Category: দক্ষিণবঙ্গ

  • মাথায় গেরুয়া বস্ত্র পরনে গামছা নিয়ে মাঠে নেমে পড়লেন বিজেপি বিধায়ক লাগালেন ধান ট্রাক্টরে করলেন চাষ।

    মাথায় গেরুয়া বস্ত্র পরনে গামছা নিয়ে মাঠে নেমে পড়লেন বিজেপি বিধায়ক লাগালেন ধান ট্রাক্টরে করলেন চাষ।

    মাথায় গেরুয়া বস্ত্র, কোমরে পরনে গামছা জমিতে চাষ করছেন বিজেপি বিধায়ক, নাটক বলে কটাক্ষ তৃণমূলের

    বাঁকুড়া:- মাথায় পরনে গেরুয়া বসন,কোমরে গামছা ফের আগের ভূমিকায় দেখা গেল বাঁকুড়ার গেরুয়া বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানাকে। নিজের পৈত্রিক জমিতে চালালেন ট্রাক্টর,রোপন করলেন ধান বীচ। তারপর জমির ধারে উঠে এসে বললেন কৃষকদের সাথে কথা। তাদের বোঝালেন কেন্দ্রীয় সরকার ঠিক সময় মত কৃষকদের চাষের দ্রব্য প্রদান করলেও রাজ্য সরকারের সদিচ্ছা নেই সেই কারণে কৃষকরা সঠিক সময় সঠিক জিনিস পাচ্ছে না।

    প্রসঙ্গত বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রী শেখর দানা।জন্মসূত্রে বাঁকুড়া ১ নম্বর ব্লকের গোড়াবাড়ি গ্রামের কৃষক পরিবারের সন্তান। বিধায়ক হওয়ার পূর্বে বরাবরই তিনি প্রত্যেক বছর পৈতৃক জমিতে চাষ করে আসতেন,এখনো তিনি সেই কাজ করেন বলে দাবি স্থানীয় কৃষক এবং প্রতিবেশীদের।

    বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানার কথায় “চাষা বাড়ির সন্তান কৃষিকাজ করবো না তো করবটা কি, একটা সময় বাবা দাদারা সবাই এই কাজ করতেন তাই সেই কাজ আমি এখনো করে আসছি”। বিধানসভা ভোটের আগে জনসংযোগের নয়া মাধ্যম কিনা এই বিষয় জানতে চাওয়া হলে তিনি তার উত্তরে বলেন “আমি বরাবরই এই কাজ করি বাপ ঠাকুর দাদার দেখানো পথেই আমি চলছি,জনসংযোগের কোন বিষয় নয়”।

    নীলাদ্রী শেখর দানার এই ধরনের কর্মকাণ্ডকে তীব্র কটাক্ষ করেছে শাসক তৃণমূল শিবির। বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান অলকা সেন মজুমদার বলেন “বিধানসভা ভোট এগিয়ে আসছে তাই নাটক শুরু করেছে বাঁকুড়ার বিধায়ক,চার বছর অতিক্রান্ত হয়ে যাবার পরও বিধায়ক মানুষের কোন কাজে লাগে না,মানুষ বিপদে তাকে পাশে পায় না”।

    বাইট:-
    ১) নীলাদ্রি শেখর দানা (বিজেপি বিধায়ক, বাঁকুড়া)

    ২)অলকা সেন মজুমদার (চেয়ারম্যান, বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল)

    ৩)কৃষকগন।

  • বাঁকুড়া টাউন গার্লস হাই স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে স্কুল বন্ধ রেখে এমন কাজ ঘোটালো জানি হইচই শুরু এলাকায়। কি এমন কাজ করল দেখুন বিস্তারিত:-

    বাঁকুড়া টাউন গার্লস হাই স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে স্কুল বন্ধ রেখে এমন কাজ ঘোটালো জানি হইচই শুরু এলাকায়। কি এমন কাজ করল দেখুন বিস্তারিত:-

    স্কুল বন্ধ রেখে চলছে জিবাংলার সারে গামা পা অনুষ্ঠানের অডিশন জানিয়ে তরজা শুরু বাঁকুড়ায়।

    বাঁকুড়া টাউন গার্লস হাই স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে স্কুল বন্ধ রেখে জি বাংলা সারেগামাপার অনুষ্ঠানের অডিশন করার অভিযোগ।।

    শনিবার এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।কোন টিভি চ্যানেলের নিজস্ব কাজের জন্য কি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি দেওয়া যায়? উঠছে প্রশ্ন। স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানার দাবি, স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের মদতেই স্কুল বন্ধ রেখে ওই কাজ হচ্ছে। এর পিছনে ‘টাকার লেনদেন’ কিম্বা কারো ছেলে মেয়েকে ওই অনুষ্ঠানে সুযোগ করে দিতেই এভাবে অডিশনের ব্যবস্থা বলে তিনি দাবি করেন।

    অডিশনের দায়িত্বে থাকা কর্মীরাও এবিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি। এবিষয়ে যা বলার সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষিকা বলবেন বলে তারা জানিয়েছেন।বাঁকুড়া টাউন গার্লস হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মুকুরবালা মাণ্ডি টেলিফোনে  বলেন, দু'টি পাওনা ছুটির একটি ছুটি আজ দেওয়া হয়েছে। ।
    

    তবে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির বাঁকুড়া জেলা সভাপতি গোরাচাঁদ কান্ত বলেন, ছুটি পাওনা আছে বলেই এভাবে ছুটি দেওয়া যায়না। শুধুমাত্র লোক্যাল ফেস্টিভ্যালের ক্ষেত্রেই ওই ছুটি দেওয়া যায়। টাউন গার্লসে যা হয়েছে তা শিক্ষা বিরোধী বলেও তিনি দাবি করেন।

  • এবার মাঠে ধানলাগাতে গিয়ে বাড়ি ফেরার পথে আদিবাসী যুবতীকে ধর্ষণ বিষ্ণুপুরে, দেখুন বিস্তারিত ।

    এবার মাঠে ধানলাগাতে গিয়ে বাড়ি ফেরার পথে আদিবাসী যুবতীকে ধর্ষণ বিষ্ণুপুরে, দেখুন বিস্তারিত ।

    এবার মাঠে ধানলাগাতে গিয়ে বাড়ি ফেরার পথে আদিবাসী যুবতীকে ধর্ষণ বিষ্ণুপুরে, দেখুন বিস্তারিত 👉

    এবার বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে এক যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগ এমনটাই অভিযোগ পরিবারের। ঘটনাই তোলপাড় বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর।।

    ফের ধর্ষণের অভিযোগে চাঞ্চল্য হলো বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে।
    বিষ্ণুপুরের এক যুবতী পাড়া প্রতিবেশীদের সাথে মাঠে ধান লাগানোর কাজে গিয়েছিলেন, বাড়ি ফেরার পথে কয়েকজন ব্যক্তি ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ জানাজায় ঘটনাটি ঘটে গত মঙ্গলবার। সেই দিন থেকেই অসুস্থ শরীর নিয়ে বাড়িতেই ছিলেন বছর ৩১ এর অবিবাহিত যুবতী।

    ভয়ে কাউকে কোন কথাই বলতে পারছিলেন না সেই সময়, বাড়ির বৌদির নজরে আসে তার ননদ অস্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করছে বাড়িতে। কেন সুস্থ মেয়ে অসুস্থ ভাবে চলাফেরা করছে বিষয়টি আগ্রহ সহকারে জানার চেষ্টা করেন বৌদি ।আর তখনই কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই যুবতী ননদ, সম্পূর্ণ বিষয়টি খুলে বলেন, ঘটনার বিবরণ শুনে আটকে ওঠেন পরিবারের লোকজন। সাথে সাথেই নিয়ে যাওয়া হয় বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে সেখানেই তাকে ভর্তি করা হয়েছে। এখন অবস্থা অবনতি ঘটায় বিষয়টি নিয়ে থানার দারস্ত হন, এই ঘটনায় দ্রুত তদন্তে নামে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ। সন্দেহের বশে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ ওই ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে বলেই খবর।

    তবে ওই যুবতী জানান যারা এই কুকর্ম করেছে তাদের প্রত্যেকের মুখ বাধা ছিল বাড়ির লোকের কোথায় তারা নাকি তিনজন ব্যক্তি ছিলেন তিন জনের মধ্যে একজন ধর্ষণ করে আর দুইজন দাঁড়িয়েছিল। তাদের বাড়ির মেয়ে ভয়ে কোন কথা বলেননি। শরীর অসুস্থ থাকার তাদের সন্দেহ হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদ করতেই আসল ঘটনা পেরিয়ে পরে ওই নির্যাতিতা যুবতীর মুখ থেকে।

    তবে এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপি নেত্রী শুক্লা চট্টোপাধ্যায়। এই পরিবারটির পাশে দাঁড়ান এবং দ্রুত তদন্ত করে উপযুক্ত দোষীদের শাস্তির দাবি জানান। এবং এই পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি বিস্তারিত দেখতে হলে অবশ্যই এই ভিডিওটি শুনুন।

  • তৃণমূলের সন্ত্রাসের ভয় নাকি ইচ্ছাকৃত নমিনেশন দিল না বিরোধীরা, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাই সমবায় নির্বাচনে জয় তৃণমূলের। নির্বাচনের নামে প্রহসন বলে কটাক্ষ বিরোধীদের

    তৃণমূলের সন্ত্রাসের ভয় নাকি ইচ্ছাকৃত নমিনেশন দিল না বিরোধীরা, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাই সমবায় নির্বাচনে জয় তৃণমূলের। নির্বাচনের নামে প্রহসন বলে কটাক্ষ বিরোধীদের

    তালডাংরায় ফের ‘গায়ের জোরে’ জয় তৃণমূলের! বিরোধীদের অভিযোগ, “নির্বাচনের নামে প্রহসন”।

    বিধানসভা নির্বাচন এখনও অনেক দূরে, কিন্তু তার আগে যেন প্রস্তুতি ম্যাচ শুরু করে দিল শাসক দল তৃণমূল। তালডাংরার সমবায় সমিতির পরিচালন সমিতি নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সব আসনে জয় পেয়ে ফের উড়ল সবুজ আবির।

    আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিরোধীরা স্পষ্ট অভিযোগ তুলেছে, এই জয় কোনও গণতান্ত্রিক জয় নয়, এটা পুলিশের সহযোগিতায় বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করে গায়ের জোরে ছিনিয়ে নেওয়া আসন।

    বৃহস্পতিবার তালডাংরায় ৯টি আসনের জন্য নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও, একটিও বিরোধী মনোনয়ন জমা পড়েনি। ফলে সব আসনেই তৃণমূল প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন। বিরোধীরা দাবি করেছে, তাদের মনোনয়ন জমা দিতেই দেওয়া হয়নি। প্রশাসনের নির্লিপ্ত ভূমিকা এবং শাসক দলের হুমকি-চাপের কারণেই কেউ মনোনয়ন জমা দিতে সাহস পাননি।

    বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য সৌগত পাত্র কটাক্ষ করে বলেন, “জয়লাভ আবার কি জিনিস ? মনোনয়ন জমা দিতেই যদি না দেওয়া হয়, তাহলে এটা নির্বাচনের নামে প্রহসন ছাড়া কিছুই নয়। পুলিশ-প্রশাসনের সহায়তায় গায়ের জোরে সব দখল করেছে তৃণমূল।”

    ২০০৯ সালে তৎকালীন সিপিআইএম-কে হারিয়ে তৃণমূল প্রথমবার এই সমবায়ে ক্ষমতায় আসে। ২০১৯ পর্যন্ত চলে তাদের কার্যকাল। তারপর দীর্ঘ ৬ বছর পেরিয়ে ২০২৫-এ এসে নির্বাচন না করেই ফের সব আসনে দখল।

    তৃণমূলের নেতারা যদিও এ জয়কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের জয় বলেই ব্যাখ্যা করছেন, তবে বিরোধীদের প্রশ্ন, “উন্নয়নে যদি আস্থা থাকে, তাহলে ভোটে যেতে এত ভয় কেন ?”

  • প্রায় 400 বছর আগে থেকে কেন এই গ্রামে অসময়ে বাবা ধর্মরাজের গাজন হয় জানেন,শুনলে চমকে যাবেন আপনিও।

    প্রায় 400 বছর আগে থেকে কেন এই গ্রামে অসময়ে বাবা ধর্মরাজের গাজন হয় জানেন,শুনলে চমকে যাবেন আপনিও।

    প্রায় 400 বছর আগে থেকে কেন এই গ্রামে অসময়ে বাবা ধর্মরাজের গাজন হয় জানেন, এই গাজনে কেন উৎসবে মেতে উঠেছে গ্রামবাসীরা, দেখুন তাহলে।

    প্রায় ৪০০ বছরের অধিক প্রাচীন ধর্মরাজের গাজনকে ঘিরে উৎসব শুরু গ্রামে।
    ভাবছেন তো এখন কেন গাজন? দেখতে হলে চ্যানেলটি ফলো করে রাখুন এখনি।


    এই গাজনের ইতিহাস রয়েছে অনেক শুরুটা হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৪০০ বছর আগে দুর্গাপুর দামোদর থেকে তাম্র সম্প্রদায়ের মানুষজন বেলিয়াতোড়ের গ্রামের মানুষদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন বাবা মহাদানা ঠাকুর, স্বরূপ নারায়ণ জীউ ও ধর্মরাজ জীউ কে। সেই থেকেই শুরু গাজন উৎসব।

    গাজন তো চৈত্র মাসের সংক্রান্তি থেকে জৈষ্ঠ মাস পর্যন্তই হয় প্রায় এক মাস ধরে বিভিন্ন গাজন হয়ে থাকে, যেমন ছেলে গাজন বা ধর্মের গাজন।
    গাজন মানেই দেবাদিদেব মহাদেব অর্থাৎ শিবের গাজন শুনেছেন বা দেখেছেন ।বেলিয়াতোড়ের ধর্মরাজের গাজন কিন্তু একেবারেই অন্যরকম, এটি একটি প্রাচীন লোক উৎসব, যা প্রতি বছর আষাঢ় মাসের পূর্ণিমায় অনুষ্ঠিত হয়।

    এটি মূলত ধর্মঠাকুরের পূজা এবং একটি মেলা হিসাবে পরিচিত। এই উৎসবে ধর্মঠাকুরের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন পূজা-অর্চনা করা হয় এবং বিভিন্ন লোকনৃত্য ও গান পরিবেশিত হয়। এটি বেলিয়াতোড় অঞ্চলের মানুষের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব এবং ধর্মীয় ও সামাজিক ঐতিহ্য বহন করে।
    বেলিয়াতোড়ের ধর্মরাজের গাজন।
    এই উৎসবে প্রধানত ধর্মঠাকুরের পূজা করা হয়, যিনি লোকদেবতা হিসেবে পরিচিত।

    গাজন উপলক্ষ্যে বসে মেলা চলে বিভিন্ন লোকনৃত্য ও গান যা এই অঞ্চলের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ।
    এই উৎসব বেলিয়াতোড় অঞ্চলের মানুষের কাছে ধর্মীয় ও সামাজিক দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি তাদের
    ঐতিহ্যবাহী উৎসব, তাই শত শত বর্ষ ধরে এই গাজন উৎসব তারা করে আসছেন গ্রামে।

  • জেলায় জেলায় সিপিএমের ডাকা বন্ধের মিশ্র প্রভাব,যাত্রী ভোগান্তিতে জয়পুর।

    জেলায় জেলায় সিপিএমের ডাকা বন্ধের মিশ্র প্রভাব,যাত্রী ভোগান্তিতে জয়পুর।

    জেলায় জেলায় সিপিএমের ডাকা বন্ধের মিশ্র প্রভাব,যাত্রী ভোগান্তিতে জয়পুর।


    বামপন্থী ট্রেড ইউনিয়নের ডাকা রাজ্যজুড়ে ধর্মঘটের মিশ্র প্রভাব পড়ল বাঁকুড়ার জয়পুরে। সকাল থেকেই বাসযাত্রীরা হয়রানির শিকার দাঁড়িয়ে আছেন ঘন্টার পর ঘন্টা। অন্যদিকে চলছে পুলিশি টহলদারী পুরা নজরে প্রশাসন।
    সকাল থেকে দুই একটি বাস গেলেও অন্য দিনের তুলনায় অনেক কম চলছে বেসরকারি বাস।
    অনেকে ভেবেছিলেন বাস চলবে অনেকে জেনে শুনেও বেরিয়েছেন বাড়ি থেকে কর্মস্থল বা আত্মীয় বাড়ি।কেউ যাবেন কলকাতা তো কেউ যাবেন বাঁকুড়া। সকাল থেকেই দাঁড়িয়ে রয়েছে বাস যাত্রীরা।


    তার উপর সরকারি কর্মচারীদের বাধ্যতামূলক অফিসে হাজীরা না দিলে কাটা যাবে বেতন। বাদ যাবে ছুটির একটা দিন। তার থেকেও বড় কথা শোকজ করা হবে কর্মচারীদের এই ভয়ে গাড়ি ভাড়া করে ছুটছেন অফিসে।
    তাই বন্ধের মিশ্র প্রভাব পড়লেও অনেকে গাড়ি ভাড়া করে ছুটে যাচ্ছেন চাকরির স্থলে। তবে ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ, তাদের কপালে জোটেউনি গাড়ি পকেটে নেই টাকা, তাই তারা ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করছেন কখন একটি বাস আসবে, তাতে সেই বাস সরকারি হোক বা বেসরকারি,সেই বাসে চেপেই তারা গন্তব্যস্থলে পৌঁছে যাবেন। তবে এক বাস যাত্রী তিনি জানান তিনি বেরিয়েছেন কলকাতায় মেয়ের বাড়ি যাবে বলে, মেয়ে খুব অসুস্থ দেখতে যাবেন,বাবা।

    আর তার মধ্যেই এই হয়রানি তিনি জানতেন যে আজকে বন্ধ তবুও তাকে বের হতে হয়েছে মেয়ের জন্য। অন্যদিকে সিপিএমের পক্ষ থেকে তারা দাবি করছেন তারা সাধারণ মানুষের জন্যই এই বন্ধ ডেকেছেন একটু হলেও অসুবিধা হচ্ছে তবে কিছু করার নেই।

    আমরা সাধারণ মানুষের জন্য এই বন্ধ ডাকা হয়েছে। তাই এই বন্ধকে সফল করতে সকল মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

  • সমবায় সমিতির নির্বাচনে নমিনেশন জমা করতেই এলোনা বিরোধীরা।

    সমবায় সমিতির নির্বাচনে নমিনেশন জমা করতেই এলোনা বিরোধীরা।

    বিরোধীদের ভোকাট্টা করে সমবায়ের জয় তৃণমূলের।

    ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগেই জয় দিয়ে শুরু, বিরোধীদের জন্য ওষুধ বাটা চলছে বলে নির্বাচনে লাগানো হবে বলে বার্তা বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতির।

    বিরোধীদের ভোকাট্টা করে বাঁকুড়ার উত্তরবাড় সমবায় নির্বাচনে ৫৯ আসন পেয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় তৃণমূলের। এই জয় দিয়ে শুরু হল আগামী ২৬ এর নির্বাচনের। বিরোধীদের জন্য ঔষুধ বাটা চলছে বিরোধী শিবির কে কড়া হুশিয়ারি তৃণমূল বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতির৷ আজ বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের উত্তরবাড় সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নমিনেশন জমা করার দিন ছিল সময় ছিল বেলা তিনটা পর্যন্ত,নির্বাচনের আসন ৫৯, এদিন বিকেল ৩ টা পর্যন্ত্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ওই নির্বাচনে বিরোধীদের দেখা মিলেনি সকাল থেকে, স্বাভাবিক ভাবেই শুধুমাত্র তৃণমূলের তরফে ৫৯ আসনে মনোনয়ন জমা করা হয়৷

    বিরোধীরা মনোনয়ন না করায় উত্তরবাড় সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে ৫৯ আসনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় জয় পেল তৃণমূল। জয়ের পরে সমবায়ের সামনে সবুজ আবীর নিয়ে প্রতিনিধি ও দলীয় নেতা কর্মীদের নিয়ে বিজয় উল্লাস করলেন তৃণমূল বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুব্রত দত্ত। এদিন জয়ের পরে তৃণমূল সভাপতি দাবি করেন, জেলা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পরে প্রথম জয়।

    এই জয় দিয়ে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলায় যাত্রা শুরু করলাম। আগামী নির্বাচন গুলিতে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলায় বিরোধীদের বিরোধীশূন্য করার ঔষুধ বাটার কাজ চলছে। ২৬ এর নির্বাচনে আগে বিরোধীদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিলেন তৃণমূল সভাপতি সুব্রত দত্ত। বিরোধীদের কটাক্ষ সন্ত্রাসের রাজনীতি করে ছোট নির্বাচনে জেতা যায়। লোকসভায় জয়পুরের মানুষ বিজেপিকে সমর্থক করে জিতিয়েছে। ২৬ এর নির্বাচনেও মানুষ বিজেপির সাথে থাকবে পালটা তৃণমূলকে জবাব বিজেপির।


    সত্যিই কি পারবে বিরোধীরা, আজকের সমবায় সমিতির ভোটের ময়দানে সিপিএম কংগ্রেস বিজেপি কোন দলকে দেখতে পাওয়া গেল না। সরাসরি ময়দানে নামতে, বিজেপি কি পারবে ২৬ এর নির্বাচনে জয় ছিনিয়ে নিতে নাকি সমবায় সমিতির ভোটের মতো নমিনেশনে জমা দেবে না। তার কারণ প্রধান বিরোধী দল এখন বিজেপি সিপিএম ও কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের সেভাবে মিটিং মিছিলে লোক না এলেও বিরোধী দল বিজেপির মিছিলে ভালই লোক সংখ্যা রয়েছে।

    সেখানে একটা সমবায় সমিতি নির্বাচনে জবাই করতে লোনা নমিনেশন এই নিয়ে গুঞ্জন শুরু এলাকায় তাহলে কি জয়পুরের জেতা মাটি ছেড়ে দেবে তৃণমূলের হাতে নাকি সত্যি সত্যি ভয় তারা বাড়িতে বসে রাজনীতি করবে তবে যাই হোক আগামী দিন অর্থাৎ ২০২৬ নির্বাচনে দেখা যাবে কোন দলের পাল্লা ভারী? কোন দিকে যায় ভোট। ঘাসফুল নাকি পদ্মে? কমেন্ট করে জানান।।

  • বাদলের দিনে বাজার করতে গিয়ে সবজি ও সজনে ডাটার দাম শুনে শুকিয়ে ডাটা হবার উপক্রমে মধ্যবিত্ত।

    বাদলের দিনে বাজার করতে গিয়ে সবজি ও সজনে ডাটার দাম শুনে শুকিয়ে ডাটা হবার উপক্রমে মধ্যবিত্ত।

    *রঞ্জিত কুন্ডু-বাঁকুড়া*

    একেবারেই মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে সবজির দাম।

    কয়েক মাস আগেও যে জিনিসের মূল্য ছিল প্রতি কেজির দাম 5 থেকে 10 টাকা সেই জিনিসের দাম একেবারেই আকাশ সমান।
    এমনিতেই সরিষার তেলের ঝাঁজ থাকুক বা না থাকুক মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে নিম্ন মধ্যবিত্তের সরষের তেলের দাম শুনে চোখে জল এসে গেছে এখন।


    সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। চিন্তায় শুকিয়ে যাচ্ছেন সজনে ডাটার মত তার উপর অনেক সবজি বাজারে অমিল। টাকা দিলেও না পাওয়ার উপক্রম। অতি বৃষ্টির কারণেই এই মূল্যবৃদ্ধি এমনটাই জানাচ্ছেন যারা সবজি চাষ করেন তারা। তারা জানাচ্ছেন অনেক গাছ লাগাতার বৃষ্টির কারণে মারা যাচ্ছে হচ্ছে না জমির ফসল তার উপর রাসায়নিক সার ও কীটনাশক দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। তাই সবজি চাষে বেড়েছে খরচ তাই দামোদ তুলনামূলকভাবে বাড়ছে বাজারে।

    এক নজরে দেখে নিন আজকের সবজি ও বাজারের দাম
    বেগুন ৮০ টাকা, ঝিঙে ৭০টাকা, পটল ৪০, লাউ ২৫ থেকে ৩০, কুদরি ৩০, টমেটো ৬০, ঢেঁড়স ৭০, বরবটি ৬০ থেকে ৭০, কাঁচা লঙ্কা ১০০, শশা ৫০, বাঁধাকপি ৪০ ফুলকপি ৮০ কচু ৩০ টাকা, ধনেপাতা ৩০০ টাকা কেজি পেপসিকাম ১৬০, কাকরোল ৮০ টাকা, বিন্স ২০০ টাকা, গাজর ৫০, বিট ও ৫০ টাকা দাম, সজিনা টাটা ২০০ চিচিঙ্গা ৫০, আলু ১৫, কুমড়ো ২০ টাকা কেজি,করোলা ৭০, পুনকো সাক ৫০, কলমি শাক আঠি পেছু পাঁচ টাকা, পুঁইশাক ২০ টাকা কেজি এই হচ্ছে আমাদের নিত্যদিনের বাজারের দাম।

    তবে দাম বাড়ুক বা কমুক বাজার তো করতেই হবে না। কারণ পেট তো আর কথা শুনবে না। তবে যে হারের দাম বৃদ্ধি হয়েছে সবজি থেকে আলু পটল থেকে গোলদারীর দোকানে, সরষের তেল হোক বা সোয়াবিন সবেতিই বেড়েছে দাম, দাম কি কমা সম্ভাবনা আছে, নাকি এভাবেই বৃদ্ধি হতে থাকবে আরো।


    তবে স্থানীয় এলাকার মানুষ যেটা জানাচ্ছেন এরকমভাবে আর কয়েক মাস চলতে থাকলে সংসার চালানোই দুর্দায় হয়ে পড়বে, একই তো রোজগার নেই, বৃষ্টি হচ্ছে অনর্গল। কাজ নেই হাতে, তার ওপর সংসারের চাপ। শুধু যে সংসারের চাপ তা নয় ছেলেপুলেদের পড়াশোনার খরচ, সবেতি খরচ আর খরচ।
    বেতন বাড়েনি লেবারের কাজ থেকে কর্মচারীদের। তাই রোজগার করার সব লাইনেই বন্ধ। শুধু খরচের উপর খরচ কি করবেন আগামী দিনে ভেবে উঠতে পারছে না বলেই জানান স্থানীয় মানুষজন।

  • দুষ্টুর দুষ্টুমি দেখবে এবার সারাদেশ, আগেই দেখেছে জেলার মানুষ এবার দেখবে তথা রাজ্য ও দেশের মানুষ।

    দুষ্টুর দুষ্টুমি দেখবে এবার সারাদেশ, আগেই দেখেছে জেলার মানুষ এবার দেখবে তথা রাজ্য ও দেশের মানুষ।

    কষ্ট করলে যে কেষ্ট মেলে আর ধৈর্যের ফল যে মিষ্টি হয়, তা আরো একবার প্রমাণ করে দিল বাঁকুড়ার ইন্দাসের ছেলে শ্যামাপদ মল্লিক ওরফে দুষ্টু।


    এবার জেলা পেরিয়ে সারা রাজ্যের মানুষ দুষ্টুর দুষ্টুমি দেখবে অর্থাৎ দু পায়ের জাদু দেখবে ফুটবলপ্রেমী দর্শকেরা।
    এবার বাঁকুড়ার ঘরের ছেলের টালিগঞ্জ অগ্রগামী টি এ এফ সি ফুটবল ক্লাবের খেলার সুযোগ পেল শ্যামাপদ, খুশির হওয়া ইন্দাস জুড়ে।
    ছোট থেকেই হারিয়েছে বাবাকে অনেক কষ্ট করে সংসারের হাল ধরেছে মা, নিজেও অনেক কষ্ট করে বড় হয়েছেন। খেলাটা শুরু ছিল স্কুল জীবনে, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত তিনি পড়াশোনা করেছেন অনেক কষ্ট করে।
    অনেক কষ্টের মধ্যে বড় হলেই হাল ছাড়েনি তিনি চালিয়ে গেছেন খেলা ধুলা।


    খেলা ছিল তার কাছে নেশার মত, কেউ ফুটবল খেলতে দেখলেই নেমে পড়তো মাঠে, আর খেলোয়ার হিসেবে এতটাই নাম অর্জন করেছিল এলাকায় যে মাঠেই যে দলের হয়ে খেলতে যেতেন দর্শকের মন কেড়ে নিতেন এলাকায় ভালই নাম রয়েছে দুষ্টুর।
    তার প্রমাণ তার বাড়িতে সারি সারি ভাবে সাজানো ট্রফি মেডেল সবই রয়েছে,তার কাছে। কিন্তু বাঁকুড়া জেলার মানুষের কাছে খেলোয়ার হিসাবে নাম অর্জন করলেও সেরকমভাবে সুযোগ পায়নি নামিদামি কলকাতার নামকরা ফুটবল ক্লাবে।


    কিন্তু ইন্দাস ব্লকের ইন্দাস ফিটনেস গ্রুপ ফুটবল কোচিং সেন্টার তারাই যোগাযোগ করেন কলকাতার নামিদামি ক্লাবে, সেখান থেকেই যোগাযোগ হয়ে চান্স পেল টালিগঞ্জ অগ্রগামী ফুটবল ক্লাবে, অর্থাৎ টি এ এফসিতে নিজেকে একটা প্রতিষ্ঠিত ফুটবল ক্লাবে জায়গা করে নেওয়ায় বা সুযোগ পাওয়ায় যেমন খুশি তেমনি ঠিক ততটাই খুশি ইন্দাস ফিটনেস গ্রুপের প্রতিটি সদস্য থেকে শুরু করে এলাকার মানুষ।
    আর ইন্দাস বিধানসভার মধ্যে এত সুন্দর একজন খেলোয়াড় কলকাতার ক্লাবে খেলতে যাবে তাকে সম্বর্ধনা জানাবে না বিজেপি বিধায়ক নির্মল ধারা, তা কখনো হয়।

    ছুটে গেলেন তার বাড়িতে দিলেন সমবর্ধনা দাঁড়ালেন পাশে উত্তরীয় ও ফুলের মালা ও ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করলেন তাকে। আগামী দিনে আরো বড় হোক দুষ্টু আরো নামিদামি ক্লাবে খেলে আগামী দিনে রাজ্য তথা দেশের নাম উজ্জ্বল করুক শ্যামাপদ মল্লিক এটাই ঈশ্বরের কাছে তিনি প্রার্থনা করেন।
    মাত্র 29 বছর বয়সে ইন্দাসের যুবকের এই সাফল্যে খুশি আপামোর সাধারণ মানুষ, কি জানাচ্ছেন শ্যামাপদ মল্লিক ওরফে ইন্দাস এলাকার দুষ্টু ।

    তিনি জানান ছোট থেকেই অনেক কষ্ট করে মানুষ মা লোকের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালান। বাবা মারা গেছে বেশ কয়েক বছর হল। মা কোনদিনই বাধা যায়নি খেলাধুলা বন্ধ করতে।

    সহযোগিতা করেছে সকলে খেলেছেন বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে এক জেলা থেকে আরেক জেলা তবে এত বড় মাপের ক্লাবের সুযোগ পাওয়ায় তিনি খুশি ধন্যবাদ জানান উনার পাশে দাঁড়ানো বিজেপির বিধায়ক নির্মল ধারা কে তিনি যে পাশে দাঁড়িয়েছেন এতেই খুশি। তিনি চান আরো অনেকে এভাবেই ওর পাশে দাঁড়াক। এই বিষয়ে কি বলছেন নির্মল ধারা তা বিস্তারিত দেখতে এই ভিডিওটি অবশ্যই দেখুন।।

  • তারাপীঠে উল্টো রথে মা তারার রাজবেশে মহা পরিক্রমা, ভক্তদের ঢল নামল মন্দির চত্বরে।

    তারাপীঠে উল্টো রথে মা তারার রাজবেশে মহা পরিক্রমা, ভক্তদের ঢল নামল মন্দির চত্বরে।

    নিজস্ব প্রতিনিধি:-….

    তারাপীঠের রথযাত্রা শুধু একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটি এক গভীর আস্থার প্রতীক। অন্যান্য স্থানে যেখানে রথে চড়েন জগন্নাথ দেব ও বলরাম ও সুভদ্রা তারাপীঠে সেই রথে চড়েন মা তারা স্বয়ং। এটাই তারাপীঠের এক বিশেষ ও প্রাচীন ঐতিহ্য।

    আজ শনিবার উল্টো রথের দিনেও সেই ঐতিহ্য অনুসারে রাজবেশে মা তারাকে রথে বসানো হয়। তার আগে সম্পন্ন হয় বিশেষ মঙ্গল আরতি। এরপর শুরু হয় মা তারার রথযাত্রা—বাজনা, ঢাক, কাঁসর ও শঙ্খধ্বনির মধ্যে দিয়ে নগর পরিক্রমা করেন মা তারা। গোটা তারাপীঠ এলাকায় সৃষ্টি হয় এক অপার্থিব আবহ।

    বৃষ্টির জন্য এক মুহূর্তেরও বিরতি না নিয়ে ভক্তরা ভিজে ভিজেই অংশ নেন এই পবিত্র রথযাত্রায়। সকাল থেকেই বৃষ্টির দাপট থাকলেও তা ঠেকাতে পারেনি ভক্তদের উদ্দীপনা। তারাপীঠ মন্দির চত্বরে দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজার হাজার ভক্ত ভিজে গিয়েও মা তারার দর্শনে মগ্ন হন। রথের দড়িতে টান দিতে কেউ এসেছেন বীরভূমের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে, কেউ বা এসেছেন রাজ্য বাইরের জেলা থেকেও।

    সাধু-সন্ন্যাসীরাও এই দিনটিতে অংশগ্রহণ করেন তাদের নিজস্ব ধর্মীয় কলাকৌশল ও উপাচারের মাধ্যমে। রথযাত্রার আগে তারা রাস্তা ধরে নানা আচার-অনুষ্ঠান ও সঙ্গীত পরিবেশন করে রথের পথ প্রশস্ত করেন। সেই সঙ্গেই বাজনার তালে তালে এগিয়ে চলে মা তারার রথ, আর রাস্তাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ভক্তির স্পন্দন।

    এই রথযাত্রা শুধু এক ধর্মীয় রীতির প্রতিফলন নয় এ এক অনুভব, এক বিশ্বাসের বহিঃপ্রকাশ, যা বছরের পর বছর ধরে মা তারার মাটিতে গড়ে তুলেছে এক অতুলনীয় ধর্মীয় ঐতিহ্য।