Category: রাঢ় বঙ্গ

  • “মাওবাদী” হুমকি চিঠি নিয়ে তৃণমূল নেতাকে ঘিরে চাঞ্চল্য,আবারও আতঙ্ক ছড়াল বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলে

    “মাওবাদী” হুমকি চিঠি নিয়ে তৃণমূল নেতাকে ঘিরে চাঞ্চল্য,আবারও আতঙ্ক ছড়াল বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলে

    “মাওবাদী” হুমকি চিঠি নিয়ে তৃণমূল নেতাকে ঘিরে চাঞ্চল্য, কটাক্ষ বিজেপির- বুথ সভাপতির কাছে যদি ৫০ হাজার টাকার দাবি ওঠে, তবে বড় নেতাদের কাছে কত আছে ?

    আবারও আতঙ্ক ছড়াল মাওবাদী হুমকির নামে। বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলে খাতড়া ব্লকের বৈদ্যনাথপুর অঞ্চলের মুকুন্দপুর গ্রামে প্রাক্তন বন কর্মী তথা স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি দ্বিজপদ মিশ্রর কাছে এসে পৌঁছেছে এক হুমকির চিঠি।

    চিঠিটি লেখা সাদা কাগজে লাল কালিতে, বানান ও ভাষাগত দিক দিয়ে প্রচুর ভুলে ভরা হলেও তাতে লেখা বক্তব্য যথেষ্টই ভয়াবহ এবং উদ্বেগজনক।

    চিঠিতে লেখা রয়েছে –
    “মাওবাদী = সারেঙ্গা
    নাম = দ্বিজপদ মিশ্র মুকুন্দপুর
    তোমার নাতি দুটো আছে ভয়ঙ্কর হবে
    তোমকে- টাকা দিতে হবে
    টাকা মাওবাদী ফান্ডে জমা হযে
    টাকার পরিমান ৫০০০০ হাজার টাকা চাকরি নেই তাই ৫০০০০ হাজার
    টাকা পৌঁছে দেওয়ার ঠিকানা
    রাস্তায় বেরিয়ে ডান দিক পুকুর পাড় চাতল ঘাট নামিয়ে দিয়ে চলে আসবে রাত্রি সাড়ে এগারোটা
    টাকা না পেলে পরিনাম ভয়ঙ্কর হবে
    যদি না দাও তাহলে তোমর নাতি দুটো
    তুলে নিয়ে যাব তোমকে রাস্তায়
    গুলি কেরে দেবো


    কোন চালাকি নয়
    কোন পুলিশ নয়
    পুলিশ তোমাকে কদিন আমোট-করবে
    আঘাট মাস চার 4 তারিখ
    রাস্তায় বেরিয়ে ডান দিক পুকুর পাড় চাতল ঘাট রাত্রি ১১.৩০ নামিয়ে দিয়ে চলে আসবে
    আমার লোক তোমাকে X = ফলো করবে ২৪ ঘন্টা = ইতি (মাওবাদী)
    বোমা ফেলবো একটা তোমার ঘরে – মাওবাদী। (1) দ্বিজপদ মিশ্র।”

    কমা পূর্ণচ্ছেদ হীন বানান ও ভাষাগত ভুলে ভরা চিঠির প্রতিটি লাইনে স্পষ্ট প্রাণনাশ ও অপহরণের হুমকি। শিশুনাতিদের নাম টেনে হুমকি, টাকার অঙ্ক নির্ধারণ করে দেওয়া, নির্দিষ্ট সময় ও জায়গায় পৌঁছনোর নির্দেশ সব মিলিয়ে ঘটনা অত্যন্ত চিন্তাজনক।

    চিঠির “মাওবাদী = সারেঙ্গা” লেখাটি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে সারেঙ্গা অঞ্চল থেকে বা নাম ব্যবহার করে এই হুমকি দেওয়া হয়েছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কেউ এই চিঠির সত্যতা বা উৎস নিশ্চিত করেনি।

    তবে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে এই হুমকির নেপথ্যে আসলেই মাওবাদীরা, না কি কেউ ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য নিয়ে এই ভয়াবহ নাটক সাজিয়েছে ?

    তবে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক জল বেশ খানিকটা ঘোলা হয়েছে। বিজেপি কটাক্ষ করেছে, “যদি এটা মাওবাদীরা করে থাকে, তাহলে তারা জানে কার কাছে কত চুরির টাকা আছে! একটা বুথ সভাপতির কাছেই যদি ৫০ হাজার টাকার দাবি আসে, তাহলে জেলা বা রাজ্য নেতৃত্বের কাছে কত আছে, সেটা কি আন্দাজ করা যায় না ?

    এই হুমকি চিঠি সত্যিই মাওবাদীদের তরফে কি না, নাকি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কোনও ষড়যন্ত্র, তা এখন তদন্তেই বিষয়!

    বাইট:
    1) বিকাশ চন্দ্র খাঁ (স্থানীয় বাসিন্দা)
    2) দ্বিজপদ মিশ্র (চিঠি পাওয়া তৃণমূল বুথ সভাপতি)
    3) প্রদীপ্ত বহ্নি ঘোষ (বিজেপি বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা ওবিসি মোর্চা সম্পাদক)

  • চিকিৎসার গাফিলতিতেই গর্ভস্থ শিশুর মৃত্যু, স্বামীর দাবি ঘিরে চাঞ্চল্য বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর হসপিটালে।

    চিকিৎসার গাফিলতিতেই গর্ভস্থ শিশুর মৃত্যু, স্বামীর দাবি ঘিরে চাঞ্চল্য বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর হসপিটালে।

    চিকিৎসার গাফিলতিতেই গর্ভস্থ শিশুর মৃত্যু, দাবি ঘিরে চাঞ্চল্য বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর হসপিটাল।

    বাঁকুড়াঃ গর্ভস্থ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে। ঘটনাটি ঘটেছে বিষ্ণুপুর হাসপাতালে।
    সোনামুখীর নারায়ণ সুন্দরীর বাসিন্দা দয়াময় চক্রবর্তীর অভিযোগ,শুক্রবার রাতে গর্ভ যন্ত্রণা নিয়ে তার স্ত্রীকে বিষ্ণুপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার ইউএসজি করানো হলে জানা যায় গর্ভস্থ সন্তান সুস্থ আছে। তারপরেই শুরু হয় রক্তক্ষরণ।

    বারবার চিকিৎসককে জানালেও কোন ফল হয়নি। অবশেষে রবিবার গভীর রাতে চিকিৎসক সিজার করে মৃত সন্তান প্রসব করান।


    সোমবার সকালে চিকিৎসার গাফিলতি তুলে রোগীর পরিবার পরিজনেরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। হাসপাতাল সুপার না থাকায় তারা লিখিত অভিযোগ জমা দেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে।
    একটি কমিটি গঠন করে তদন্ত করার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গোপাল দাস,
    তিনি কি বললেন চলুন শোনাবো আপনাদের।

  • এবার দলের কর্মসূচিতে হাজিরা না থাকলে জনপ্রতিনিধির সাম্মানিক বন্ধের হুঁশিয়ারি বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতির,পাল্টা আক্রমণে বিজেপি।

    এবার দলের কর্মসূচিতে হাজিরা না থাকলে জনপ্রতিনিধির সাম্মানিক বন্ধের হুঁশিয়ারি বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতির,পাল্টা আক্রমণে বিজেপি।

    দলের কর্মসূচীতে হাজির না থাকলে এবার জনপ্রতিনিধিদের সাম্মানিক বন্ধের হুঁশিয়ারি বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতির, কড়া প্রতিক্রিয়া বিজেপির

    বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি অনুসুয়া রায়। সভাধিপতি পঞ্চায়েতের নিয়ম উল্লেখ করে বলেন, পঞ্চায়েতের পরপর তিনটি বৈঠকে জনপ্রতিনিধিরা গরহাজির থাকলে যেমন পঞ্চায়েত সদস্যদের সাম্মানিক বন্ধ হয়ে যায় তেমনই এরপর থেকে দলের বৈঠকে জনপ্রতিনিধিরা গরহাজির থাকলে তাঁদের সাম্মানিক বন্ধ করে দেওয়া হবে।

    সভাধিপতির এই বক্তব্য সামনে আসতেই শোরগোল শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের দাবি পঞ্চায়েতের তিন স্তরের জনপ্রতিনিধিরা নির্দিষ্ট হারে সরকারি সাম্মানিক পান।

    দলীয় কর্মসূচীতে গরহাজির থাকলে সেই সাম্মানিক আদৌ কী তৃনমূলের বন্ধ করার কোনো এক্তিয়ার রয়েছে ? বিজেপির দাবি এ রাজ্যে তৃনমূলের দলীয় কাজ ও সরকারি কাজ এক হয়ে গেছে।

    বিজেপির কটাক্ষ তৃনমূলের স্বরূপ বুঝতে পেরে দলেরই জনপ্রতিনিধিদের একাংশ দলীয় কাজে নিস্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। ২০২৬ এর নির্বাচনের আগে তাদের উজ্জীবিত করতেই এখন তৃনমূল নেতৃত্বকে এমন হুঁশিয়ারি দিতে হচ্ছে।

  • তালা ভেঙে পার্টি অফিসে পুলিশি তাণ্ডবের প্রতিবাদে বাঁকুড়া থানা ঘেরাও, উত্তপ্ত স্টেশন রোড

    তালা ভেঙে পার্টি অফিসে পুলিশি তাণ্ডবের প্রতিবাদে বাঁকুড়া থানা ঘেরাও, উত্তপ্ত স্টেশন রোড

    বিজেপির জেলা পার্টি অফিসে মধ্যরাতে তালা ভেঙে পুলিশের অভিযানের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠল বাঁকুড়া শহর।

    রবিবার দুপুরে বিজেপির পক্ষ থেকে র‍্যালি করে বাঁকুড়া সদর থানায় এসে পৌঁছান নেতা-কর্মীরা। থানার মূল গেট আগেই বন্ধ করে দেয় পুলিশ। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। থানা ঘেরাও কর্মসূচিকে ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়।

    প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বাঁকুড়া শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন রোড অবরোধ করে বিজেপি কর্মীরা। সাধারণ মানুষের যাতায়াতে বিঘ্ন ঘটে।

    বিজেপির অভিযোগ, শনিবার গভীর রাত ২টা নাগাদ বাঁকুড়া সদর থানার আইসির নেতৃত্বে, সদর থানার ও খাতড়া থানার পুলিশ দল যৌথভাবে নতুনগঞ্জে অবস্থিত বিজেপির জেলা পার্টি অফিসে তালা ভেঙে ঢুকে পড়ে। পার্টি অফিসের ভিতরে ঢুকে কাগজপত্র তছনছ করা হয়, এমনকি গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রও নষ্ট করা হয়েছে বলে দাবি বিজেপির।

    ঘটনার সময় খবর পেয়ে বিজেপি কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পুলিশ দ্রুত এলাকা ছেড়ে চলে যায়।

    এই ঘটনার প্রতিবাদেই আজ থানার ঘেরাও ও রোড অবরোধের কর্মসূচি নেয় বিজেপি। বিজেপি নেতৃত্ব হুঁশিয়ারি দিয়েছে, অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা না নিলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে তারা।

    পুলিশের পক্ষ থেকে যদিও এই বিষয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

  • অনলাইন গেম খেলে ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়ে জয়পুরের যুবতী মৃত্যুর ঘটনায় রাজস্থান থেকে গ্রেপ্তার যুবক।

    অনলাইন গেম খেলে ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়ে জয়পুরের যুবতী মৃত্যুর ঘটনায় রাজস্থান থেকে গ্রেপ্তার যুবক।

    ২০২৪ সালে অনলাইন গেম খেলে প্রতারণার শিকার হয়ে শেষমেষ জীবন দিতে হয়েছিল বাঁকুড়ার জয়পুরের যুবতীকে, এবার সেই ঘটনায় রাজস্থান থেকে প্রতারক যুবকে গ্রেফতার করল জয়পুর থানার পুলিশ। আবারো জয়পুর থানা পুলিশের বড় সাফল্য।
    রাজস্থানের ভারত পাকিস্তানের বর্ডার এলাকা থেকে প্রতারক যুবককে গ্রেপ্তার করে নিয়ে এলো বাঁকুড়ার জয়পুর থানার পুলিশি।


    পুলিশী রিমান্ডের আবেদন নিয়ে ওই প্রতারক যুবককে নিয়ে আরো তদন্তের স্বার্থে নিয়ে যাওয়া হল বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে। বিচারক চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
    জানা যায় ২০২৪ সালে বাঁকুড়া জয়পুর ব্লকের হেতিয়া নারায়ণপুর এলাকার এক যুবতী সদ্য গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করে বাড়িতে এসেছিলেন।
    কয়েকদিনের মধ্যে শুরু করেছিল গেম খেলা আর সেই খেলায় চলে যাবে এক মেধাবী ছাত্রীর জীবন কল্পনাও করতে পারেনি গ্রামবাসী তো বটেই তার নিজের মা-বাবা।
    একই মায়ের ক্যান্সার তার উপর বাবা-মায়ের একমাত্র মেয়ে সুপ্রীতি মণ্ডল পিতা অংশুমান মন্ডল ও মা রুপা মন্ডল।।

    সদ্য বাঁকুড়া খ্রিস্টান কলেজ থেকে বি এ ফার্স্ট ডিভিশনে পাস করে ভর্তি হয়েছিল জয়পুর ডি এল এড কলেজে।
    বাড়িতে ছিল মাত্র 10 থেকে 15 টা দিন তার মধ্যেই বাড়ির লোকের অজান্তেই শুরু করেছিল অনলাইন গেম খেলা। আর সেই খেলা খেলতে গিয়ে ব্ল্যাকমেল এর শিকার হয়ে খোয়া গিয়েছিল ব্যাংক একাউন্ট থেকে নগদ ২৬ হাজার টাকা, তারপরেই যুবতী বাড়িতে সুসাইড নোট লেখে জীবন দিয়ে চলে গিয়েছিল না ফেরার দেশে।
    আর নিজের একমাত্র মেয়ে কে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছিল বাবা-মা। খবর দেওয়া হয় জয়পুর থানায়,জয়পুর থানার পুলিশ শুরু করে তদন্ত ।


    সেই সময় তদন্ত ভার দেয়া হয় জয়পুর থানার এসআই কৃষ্ণ প্রসাদ মান্ডি কে, তখন থেকেই শুরু করে তদন্ত উদ্ধার করা হয় সুসাইড নোট ও ব্যাংক একাউন্টের ডিটেলস, সেখান থেকেই শুরু হয় তদন্ত আর তদন্ত করতে গিয়ে জানতে পারেন রাজস্থানের হনুমান নগর জেলার ফে ফনা গ্রামের এক ব্যক্তি যার নাম শচীন ইন্দরিয়া, তার একাউন্টে এই টাকা ট্রান্সফার হয়। আর বিভিন্ন সূত্র মারফত খবর পেয়ে অনলাইন গেম প্রতারকদের খোঁজে চলে তল্লাশি।


    অবশেষে রাজস্থানের হনুমান নগর জেলা থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে জয়পুর থানার পুলিশ। আর এই প্রতারক যুবক গ্রেফতার হতেই একমাত্র মেয়ে হারা মা ও বাবা এই দোষী প্রতারকের যাতে ফাঁসি হয় সেই আবেদন রাখলেন একমাত্র মেয়ে হারা মা।
    আর যাতে করে কোন মায়ের কোল অনলাইন গেম খেলে না হারাতে হয় প্রশাসনের কাছে আবেদন রাখলেন।

    কি জানাচ্ছেন আমাদের ক্যামেরার সামনে চলুন শোনাবো আপনাদের।

    ১/বক্তব্য-মৃত সুপ্রীতি মণ্ডলের বাবা অংশুমান মণ্ডল:-
    ২/মাতা-রুপা মন্ডল:-

  • গাড়ি দুর্ঘটনার ঘটনায় জয়পুর বন দপ্তরের করা চিকিত্সায় সুস্থ হয়ে এবার দুই চিতল হিরিনের বাড়ি ফেরার শুধু সময়ের অপেক্ষা।

    গাড়ি দুর্ঘটনার ঘটনায় জয়পুর বন দপ্তরের করা চিকিত্সায় সুস্থ হয়ে এবার দুই চিতল হিরিনের বাড়ি ফেরার শুধু সময়ের অপেক্ষা।

    গাড়ি দুর্ঘটনার ঘটনায় বন দপ্তরের করা চিকিত্সায় জঙ্গলের দুই হরিন সুস্থ হয়ে ফিরতে চলেছে নিজের বাড়িতে।

    চার দেওয়ালের আবদ্ধে থেকেই অসুস্থ জীবন থেকে এবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চলেছে দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম দুই হরিন খুশি বনবিভাগ।।

    দীর্ঘ সময় চিকিতসা পরিষেবায় ধীরে ধীরে সুস্থ হয়েছে তারা। চার দেওয়ালের পরিবেশ থেকে এবার চেনা জীবনে ফেরার অপেক্ষা। কয়েকমাস আগে বাঁকুড়ার জয়পুরে দুর্ঘটনায় জখম দুই স্ত্রী হরিন চিকিতসায় সুস্থ হয়ে এবার ফিরতে চলেছে জঙ্গলের চেনা পথে। 

    মাস খানেক আগে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর পাঞ্চেত বনবিভাগের জয়পুরের জঙ্গলে রাস্তা পারাপার করতে গিয়ে গুরুতর জখম হয় একটি স্ত্রী হরিন। ফের সেই ঘটনার পরে আর একটি স্ত্রী হরিন শাবক একই ভাবে জখম৷ হয়।  দুটি পৃথক দুর্ঘটনার কবলে পড়া দুটি হরিন কে উদ্ধারে করে জয়পুর রেঞ্জ অফিসে চিকিতসা শুরু করে দেয় বনবিভাগ।

    প্রানী চিকিতসকের চিকিতসায় ধীরে ধীরে সুস্থ হতে শুরু করে দুই হরিন। রেঞ্জ অফিসের ছোট্ট ঘরে বনবিভাগের আদরে ভালোবাসায় চিকিতসায় দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠে দুই হরিন। শাল, পিয়াল,  মহুয়ার জঙ্গল ঘেরা সুন্দরী জয়পুরের প্রকৃতির কোলে রয়েছে শয়ে শয়ে চিতল হরিনের দল। সেই হরিন দলের দুই হরিন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে গুরুতর জখম হয়। দীর্ঘ চিকিতসার পর চিকিতসক ফীট সার্টিফিকেট দিয়ে দিয়েছেন। এবার  স্বাভাবিক জীবনে ফেরার পালা।

      দীর্ঘ লড়াই থেকে সুস্থ হয়ে জঙ্গলের হরিনের দলে ফিরে যাবে তারা। ফিরে যাবে তাদের চেনা জীবনে চেনা দলের সঙ্গীদের সাথে। সামনের সপ্তাহে ওদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে জঙ্গলে।

    বাইট বিরেন কুমার শর্মা ( এডিএফও, বিষ্ণুপুর পাঞ্চেত বনবিভাগ)

  • আবারো দ্রুত গতিতে যেতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছুটে এসে অল্টো( ৮০০) গাড়ি ঢুকে পড়লো , স্টিল ফার্নিচার দোকানে।

    আবারো দ্রুত গতিতে যেতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছুটে এসে অল্টো( ৮০০) গাড়ি ঢুকে পড়লো , স্টিল ফার্নিচার দোকানে।

    আবারো দ্রুত গতিতে যেতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছুটে এসে অল্টো( ৮০০) গাড়ি ঢুকে পড়লো , স্টিল ফার্নিচার দোকানে।

    ঘটনায় আহত ড্রাইভার আতঙ্কিত দোকানের কর্মচারী থেকে মালিক সকলে।
    জানা যায় আজ বোলপুর সন্নিকট শিয়ান হসপিটাল এর কাছে এই পথ দুর্ঘটনাটি ঘটে।।

    বোলপুর অভিমুখে সিয়ান হসপিটালে সন্নিকট মারুতি সুজুকি অল্টো( ৮০০) একটি গাড়ি দ্রুত গতিতে বেপরোয়া ভাবে এসে প্রথমে একটি ফার্নিচারের দোকানে স্লাবে ধাক্কা মারে তারপর সেই দোকানের ভিতর গাড়িটি ঢুকে যায় এবং দোকানের আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
    স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শিতা জানান গাড়িটি এতটাই জোরে যাচ্ছিল যে উল্টে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারার সাথে সাথেই পাল্টি হয়ে যায়। সাথে সাথেই এলাকার মানুষ ছুটে যান উদ্ধার করে ওই ড্রাইভারকে।


    বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত। কপাল জোরে দোকানে বসে থাকা লোকজনেরা বেঁচে গেছে। বসে থাকা লোকেরা হতভম্ব হয়ে যায়। এই পথ দূরঘটনায় ক্ষতি হয়েছে একমাত্র দোকানদারের জিনিসপত্র ভেঙে গেছে। গাড়িতে ড্রাইভার ছাড়া কোন আরোহী ছিলেন না থাকলে হয়তো আরো বড় দুর্ঘটনা ঘটতো। স্থানীয় মানুষ জন এসে ড্রাইভারকে উদ্ধার করে সঙ্গে সঙ্গে বোলপুর মহকুমা হসপিটালে ভর্তি করেন ওখানেই তার চিকিৎসা চলছে বলেই খবর।


    এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে আর এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বোলপুর থানার পুলিশ,পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    কাজী আমীরুল ইসলামের রিপোর্ট bcn বাংলা।।

  • একের পর এক বাইক দুর্ঘটনা বাঁকুড়া জেলায়, তবুও হুশ ফিরছে না বাইক আরোহীদের।

    একের পর এক বাইক দুর্ঘটনা বাঁকুড়া জেলায়, তবুও হুশ ফিরছে না বাইক আরোহীদের।

    এড়ানো যাচ্ছে না বাইক দুর্ঘটনা,আবারো মোটর বাইক দূর্ঘটনায় প্রাণ হারালো এক যুবক । আহত আরও এক।
    মৃত ও আহতদের নাম যথাক্রমে শ্রীমন্ত বাউরী (৩৩) ও বিভীষণ দুলে। বুধবার তালডাংরার হাড়মাসড়া গ্রামের ঘটনা। মৃত শ্রীমন্তের বাড়ি স্থানীয় নবগ্রামে ও আহত বিভীষণের বাড়ি হাড়মাসড়ায় বলে জানা গেছে।

    স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন দুপুরে লক্ষীসাগর-হাড়মাসড়া রাস্তা ধরে একটি মোটর বাইকে চেপে শ্রীমন্ত ও বিভীষণ দুলেরা বাড়ির দিকে আসছিলেন। হাড়মাসড়া বাসস্ট্যাণ্ডে পৌঁছানোর বেশ কিছু আগেই একটি বাঁকের মুখে তাদের বাইক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিকাশী নালার মধ্যে ঢুকে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান স্থানীয় ভিলেজ পুলিশ ও সিভিক ভল্যান্টিয়াররা। স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে তারা গুরুতর আহত দু'জনকে উদ্ধার করে তালডাংরা গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই হাসপাতালেই মৃত্যু হয় শ্রীমন্ত বাউরীর।
    
    
     পুলিশের পক্ষ থেকে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করে ঘটনার তদন্তের পাশাপাশি মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
  • রাস্তায় পড়ে এক হিংস্র বন্য জন্তু প্রাণীর বাচ্চা, যাকে ঘিরে চাঞ্চল্য বাঁকুড়ার জয়পুরে।

    রাস্তায় পড়ে এক হিংস্র বন্য জন্তু প্রাণীর বাচ্চা, যাকে ঘিরে চাঞ্চল্য বাঁকুড়ার জয়পুরে।

    রাস্তায় পড়ে এক হিংস্র বন্য জন্তু প্রাণীর বাচ্চা, যাকে ঘিরে চাঞ্চল্য বাঁকুড়ার জয়পুরে।

    রাস্তায় পড়ে এক ক্ষুদ্র ছোট্ট প্রাণী মায়ের খোঁজে মাও মাও করে চিৎকার করছে রাস্তার ধারে। গ্রামের লোকজনের ভয়ে ছেড়ে গেছে মা, মাকে না দেখতে পেয়ে মায়ের কান্নায় রাস্তায় পড়ে চেঁচিয়ে যাচ্ছে এই ক্ষুদে প্রাণীটি। এক ব্যক্তি বাচ্চা ছেলের কান্নার শব্দ শুনে দাঁড়িয়ে পড়ে রাস্তার ধারে। তারপর দেখেন একটা অজানা প্রাণী হুবহু দেখতে বেড়াল ছানার মত,কিন্তু তার নখ গায়ের রং বড় কান ও পায়ের থাবা প্রচন্ড বড় হওয়ায় সন্দেহ দানাবাধে।


    মনে হয় বেড়াল ছানা নয় এ এক অন্য কোন জংলি হিংস্র প্রাণীর বাচ্চা। সেই সময় এই ব্যক্তি এই বাচ্চা নিয়ে কি করবে ভেবে উঠতে না পেরে খবর দেয় bcn বাংলা সংবাদ মাধ্যমে। সেই খবর সংবাদমাধ্যমের কানে পৌঁছতেই ছুটে গিয়ে বনদপ্তরকে খবর দিয়ে উদ্ধার করা হয়। তবে বনদপ্তর সূত্রে খবর এই প্রাণীটি একেবারেই নেহাতই ছোট মনে করছেন কোন বন-বিড়াল বা মেছো বেড়ালের বাচ্চা হবে। তবে তারা উদ্ধার করে জয়পুর বনদপ্তরে নিয়ে যায়।

    সেখানে সেবা সুশ্রষা করছেন, বলেই খবর।
    তো আপনারা কি মনে করছেন এটা কোন প্রাণীর বাচ্চা হতে পারে, অবশ্যই কমেন্ট করে জানান।

  • ইন্দাসে কথা রাখলেন বিজেপি বিধায়ক নির্মল ধারা, শুরু হল নদী বাঁধের কাজ।খুশি বাঁকুড়ার ইন্দাস বিধানসভার বেতালন গ্রামের মানুষ।

    ইন্দাসে কথা রাখলেন বিজেপি বিধায়ক নির্মল ধারা, শুরু হল নদী বাঁধের কাজ।খুশি বাঁকুড়ার ইন্দাস বিধানসভার বেতালন গ্রামের মানুষ।

    ইন্দাসে কথা রাখলেন বিজেপি বিধায়ক নির্মল ধারা, শুরু হল নদী বাঁধের কাজ।

    বাঁকুড়ার ইন্দাস বিধানসভার বেতালন গ্রামে অবশেষে শুরু হল নদীবাঁধ নির্মাণের কাজ। দীর্ঘদিনের দাবি, শেষমেশ বাস্তবায়নের পথে। কথা দিয়ে কথা রেখেছেন বিজেপি বিধায়ক নির্মল ধারা। ফলে খুশির হাওয়া ছড়িয়েছে ইন্দাস ব্লকের মঙ্গলপুর অঞ্চলের বেতালন গ্রামে।

    দ্বারকেশ্বর নদীর দু’পারে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন চলছিল। যার ফলে ভয়াবহ নদীভাঙন শুরু হয় এলাকায়। নদীগর্ভে চলে গেছে বিঘার পর বিঘা চাষের জমি, বসতভিটে, বহু পরিবার ঘরছাড়া হয়েছেন। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছিলেন স্থানীয়রা। গ্রামবাসীদের আশঙ্কা ছিল এভাবে চললে আর কয়েক বছরের মধ্যে গ্রামটাই তলিয়ে যাবে নদীতে।

    এই পরিস্থিতিতে ২০২৪ সালের বর্ষায় বিজেপি বিধায়ক নির্মল ধারা নৌকায় চেপে এলাকা পরিদর্শনে যান। নদীভাঙনের ভয়াবহতা স্বচক্ষে দেখে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, নিজের ক্ষমতার মধ্যে থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন। সে সময় তিনি অভিযোগ করেছিলেন, বারবার পুলিশ ও প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি। অবৈধভাবে বালি তুলতে তুলতে নদীর তলদেশের মাটি উঠে যাওয়ায় ভাঙন আরও বাড়ছে।

    পরে তিনি সেচ দফতরে লিখিত আবেদন করেন নদীবাঁধ নির্মাণের জন্য। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর অবশেষে সেই কাজ শুরু হয়েছে।

    বাঁধ নির্মাণে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন গ্রামবাসীরা। তাঁরা জানান, “এতদিনে কেউ আমাদের কথা শুনল। বিধায়ক নিজে এসে দেখেছেন, কথা দিয়েছিলেন, আজ কাজ হচ্ছে। ধন্যবাদ ওনাকে।”

    এই উদ্যোগে যেমন রক্ষা পাবে জমি ও ঘরবাড়ি, তেমনই ফিরে আসবে এলাকাবাসীর স্বস্তি ও নিরাপত্তা।