নদীপথে ফের পুরোনো পদ্ধতিতে ফিরে এসেছে কাঠ মাফিয়ারা

নদীপথে ফের পুরোনো পদ্ধতিতে ফিরে এসেছে কাঠ মাফিয়ারা। কিন্তু বনকর্মীদের তৎপরতায় সফল হতে পারেনি কাঠের চোরাকারবারিরা। গাছের গুড়ির সাথে গাড়ির টিউব এবং বাঁশ বেধে চালি পদ্ধতিতে বহু মূল্যবান গাছের গুড়ি পাচার নজরে আসেনি বেশ কয়েক বছর থেকে। হঠাৎ রবিবার ভোরে কুমারগ্রাম ব্লকের দুই নং রায়ডাক নদীর গতিপথে চালি পদ্ধতিতে কাঠ পাচার করছিল কাঠ মাফিয়ারা। গোপনে সে খবর পৌচ্ছায় বনকর্মীদের কাছে। খবর পেয়ে ভল্কা রেঞ্জ, চকচকা চেকপোস্ট রেঞ্জ এবং কামাখ্যাগুড়ি মোবাইল রেঞ্জের বনকর্মীরা যৌথভাবে অভিযানে নামে রায়ডাক নদীতে। ভুটানের দিক থেকে জলের গতিপথে চালি ভাসিয়ে নিয়ে আসার সময় কুমারগ্রাম ব্লকের পূর্ব চকচকা এলাকায় বনকর্মীরা একটি কাঠের চালি আটক করে। বনকর্মীদের দেখে ভরা নদী সাঁতরে পালিয়ে যায় কাঠের চোরাকারবারিরা। উদ্ধার হয় ১৫ টি সেগুন কাছের গুড়ি।

প্রায় পঞ্চাশ ঘনফুট সেগুন কাঠ যার আনুমানিক বাজার মূল্য কমকরেও এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা।
ভল্কা রেঞ্জ সূত্রে জানাগিয়েছে গাছের গুড়িগুলি উদ্ধার করে ভল্কা রেঞ্জ অফিসে নিয়ে আসা হয়েছে। ঘটনায় কারা জড়িত তাদের খোঁজ চালাচ্ছে বনকর্মীরা।
নিমাই চাঁদ, কুমারগ্রাম।