প্রায় আড়াইশো বছরেরও প্রাচীন বাবা বাঁকুড়া রায় শিব ঠাকুর জিওর দিন গাজন উপলক্ষে হাজার হাজার মানুষের ভিড় বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের বৈতলে।
রঞ্জিত কুন্ডু–বাঁকুড়া
শুরুটা হয়েছিল আজ থেকে বাংলার ১৮৭৫ সালে, তখন জঙ্গলে ঘেরা ছিল এই মন্দির সংলগ্ন জায়গাটি, বাপ ঠাকুরদাদার আমল থেকে শুনে আসা যতদূর সম্ভব জানা যায় পূর্বপুরুষের আমলে ১৮৭৫ সালে মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বাবা বাঁকুড়া রায় মন্দির। তখন থেকেই চৈত্র মাসের সংক্রান্তির দুই দিন আগে গ্রামের গাছ কাটা কামলে তোলা রাত্রি গাজন ও সংক্রান্তির দিনে দিন গাজন করে আসছেন প্রাচীন রীতিনীতি মেনে এলাকার মানুষ।
আর সেই গাজন দেখতে অগণিত মানুষ বহু দূর-দূরান্ত থেকে ভিড় করেন বৈতল গ্রামে। কয়েকশো মিটারও বেশি দূর থেকে ঘাট পুজোর মধ্য দিয়ে দিন গাজনের সূচনা হয়। ঘাট পূজাতে পুকুরের পাড়ে বাবার ভক্তিদের পূজা অর্চনা করার পর শালে চড়ে দণ্ডী কাটতে কাটতে বাবার মন্দিরে আসে। কারণ একটাই বাবা মনবাঞ্জনা পূর্ণ করে। মনের বিশ্বাস তাই প্রায় ১৫০০ বেশি মানুষ বাবার গাজনের ভক্তে হয়েছে, শুধু তাই নয় দিন গাজনের সবশেষে হাজার হাজার দর্শকের ভিড়ে চড়ক উৎসব পালিত হয়। এক নজরে দেখাবো আপনাদেরকে বাবার দিন গাজনের ছবি দেখতে থাকুন বাংলা সার্কেল নিউজ এর পর্দায়।।




Leave a Reply