পঞ্চায়েত সমিতির জায়গা জোর করে দখল হয়েজাছে নাকি পঞ্চায়েত সমিতি জোর করে বাড়ি বানিয়েছে এই নিয়ে শুরু হয়েছে জোড় বিতর্ক।
রঞ্জিত কুন্ডু–বাঁকুড়া
ঘটনা বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের বনফুল এলাকায়।
বাম জামানা থেকে এলাকার মানুষ দেখে আসছে পঞ্চায়েত সমিতির জায়গা, সেই জায়গর উপর দীর্ঘদিনের রাস্তা ছিল রয়েছে তার প্রমাণ। রয়েছে পঞ্চায়েত সমিতির তৈরি করা বাড়ি তারপরেও শুরু হয়েছে জোড় বিতর্ক। বর্তমানে জায়গাটি নাকি রাহা দের এক ব্যক্তির, তিনি সেই জায়গাটির লোকমারফৎ বাসের বেড়া দিয়ে ঘিরে দিয়েছে। আর বাসের বেড়া দিয়ে দিতেয় এলাকায় তৈরি হয়েছে আলোড়ন। দীর্ঘদিনের সরকারি জায়গা কিভাবে লোকের নামে হয়, সবাই জানতো সরকারি ভেস্ট ল্যান্ড পঞ্চায়েত সমিতি দেখভাল করে আসছে। রয়েছে পাশেই সুরধ্বনি পার্ক যা বর্তমানে নাম পরিবর্তন করে হয়েছে বনফুল রিসোর্ট এই রিসোর্ট এর আন্ডারে এই জায়গাটি দেখভালের দায়িত্ব ছিল। হঠাৎ করেই জায়গা দখল করাকে কেন্দ্র করে এলাকার মানুষের মধ্যে সন্দেহর দানা বাঁধতে শুরু করেছে। জমি মাফিয়ারা, টাকার বিনিময়ে বিএলআর অফিসে ভেস্ট সম্পত্তি করে নিচ্ছে নিজের নামে।এর আগেও নীলকুঠির বলে যে জায়গাটি পাশে রয়েছে সেই জায়গাটি বাম জামানা অমল থেকে নীলকুঠির জায়গাটি সরকারি ভেস্ট ল্যান্ড রূপে পরিচিত সেই জায়গায় এখন লোকের নামে পরিবর্তন হয়ে গেছে হয়েছে দুতালা তিনতলা, চার তালা করে পাকার বাড়ি। কিভাবে সরকারি খাস ল্যান্ড একের পর এক লোকের নামে পরিবর্তন হয়ে যায়। এই নিয়ে শুরু হয়েছে জোরচর্চা। এলাকার মানুষ আঙুল তুলছে সরাসরি বি এল আর ও দপ্তরের দিকে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী তিনিও নিজেও বলেছিলেন ডি এল আর ও অফিস হচ্ছে ঘুঘুর বাসা সেই কোথায় যে বাস্তবে সত্যি হচ্ছে তা জয়পুরের মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে।। তা না হলে সিপিএমের ৩৪ বছর ও তৃণমূলের ১২ বছর শাসনকালে যে জায়গাটি সরকারি ল্যান্ড রূপে পরিচিত এবং সরকারি রাস্তা রয়েছে পঞ্চায়েত সমিতির যে জায়গা ব্যবহার করত সেই জায়গা কিভাবে একক মালিকানাধীন হয়ে যায়। এই নিয়ে শুরু হয়েছে শাসক বিরোধী তরজা, বিরোধীদের অভিযোগ শাসকদলের মদতে একের পর এক ভেস্ট ল্যান্ড চলে যাচ্ছে জমি মাফিয়াদের হাতে, শাসক দলের নেতারা যদি না যুক্ত থাকতো তাহলে কোনদিনই এসব কাজ করা সম্ভব হতো না। তারা এও প্রশ্ন করছে জঙ্গলের কাঠ থেকে নদীর বালি পাথর মোরাম সবই বিক্রয় করে দিচ্ছে শাসক দল। তবে অবশ্য এই অভিযোগ মানতে নারাজ শাসক দল। তবে প্রশ্ন উঠছে পঞ্চায়েত সমিতির জায়গা যদি নাই হবে তাহলে কিভাবে স্পন্সট্রাকশন তৈরি করতে পারে ২০২১-২২ অর্থবরসে পঞ্চায়েত সমিত ির কোন দিন সাধারণ মানুষের জায়গার উপর কনস্ট্রাকশনের সরকারি অর্থ ব্যয় করতে পারে না যদি সেই অর্থ ব্যয় করেও থাকে তাহলে প্রশাসন যথেষ্ট প্রমাণ স্বরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না কেন।
Leave a Reply