বর্ষা আসতেই বাঁকুড়াই ধানবীচ তোলা তোয়রীর কাজ শুরু করলেও তবে সেইভাবে বৃষ্টি না হওয়ায় জয়পুর জঙ্গলের ছাতুর আশায় মন খারাপ জঙ্গলমহলের মানুশের।
রঞ্জিত কুণ্ডু–বাঁকুড়া

দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করেছে বর্ষা, তবে বর্ষা প্রবেশ করলেও সে রকম ভাবে বৃষ্টির দেখা নেই, যেখানে সেখানে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির লুকোচুরি, তবে বর্ষা যখন এসে গেছে বৃষ্টি, লুকোচুরি তো করবেই। তবে যাই হোক ভ্যাপসা গরমের হাত থেকে একটু হলেও রেহাই পেয়েছেন দক্ষিণ বঙ্গের মানুষ। তবে বর্ষাকালে ধান রোপনের জন্য, বাঁকুড়ার কৃষকেরা বীজ ধান ছড়িয়ে চারা তৈরির কাজ সেরে ফেলছেন, রাজ্যে যেকোনো সময় প্রবল বৃষ্টিপাত হতে পারে,প্রবল বৃষ্টি হলেই শুরু হবে ধান রোপনের কাজ। তাই চাষের জমি উর্বর করে রাখছেন লাঙ্গল দিয়ে। একদিকে যখন বাঁকুড়ার জয়পুরের কৃষকেরা ধান বীজ রোপনে ব্যস্ত ঠিক তখনই জয়পুর জঙ্গল এলাকার মানুষ জঙ্গলের প্রাকৃতিক উপায়ে উৎপন্ন হওয়া মাশরুম বা ছাতু সংগ্রহ করতে ব্যস্ত তবে সে রকমভাবে বৃষ্টি না হওয়ায় বিঘ্ন ঘটছে মাশরুম উৎপন্নতে। জঙ্গলে প্রাকৃতিকভাবে শাল গাছের পাতা পচে উৎপন্ন হয় একাধিক নামে পরিচিত ছাতু। শুধু নামে পরিচিত নয় বিভিন্ন রংবেরঙের ছাতু পাওয়া যায় এই জয়পুরের জঙ্গল থেকে। অন্যান্য বছর এই সময় দুই এক পশলা প্রবল বৃষ্টি হয় সেই প্রবল বৃষ্টির হওয়ার পরেই উৎপন্ন হয় ছাতু। তবে এই বছরে সেরকম ভাবে বৃষ্টির দেখা নেই, আর বৃষ্টির দেখা না পাওয়া যেতেই অনেক মানুষেরই রুজি রোজগার নেই বললেই চলে, তাই অধিকাংশ জয়পুর জঙ্গল এলাকার মানুষের মুখ ভার একই বর্ষার সময় কাজ নেই, তার উপর বৃষ্টির দেখা নেই,এই বর্ষার সময় দু-তিন মাস জঙ্গল থেকে বিভিন্ন ধরনের ছাতু সংগ্রহ করে তারা সংসার চালান,ছেলেপুলেদের মুখে দুবেলা দুমুঠো অন্ন তুলে দেন এই ছাতু বিক্রয় করে। সেখানেও আশার আলো দেখছে না এলাকার মানুষ। তারা অবশ্য ভগবানের উপরেই দোষারোপ করছেন তারা বলছেন রাখে হরি তো মারে কে, তিনি সব দেখছেন তিনিই ঠিক করবেন বাঁচিয়ে রাখবেন নাকি মেরে ফেলবেন সবই তারই হাতে ।তবে যাই হোক জঙ্গলের ছাতু সংগ্রহ নিয়ে কি বলছেন জঙ্গল এলাকার মানুষ তারা কিভাবে এই বর্ষাকালে সংসার চালান কিভাবে তারা ছাতুর সংগ্রহ করে জঙ্গল থেকে চলুন দেখব আপনাদের।
Leave a Reply