই দৃশ্য দেখে মঙ্গলবার নিজে অভিযান চালালেন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি অনুসূয়া রায়। জেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধিদের নিয়ে তিনি পৌঁছান ঘটনাস্থলে। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় থানার ওসি এবং বিএলএলআরও।

সভাধিপতির প্রশ্ন, “গতকালই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূমের প্রশাসনিক সভা থেকে কড়া বার্তা দিয়েছেন, গ্রামীণ রাস্তায় ভারী ওভারলোড গাড়ির চলাচল বন্ধ করতে। তার পরেও কেন চলছে এই ধরনের বালি পরিবহণ ?” সভাধিপতির অভিযোগ, বালির স্টক থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে বালি গাড়ি ওজন হয়। এই ৩ কিলোমিটার রাস্তা ওভারলোড গাড়ি যাতায়াতের ফলে রাস্তার অবস্থা বেহাল হচ্ছে। ওজন মেশিনের জায়গাতেও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। অতিরিক্ত বালি খালি করে বিনা চালানে বিক্রিরও অভিযোগ উঠে আসছে।

এদিকে স্থানীয় গ্রামবাসীরাও ক্ষোভ উগরে দিয়ে জানান, স্কুল চলাকালীন সময়ে এই বিশাল আকৃতির বালি গাড়ির যাতায়াতে ছাত্রছাত্রীদের রাস্তা পার হতে সমস্যা হয়। কাদা ও গর্তে ভর্তি রাস্তার বেহাল অবস্থার জন্য এই ওভারলোড গাড়িকেই দায়ী করছেন তারা।

যদিও বিএলএলআরও সাফ জানিয়ে দেন, এই বিষয়গুলি দেখার দায়িত্ব মূলত স্থানীয় পঞ্চায়েতের।

অন্যদিকে, বিজেপির কটাক্ষ সভাধিপতি অনুসূয়া রায় এই ব্যবসা থেকে আর্থিক ভাগ পাচ্ছেন না বলেই হয়তো এবার অভিযান চালাতে বাধ্য হয়েছেন।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের একবার প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনিক কার্যকারিতা ও স্থানীয় স্বার্থের সংঘাত নিয়ে। প্রশাসনের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকেই তাকিয়ে এলাকাবাসী।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More posts