প্রচন্ড দাবদাহে উপেক্ষা করে পেট ভরানোর জন্য জ্বালানি সংগ্রহে আদীবাসি মহিলাগণ
ছবি – জয়দেব দেবাংশি (পাহাড়পুর)
আমাদের দেশে সহজ ও সরলতা নিয়ে জীবন অতিবাহিত করে চলেছে আনন্দ প্রিয় আদিবাসী সমাজের মানুষ। জীবনে কি পেলাম আর কি পেলাম না এই নিয়ে কোন হিসাব করে না, এবং মনের মধ্যে দ্বন্দ্ব পুষে রাখেনা। সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ আর কাজ আর তার মাঝে ক্লান্ত দেহকে শান্ত করার জন্য মাদলের তালে নাচ গানের মধ্যে মেতে ওঠে। স্বাধীন ভারত ৭৫ বছর পার করল দেশ,বিভিন্ন উন্নয়ন সুখী কর্মকাণ্ডের মধ্যে এগিয়ে চলেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এখনো এই আদিবাসী সমাজের বেশিরভাগ মানুষই অনেক পিছিনে পড়ে আছে বিশেষ করে শিক্ষা ও সমাজ সচেতনতার বাইরে। একদিন তথা দশই আগস্ট ঘন্টা করে বিশ্ব আদিবাসী দিবস পালিত হয় এদের কথা ভেবে। তবে ভাবনার মধ্যে রয়ে যায় স্বাধীন রাষ্ট্র। এদের ছেলেমেয়েদের স্কুলের খাতায় নাম লেখা আছে ঠিকই কিন্তু দেখা যায় সকালবেলায় পড়া শোনা বাদ দিয়ে গুলতি হাতে ছেলের দল পাখির খোঁজে ঘুরে বেড়ায়। মেয়েরা স্কুলের পোশাক পড়ে জ্বালানীর জন্য শুকনো কাঠ বা পাতা পুড়িয়ে বেড়াচ্ছে। সকালে পড়তে হবে তারপর স্কুলে যেতে হবে এটা ওদের ও বাড়ির কাজ করা ও মনের মধ্যে থাকে না, বিভিন্ন মেলা ও অনুষ্ঠানে ছেলেমেয়েরা যায় কিন্তু দেখা গেল সেদিন বাড়ি এলোনা। ওদের বাবা মাকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় তোমাদের ছেলে বা মেয়ে কবে বা কখন বাড়ি আসবে? উত্তর কে জানে। কার সঙ্গে গেছে উত্তর হবে কে জানে ।এই যে অভিভাবকদের মধ্যে প্রায়ই না জানার কথা নিয়ে বয়ে চলেছে। কয়েকদিন আগে সাঁইথিয়া ব্লকের নোয়াপাড়া গ্রামে ডাইনি সন্দেহে বা পারিবারিক বিবাদের জেরে গায়ের মোড়লের নির্দেশে নেনতু হেমরম ও পার্বতী হেমরমকে পিটিয়ে মারা হল। নোয়াপাড়ার উক্ত ঘটনার পর কয়েক দিন সচেতনতা চিকিৎসা হলো বিভিন্ন মহল হতে, এদের কথা সত্যি মনে রাখতে হবে। সকাল বা বিকালে এদের ছেলেমেয়েদের পঠন-পাঠনের সমাজ সচেতনতার উপর আলোচনার ব্যবস্থা রাখতে হবে ওদের এলাকার শিক্ষিত মেয়েদের দিয়ে কঠিন কাজটি শুরু করতে হবে আর পুরনো সাক্ষরতা কর্মীদের ওদের সঙ্গে যুক্ত করতে পারলে ভালো হবে তাহলে হয়তো একদিন এই সহজ সরল আনন্দ প্রিয় মানুষজন সুস্থ সুন্দর হয়ে সচেতনতার আলোয় জেগে উঠবে। সমাজের বুকে তথা স্বাধীন ভারতে।
Leave a Reply