বাঁকুড়াঃ এবার শিক্ষাঙ্গনেও পুলিশের দাদাগিরির সাক্ষি থাকলো শহর বাঁকুড়া। শনিবার শহরের মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুলের গেট তৈরীর সময় তিন শ্রমিককে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠলো বাঁকুড়া সদর থানার বিরুদ্ধে। ছাত্র ছাত্রীদের সম্মিলীত প্রতিবাদে পুলিশ এই কাজে সফল হয়নি বলেই খবর।
ছাত্র ছাত্রীদের তরফে জানানো হয়েছে, নিরাপত্তার কথা ভেবে অতি সম্প্রতি স্কুলে একটি গেট তৈরীর কাজ শুরু হয়। ইতিমধ্যে দু'বার নির্ম্মীয়মান ঐ গেট দূস্কৃতিরা ভেঙ্গে ফেলে। ফের ঐ কাজ শুরু হলে পুলিশ তিন নির্মাণ শ্রমিককে গাড়িতে করে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। এমনকি প্রধান শিক্ষককেও 'অপমান' করা হয়েছে বলে তারা দাবি করেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, স্কুলের গেট না থাকায় ঐ এলাকায় অনেক আসামাজিক কাজকর্ম হচ্ছিল। সেকারণেই গেট তৈরী জরুরী বলে তারা জানান।
নির্মাণ শ্রমিক সঞ্জয় বাউরী বলেন, আমাদের কি দোষ সেটাই আমরা বুঝে উঠতে পারছিনা। আমরা কাজ করছিলাম, পুলিশ হঠাৎ এসেই আমাদের তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। তবে ছাত্র ছাত্রীদের বাধায় তা হয়নি বলে তিনি জানান।
প্রধান শিক্ষক সাধন চন্দ্র ঘোষ বলেন, সর্বশিক্ষা মিশনের টাকায় স্কুলের গেট তৈরীর কাজ চলছিল। এদিন ক্লাস শুরুর আগে পুলিশ নির্মাণ শ্রমিকদের তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। ছাত্র ছাত্রীরা বাধা দেয়। যে পুলিশ আধিকারিক স্কুলে এসেছিলেন তিনি তাঁর সঙ্গে ‘দূর্ব্যবহার’ করেন অভিযোগ তুলে বলেন, বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ থেকে শিক্ষামন্ত্রীকে জানাবো। প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হবেন বলেও তিনি জানান।
স্কুলে নির্মাণ শ্রমিকদের ‘আটক’ করতে যাওয়া পুলিশ আধিকারিক এবিষয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে নারাজ। তিনি বলেন, আই.সি-র নির্দেশেই এসেছি। যা বলার উনিই বলবেন বলে তিনি দাবি করেন।

পুলিশের পক্ষেই দাঁড়িয়েছেন বাঁকুড়া পৌরসভার উপ পৌর প্রধান হীরালাল চট্টরাজ। তিনি বলেন, জনৈকা পামেলা সরকার অভিযোগ করেছিলেন তার রাস্তার জায়গা দখল করে স্কুল কর্তৃপক্ষ গেট তৈরী করছেন। আর সেই কারণেই পুলিশের মাধ্যমে কাজ বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছিল। আর তারপরেও সেই কাজ হচ্ছিল। এবিষয়ে পৌরসভার সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষ পৌরসভার সঙ্গে কোন আলোচনা করেননি বলে তিনি দাবি করেন।
Leave a Reply