১৯০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত শিবদাস সেন্ট্রাল গার্লস হাই স্কুল কে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছেন বর্তমানের প্রধান শিক্ষিকা মধুমিতা কুন্ডু

Bangla circle news

১৯০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত শিবদাস সেন্ট্রাল গার্লস হাই স্কুল কে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছেন বর্তমানের প্রধান শিক্ষিকা মধুমিতা কুন্ডু

নিজস্ব প্রতিনিধী:-
উত্তাল বিষ্ণুপুর। স্কুল ইন্সপেক্টর ইপ্সিতা সেনও বহু কিছু তার ত্রুটি বিচ্যুতি তুলে ধরেন নতুন সভাপতি অভিজিৎ সিং কার্যভার গ্রহণ করার দিন। খাতা পত্র দাখিল করার নির্দেশ দেন। সুন্দর অভিনয়ের পাশাপাশি তাঁর কালঘাম ছুটিয়ে ছাড়েন। প্রশাসনের কর্মকর্তারা নিশ্চুপ । সর্বত্র ছড়িয়ে থাকা দুর্নীতি কোন অভাবেই আটকানো যায়নি। আর কতদিন চলতে পারে এসব। এনাকে এনেছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় সভাপতি থাকাকালীন। কয়েক মাসের মধ্যেই ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা হাবিস। তার কিনারা হয়নি। প্রাক্তন শিক্ষাবিদ বেলা রানী দাস এবং ওই স্কুলের শিক্ষিকা প্রয়াত রীনা ঘটক তার কাছে কাগজ পত্র দাখিল করতে বললে দৌড়ে বিষ্ণুপুর থানায় দৌড়ে ঢুকে পড়েন ।মিড ডে মিলের চাল বিক্রি করা হয় দিনের পর দিন।সহ্যসিমার চুড়ান্ত জায়গায় পৌঁছাতেই বিষ্ণুপুরের মানুষ তীব্রভাবে অনুভব করতে শুরু করে স্কুলের অবস্থা খারাপ । এক বছর হলো তিনি কাউকেই পাত্তা দিচ্ছেছিলেন না । সব সময় শাসক দল কে গালিগালাজ করে বেড়াচ্ছিলেন। প্রকাশ্য দিবালোকে রাস্তায় মুখ্যমন্ত্রী সহ তার সহযোগীদের চোর চোর বলে চেচিয়ে নিজেকে সাধু প্রমাণ করতে সর্বদা চেষ্টা করতেন।অতি সম্প্রতি এক ছাত্রী কে ৫ হাজার টাকা ঘুষের বিনিময়ে নবম শ্রেণীর থেকে দশম শ্রেণীতে তুলে দেওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসে একটি ভাইরেল হাওয়া ভয়েস রেকর্ডিং থেকে। মা ৫ হাজার টাকা দোব বলেও দেননি। মেয়েটিকে পুনরায় নবম শ্রেণীতে নামিয়ে দেওয়া হয়।মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। বিষ্ণুপুরের মানুষের প্রতিবাদের সোচ্চার হয়ে ওঠে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় অবিলম্বে এনাকে AI/DI সাসপেন্ড করছেন না কেন ? ১) মিড ডে মিলের কর্মীদের দ্বারা প্রতিদিন তার নিজের দুপুরের খাবার এবং রাতের খাবার তৈরি করিয়ে নিতেন ২) অতি সম্প্রতি মিড ডে মিলের দুস্হকর্মীরা নিরাপদ ভেবে গোষ্ঠীর টাকা রেখে ছিলেন স্কুলের আলমারিতে,তা হাবিস। সিসিটিভিক্যামেরায় ছবি আছে,কেবল টাকা রাখার। বাকিটা নেই৩) আদিবাসীদের ব্যাংকের পাস বই তাদের কাছ থেকে নিয়ে তার নিজস্ব অনুগামীর কাছে রাখতেন। এখানেও দুর্নীতির অভিযোগ। ছাত্রীরা এবং তাদের অভিভাবক অভিভাবকরা প্রতিবাদ করায় হোস্টেলটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন আদিবাসীদের মেয়েরা বিভিন্ন স্থানে কামিনের কাজ করছে।৪) ক্লাস ফাইভের ভর্তির সময় বিদ্যাসাগর একাডেমীর নাম করে টাকা তোলা হয় এবং তা বেআইনিভাবে ।
৭) এবারের সরস্বতী পূজায় চাঁদা উঠে দেড় লক্ষ টাকা। পূজা উপলক্ষে ছাত্রীদের ভোগ মিড ডে মিলের চাল থেকে তৈরি করা হয়। এক চতুর্থ শ্রেণীর কর্মীর কাছে ছিল 30 হাজার টাকা।বই অছিলায় তার কাছ থেকে অছিলায় ওই টাকা দিতে নির্দেশ দেন তিনি । কিন্তু পুরো বিষয় তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত কোন চেকের সই করবেন না বলে সভাপতি ঠিক করেছেন এবং নির্দেশ দিয়েছেন সকলকে।ঐ চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী টাকা দিতে অস্বীকার করেন।৮) বিধায়ক তন্ময় ঘোষের কাছে বিষ্ণুপুরের আমজনতা অভিযোগ করলে। তিনি বলেন আমরা সব অবগত, এখন পুরোপুরি তদন্ত চলছে ঠিক সময়েই ব্যবস্থা নেয়া হবে ।৯) মহকুমা শাসক অনুপ কুমার দত্ত এ ব্যাপারে জনসাধারণকে আশ্বাস দিয়েছেন তদন্ত পুরোদমে চলছে। আমরা সমস্ত কিছুই অবগত। এরজন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।১০) প্রায় প্রতিটি অভ্যন্তরীণ সভার মধ্যে প্রধান শিক্ষিকা বনাম পরিচালন কমিটির লড়াই চরমে। অভিজিৎ সিংহ বাপ্পা ঠাকুর এবং অন্যান্যরা প্রতিজ্ঞা করেছেন এর শেষ দেখেই তারা ছাড়বেন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *