*রঞ্জিত কুন্ডু-বাঁকুড়া*

বাঁকুড়ার কোতুলপুরে একের পর এক প্রাণহানি ঘটনা শোরগোল এলাকায়*,
এক দিকে জলে ডোবার ঘটনা, কোতুলপুর থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে আনতে না আনতেই, ইলেকট্রিক শখ খেয়ে মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা,আর অন্যদিকে বাঁকুড়ার ইন্দাস এলাকার বছর 58 বয়সী এক ব্যক্তি আত্মহত্যার চেষ্টা করে তাকেও নিয়ে আসা হয় কোতুলপুর গোগরা গ্রামীণ হাসপাতালে সেখানেও তিনি প্রাণ হারা ওনার নাম উত্তম ধারা
৫৮ বছর বয়স , গ্রাম ইন্দাস ব্লকের কেনেটি পশ্চিম শ্রীরামপুর এলাকায়, একই দিনে তিন তিনটি দুর্ঘটনার জেরে সরগোল পড়ে যায় এলাকায়।

স্থানীয় সূত্রে খবর আজ দুপুরে মোবাইল ফোন চার্জ দিতে গিয়ে শক খেয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হল বছর কুড়ি বয়সে বৃষ্টি রায়ের। ঘটনা বাঁকুড়ার কোতুলপুর ব্লকের বালিঠা গ্রামে।
একদিকে বাঁকুড়ার কোতুলপুরে রামকৃষ্ণ পল্লীতে দুপুর একটা নাগাদ জলে ডুবে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা প্রাণহারান আনুমানিক বছর ৭০ থেকে ৭৫ বছর বয়সী সত্তকিংকর সেনের।

অন্যদিকে কোতুলপুর ব্লকের ঝোরো গ্রামের শ্বশুরবাড়ি থেকে বালিটা গ্রামের বাপের বাড়ি বেড়াতে এসে মোবাইল চার্জ দিতে গিয়ে প্রাণ হারালো এক গৃহবধূ, পরিবার সূত্রে খবর জানা যায় আজ দুপুরে খাওয়া দাওয়া করার পর মোবাইল চার্জ দিতে যান ওই গৃহবধূ বৃষ্টি রায়।
ঠিক তখনই ইলেক্ট্রিকের শক খেয়ে যায় বাড়ির মেয়ে বৃষ্টি রায়।
তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে কোতুলপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়, শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি, চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে কোতুলপুর রামকৃষ্ণ পল্লীতে গতকাল গভীর রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন সত্য কিংকর বাবু, আজ দুপুর ১টা নাগাদ তার দেহ পুকুরের জলে ভাসতে দেখেন স্থানীয় মানুষজন, সাথে সাথেই খবর দেয়া হয় কোতুলপুর থানায়, কোতুলপুর থানার পুলিশ এসে ওই দেহটি উদ্ধার করে কোতুলপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়, সেখানেও চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

একই ব্লকে ৩-৩টি জায়গায় পৃথক পৃথক ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।
কি জানাচ্ছেন ইলেকট্রিক শক খেয়ে মেয়ে হারা বাড়ির লোক ও জলে ডুবে যাওয়া প্রাণ হারানো সত্যকিঙ্কর বাবুর বাড়ির লোক, অন্যদিকে ইন্দাসের ঘটনায় বাড়ির লোকের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply