Category: রাঢ় বঙ্গ

  • জঙ্গলের শাল বীজ বিক্রি করেও অর্থ উপার্জন করছেন বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের বাসিন্দারা।

    জঙ্গলের শাল বীজ বিক্রি করেও অর্থ উপার্জন করছেন বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের বাসিন্দারা।

    এই সাল বিজ কেন বিক্রি হচ্ছে, কারা কিনছে,কেনই বা কিনছে?

    জঙ্গলের শাল বীজ বিক্রি করেও অর্থ উপার্জন করছেন বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের বাসিন্দারা। জঙ্গলমহল তথা জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের মানুষের মরসুমী আয়েরও এক উৎস। বৈশাখের শুরুতেই প্রখর রোদে শাল গাছের বীজ পেকে যায়। ফলে গাছ থেকে পড়ে। আর জঙ্গলমহলের বাসিন্দারা রুজি রুটির টানে আর সেগুলোকে বিক্রি করে রোজকারের পথ বেছে নিয়েছে। আগে এক কেজি শাল বীজ বিক্রি করে তিন কেজি লবন পাওয়া যেত ল্যাম্পসের মাধ্যমে। তবে এখন সেখানে এই বীজ আর কেনা হয় না, বাইরে থেকে ব্যবসায়ীরা এসে বীজ গুলো কিনে নিয়ে যায়।শাল গাছের বীজ অনেকের কাছে ‘শাল বীজ’ আবার অনেকের কাছে ‘শালুই’ নামে পরিচিত। এই বীজ থেকে তেল উৎপন্ন হয়, যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজে লাগে। সাধারণত বৈশাখ মাসের শেষ দিক থেকে তা পেকে পড়তে শুরু করে মাটিতে। এটা পাওয়া যায় সাধারণত আষাড় মাসের প্রথম দিক পর্যন্ত। জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের মানুষ সেই বীজকে কুড়িয়ে নিয়ে আসেন জঙ্গল থেকে। এরপর ওই বীজের স্তুপে আগুন লাগিয়ে দেন। ফলে বাইরের অংশ পুড়ে যায়। তারপর সেগুলো রাস্তার উপর মেলে দেওয়া হয়। বেশ কিছুক্ষন রোদ পাওয়ার পর ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে বীজের ভেতরের দানা বের করা হয়। সেই বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে কিনে নেন। এর দাম অবশ্য চাহিদার উপর বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন রকম হয়।

  • বাঁকুড়ায় বার বার হাতির হামলা। এবার হাতির হামলায় ভাঙলো পাকা বাড়ি সহ মাটির বাড়ি

    বাঁকুড়ায় বার বার হাতির হামলা। এবার হাতির হামলায় ভাঙলো পাকা বাড়ি সহ মাটির বাড়ি

    বাঁকুড়ায় বার বার হাতির হামলা। এবার হাতির হামলায় ভাঙলো পাকা বাড়ি সহ মাটির বাড়ি, তবে হতাহতের কোন খবর নেই।

    আবারো হাতির দলের তাণ্ডব বাঁকুড়ার বড়জোড়ার গ্রামে,। বারবার হাতির তাণ্ডবে অতিষ্ঠ গ্রামবাসীরা। ঘুম নেই জঙ্গল লাগোয়া একাধিক গ্রামের মানুষদের।

    আবারো বৃহস্পতিবার রাতে ৫টি হাতির একটি দল খাঁড়ারী গ্রাম পঞ্চায়েতের লালবাজার গ্রামে হামলা চালায়। গ্রামবাসীদের তরফে দাবি করা হয়েছে হাতির আক্রমনে একটি কাঁচা বাড়ি সহ একটি পাকা পাঁচিল হাতির দলটি ভেঙে ফেলে ।
    এই ঘটনায় রীতিমত আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা ।
    রাতভর ঘুম নেই গ্রামবাসীদের গ্রামের মানুষরা সম্মিলিত হয়ে হাতির দলটিকে জঙ্গলে পাঠান।। বন আধিকারিক ঋত্বিক দে জানিয়েছেন সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে ।
    তবে প্রশ্ন উঠছে এ হাতির আক্রমণ নিয়ে। বারবার কেন ফরেস্টের চোখ কে ফাঁকি দিয়ে গ্রামের ভিতরে হাতির দল প্রবেশ করছে এবং বারবার ক্ষয় ক্ষতি করছে কেন আগলে রাখতে পারছে না বনদপ্তর।
    তবে এলাকার মানুষের দাবি জঙ্গলের ভিতরে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার খেতে পারছে না এই হাতির দল। তাই বারবার এই হাতির দল গ্রামের দিকে প্রবেশ করছে খাবারের সন্ধানে। এবং বনদপ্তরের গাফিলতিতে বার বার সর্বস্বান্ত হচ্ছেন গ্রামবাসীরা কারোর ঘর ভাঙছে কারোর ফসল নষ্ট করে দিচ্ছে ওর হাতির হানায় অনেকের প্রাণও যাচ্ছে তারা ঠিকঠাক নজরদারি না করার জন্যই। তবে এই মুহূর্তে বন দফতর সূত্রে খবর বাঁকুড়ার বড়জোড়া রেঞ্জে বড়জোড়াতে হাতির সংখ্যা -৪টি,দক্ষিণ সরাগড়া-২০টি,উত্তর সরাগড়া-২টি,জি.ঘাঁটি বড়জুড়ি-২টি,রাধানগর ইচ্ছারিয়া-১৪টি,বেলিয়াতো শালুকা-২টি,কাঁটাবেন্স-২টি, লাদুনীয়া-১৭টি,সোনামুখী গোঁসাইবাঁধ-৫টি,হাতি ইতিমধ্যে রয়েছে।
    চলুন কি বলছেন গ্রামের মানুষ শোনাবো আপনাদের।

  • দুর্গাপুরের রাস্তায় বসে রয়েছে বাগরোল ধরতে গিয়ে কামড় দিলো দুই যুবকে।

    দুর্গাপুরের রাস্তায় বসে রয়েছে বাগরোল ধরতে গিয়ে কামড় দিলো দুই যুবকে।

    দিব্যি রাস্তায় বসে রয়েছে বাগরোল অসুস্থ ভেবে ধরতে গিয়ে কামড় দিল দুজনকে,
    হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন।
    দুর্গাপুরের রাস্তায় বসে বাগরোল। অসুস্থ ভেবে অনেকে গাড়ি থামিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাছ থেকে দেখলেও বাগরোল।
    অনেকে ভেবেছিলেন অসুস্থ আর অসুস্থ ভেবে উদ্ধার করতে এসে বাগরলের কামড়ে আক্রান্ত হতে হল বনদপ্তরের কর্মীকে,
    আক্রান্ত হলো আরও এক স্থানীয় যুবক। হইচই পড়ে গেল এলাকা জুড়ে। বৃহস্পতিবার সকালে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার লাগোয়া কলাবাগান বস্তি হয়ে বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার ঘটনা ।। বাইক এবং চারচাকা থামিয়ে এই বন্যপ্রাণীকে দেখতে ভিড় জমান অনেকে। স্থানীয়রাও ভিড় জমান। খবর দেওয়া হয় দুর্গাপুর বনবিভাগে।
    বনদপ্তরের কর্মীরা জাল ফেলে বাগরোলটিকে ধরার চেষ্টা করে। তখনই বনদপ্তরের কর্মী পঙ্কজ রায়ের হাতে কামড় বসায় ওই বাগরোলটি। ধরানো নখে যখন হয় স্থানীয় এক যুবক রাহুল বাউড়িও। প্রায় এক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় বনদপ্তরের জালে ধরা পড়ে।
    বনদপ্তরের কর্মী পঙ্কজ রায় বলেন,”এই জঙ্গলে বিলুপ্তপ্রায় বহু বন্যপ্রাণী রয়েছে। তাঁরা খবর পেয়ে বাগরোলটিকে উদ্ধার করতে আসেন। উদ্ধার করতে গিয়ে তিনি এবং স্থানীয় এক যুবক জখম হন বাঘরোলের কামড়ে এবং ধারালো নখে। কোনক্রমে উদ্ধার করে বনবিভাগে নিয়ে যান। বাঘরোলটি অসুস্থ কিনা শারীরিক পরীক্ষা করে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

    কাজী আমীরুল ইসলামের রিপোর্ট।।

  • সাত সকালে এক গৃহ বধূর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধ, আর এই মৃতদেহ উদ্ধারকে গিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য

    সাত সকালে এক গৃহ বধূর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধ, আর এই মৃতদেহ উদ্ধারকে গিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য

    সাত সকালে এক গৃহ বধূর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধ, আর এই মৃতদেহ উদ্ধারকে গিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য।
    কোতুলপুর ব্লকের মদনমোহন পুর এলাকায় এক গৃহবধূকে খুনের অভিযোগে তোলপাড় এলাকা।
    ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ওই গৃহবধূর বাড়ির লোকের,
    জানা যায় বাঁকুড়ার কোতুলপুর ব্লকের মদনমোহন পুর গৌর কলোনী এলাকার মাঠে এক গৃহবধূকে খুন করে পুকুর পাড়ে পরে থাকতে দেখেন এলাকার স্থানীয় মানুষজন ,খবর দেওয়া হয় কোতুলপুর থানায়, কোতুলপুর থানার পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুতদার সাথে ওই এলাকায় গিয়ে পৌঁছায় এবং মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
    তবে ওই মৃত গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকের অভিযোগ তাদের মেয়েকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে পুকুরপাড়ে ফেলিয়ে দিয়েছে। তবে কে বা কারা করেছে জানা নেই পুলিশের কাছে অনুরোধ করেন যাতে করে উপযুক্ত দোষী কঠিন তম শাস্তি পায়। কি বলছেন বাড়ির লোক সব আপনাদের।

  • মন্দিরে পূজা দিতে বেরিয়ে 4-5 দিন ধরে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া হেতিয়ার ব্যক্তিকে ফিরিয়ে দিলেন জয়পুরের যুবকেরা।

    মন্দিরে পূজা দিতে বেরিয়ে 4-5 দিন ধরে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া হেতিয়ার ব্যক্তিকে ফিরিয়ে দিলেন জয়পুরের যুবকেরা।

    হেতীয়া গ্রামথেকে গত 4- দিন ধরে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে জয়পুর কিষাণমন্ডিতে আগলে রেখে তার বাড়ির লোকের হাতে তুলে দিলেন জয়পুরের যুবকেরা।
    জানা যায় গত কয়েকদিন ধরে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন ঠাকুর মন্দির যাব বলে বের হন মানসিক ভারসাম্যহীন শীতল নন্দী, আর তারপর থেকেই খোঁজ পাচ্ছিল না বাড়ির লোক, গত তিনদিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর গতকাল বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের জয়পুর থানার হেতিয়া ফারির পুলিশের দ্বারস্থ হন বাড়ির লোক,সেই খবর আমাদের চ্যানেলের প্রতিনিধি রঞ্জিত কুন্ডুর কাছে খবর আসতেই খবর আসার সাথে সাথেই ওই ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে হেতিয়া অঞ্চলের ভিলেজ পুলিশ সিদ্ধার্থ গাঙ্গুলীকে খবর দেয়া হয়। তিনি সাথে সাথেই তার বাড়ির লোককে খবর দেন আর খবর পাওয়া মাত্রই ছুটে আসেন বাঁকুড়ার জয়পুর কিষাণমন্ডিতে এবং তাকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যান। ওই মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির সম্বন্ধি তিনি বলেন মাঝেমধ্যেই তার মাথার প্রবলেম দেখা দেয় দীর্ঘদিন ধরে সমস্যা। এই সমস্যা সব সময়ের জন্য নয়, মাথার প্রবলেম দেখা দিলেই হেতিয়া বাজারে ঘুরে বেড়ান। আবারো বাড়ি চলে আসে এই সমস্যা ওনার একার নন স্ত্রী মেয়ে সহ সকলের মানসিক ভারসাম্যহীন বলেই তিনি জানান। আবারও তার জামাইবাবুকে ফিরে পেয়ে ধন্যবাদ জানান হেতিয়া অঞ্চলের ভিলেজ পুলিশ সিদ্ধার্থ কে ও এলাকার মানুষকে যারা খবর দিয়েছিলেন সকলকে।
    কি বলছেন ওই মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির সম্বন্ধি চিত্তরঞ্জন চৌধুরী চলুন সোনাব আপনাদের।
    বাঁকুড়ার জয়পুর থেকে রঞ্জিত কুন্ডুর রিপোর্ট বাংলা সার্কেল নিউজ।

  • আচমকাই বাঁকুড়ার জয়পুর জঙ্গলে মারুতি ভ্যানে আগুন, দাউ দাউ করে জ্বলছে মারুতি ভ্যান।

    আচমকাই বাঁকুড়ার জয়পুর জঙ্গলে মারুতি ভ্যানে আগুন, দাউ দাউ করে জ্বলছে মারুতি ভ্যান।

    Bankura…

    আচমকাই বাঁকুড়ার জয়পুর জঙ্গলে মারুতি ভ্যানে আগুন, দাউ দাউ করে জ্বলছে মারুতি ভ্যান। পুড়ে ছাই মারতি ওমনি ভেন ,তবে হতাহতের কোন খবর নেই।
    জানা যায় বাঁকুড়া থেকে পোস্ট অফিসের চিঠি কাগজপত্র নিয়ে আসছিল জয়পুর দিকে সেই সময় হঠাৎই শসার্কিট থেকে আগুন লেগে যায় এমনটাই জানান ওই গাড়ির চালক। তবে কিভাবে লাগলো আগুন তা তদন্ত করে দেখছে জয়পুর থানার পুলিশ। তবে স্থানীয় সূত্রে খবর আজ সকালের দিকে বাঁকুড়ার দিক থেকে ছুটে আস একটি মারুতি ভ্যান আচমকায় গাড়ির থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন প্রত্যক্ষদর্শীরা, সাথে সাথে ড্রাইভারকে বলা মাত্রই গাড়ি দাঁড় করিয়ে দেন ড্রাইভার। কোনক্রমে কাগজপত্র কিছু বার করতে পারলেও তবে তেমন কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়নি কাগজপত্রের। তবে গাড়িটি পুড়ে ছাই, গাড়ির কিছু অবশিষ্ট আর কিছুই নেই মাথায় হাত গাড়ি চালকের। গাড়ির ড্রাইভার তিনি বলেন প্রতিদিন পোস্ট অফিসের মালপত্র প্রতিদিনের মতোই তিনি নিয়ে আসছিলেন হটাৎ আগুন লেগে যায় কোনক্রমে তিনি কিছু কাগজপত্র বার করতে পারলেও কিছু অবশিষ্ট রয়ে যায় গাড়ির ভেতরে,অনেক চেষ্টা করেও তিনি বার করতে পারেননি দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে যায়। আর এই ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে যান জয়পুর থানার পুলিশ ও স্থানীয় মানুষজন দ্রুততার সাথে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে তবে ততক্ষণে পুড়ে ছাই মারুতি ভ্যান। কি বলছেন গাড়ির চালক চলুন শোনাবো আপনাদের।

    বাঁকুড়ার জয়পুর থেকে রঞ্জিত কুন্ডুর রিপোর্ট

  • বাউল গানের প্রেমের টানে জাপানি মহিলা রয়ে গেলেন মনের মানুষ আখরায়।

    বাউল গানের প্রেমের টানে জাপানি মহিলা রয়ে গেলেন মনের মানুষ আখরায়।

    বর্ধমান থেকে কিছুটা দূরে হাট গোবিন্দপুর গ্রাম, ধুলো মাখা পথ ধান মাঠ গাছপালা আর চারিদিকে মুখর পাখির কাকলি। দূর থেকে ভেসে আসে, রাখালিয়া বাঁশির সুর ও তারই মাঝে একটি নিভৃত আশ্রম। আষাঢ়ের পড়ন্ত বিকেলে সে আশ্রমের নিকনো উঠোনে বসে বাটি দিয়ে নারকেলের শুকনো পাতা ছাড়িয়ে কাঠি বের করে রাখছেন এক জাপানি যুবতী। নিত্য ব্যবহারের ঝাঁটা তৈরি হবে বলে। সকাল থেকে করেছেন রান্নাবান্না কাজ মাটির উনুন আর কাঠের জ্বালানিতে। বাউল ফকির কথা বইয়ের হাট গোবিন্দপুর এর এই আগ্রার কথা লেখা আছে।

    নাম তার মাকি কাজুমি জন্ম ১৯৫৯ এ জাপানের ওসাকা শহরে, বাবা তেরুও কাজমি মা হিরোকা কাজমি আর একমাত্র ভাই সিনসুকো, সেখানে পড়াশোনা করার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ অসম্পূর্ণ রেখে তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন সমাজ উন্নয়নমূলক কাজে, জাপানেই যুক্ত হয়েছিলেন কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে। সেই সূত্রে 1988 তে কাজুমি প্রথমবার ভারতে এসেছিলেন এক মাসের জন্য। এরপর ১৯৯১ এ পশ্চিমবঙ্গ থেকে জাপানে গিয়েছিলেন দু একটি সাংস্কৃতিক দল। একটি দল পুরুলিয়ার গম্ভীর সিং মরার ছৌ নাচের, অন্যটি সাধন দাস বৈরাগ্যের বাউল গানের। প্রায় দেড় মাস তারা জাপানে ছিলেন। সাধন দাস বৈরাগ্য আজ বাউল গানের জগতে পরিচিতি নাম। সাধন জন্মেছিলেন বর্ধমানের শ্যামসুন্দর এর কাছে মুক্তিপুর গ্রামে। স্কুলের পড়াশোনা ক্লাস ৫ পর্যন্ত শৈশবের দিনগুলো কাটতো বাউল গানের ও স্বেচ্ছা সেবির মাধ্যমে।

    ১৯৯১ এর সেপ্টেম্বর মাসে জাপানে ওসাকায় সান্ধ্য গানের আসরে গাইছিলেন এই সাধন দাস বাউল। মূলত বাংলা দেহতত্ত্বের গান শ্রোতারা প্রায়ই সকলেই মুগ্ধ হয়েছিলেন। গান শোনার পর এক যুবতী তার নাম মাকি কাজুমি গানের ভাব বেশে বিভোর হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি বলে উঠলেন আমি বাউল হব । সঙ্গে সঙ্গে সাদন দাস বৈরাগ্যর সাথে মাকি কাজুমি বাউল গান শিখবো বলে পথ চলা শুরু করে।
    কাজুমি আর সাধনের স্বপ্ন ছিল ছোট্ট একটি আখড়া করে তুলবেন জয়দেব কেন্দুলীতে। এবং ২০০২ সালে এই চিন্তাভাবনায় বাস্তবের মনের মানুষ নামকরণের সাথে সাথে আশ্রম প্রতিষ্ঠিত করা হলো। রূপান্তরিত করল,ইলামবাজার থেকে পায়ের,আকম্বা হয়ে মেলা যাওয়ার পথে রামপুরের মাঠের মাঝে তাদের অনারম্ভ আখড়াটির নাম ‘মনের মানুষ। শুধু মেলার সময় নয়, মাঝেমধ্যেই তাদের দেখা মেলে আশেপাশের গায়ে গঞ্জে বাউলবোষ্টমদের আখড়াই। কয়েক বছর আগে অজয় নদীর তীরে অযোধ্যা গ্রামের আখড়ায় দেহা বাসনের পর যখন মাটি দেওয়া হচ্ছিল বিশ্বনাথ দাস বাউল কে আর পাঁচজনের সঙ্গে গলা মিলিয়ে নাম গান করছিলেন মাকি কাজুমি। এই মধুময় ধূলি ধূসর পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন সাধন দাস বাউল নিজেই।
    শুধু পড়ে রইল তারই সিটির অজয় নদীর তীরে মনের মানুষ আখড়া, যেটি বীরভূম জেলার ইলামবাজার ব্লকের জয়দেব কেন্দুলী ধামে অবস্থিত। মা কি কাজুমির ও তার শিষ্য তন্ময় ওরফে বাপি তত্ত্বাবধানে মনের মানুষ আখড়া এখনো পর্যন্ত একই সজ্জায় অবস্থিত আছে। আজও সেই জয়দেব কেনুলিতে মনের মানুষ আখড়ায় সাধন দাস বৈরাগ্য ও মা কি কাজুমির গানের সুর পাখির কলরব গোটা আখড়া জুড়ে ভেসে আসে। পৌষ মেলায় বাউল গানের আসরে মঞ্চে উঠে গান গাইতে মা কি কাজুমিকে অনেকবারই দেখা গেছে।।

    জয়দেব কেন্দুলী থেকে জয়ন্ত মন্ডলের রিপোর্ট বীরভূম।।

  • লাগাতার হাতির আতঙ্ক তো ছিলই বাঁকুড়ার জয়পুরে,তার উপর সকাল থেকেই বৃষ্টিতে নাজেহাল কৃষকেরা।

    লাগাতার হাতির আতঙ্ক তো ছিলই বাঁকুড়ার জয়পুরে,তার উপর সকাল থেকেই বৃষ্টিতে নাজেহাল কৃষকেরা।

    একদিকে সকাল থেকেই চলছে অঝোর ঝড়ে বৃষ্টি তার সাথে ঘন কুয়াশার দাপট জেলায়, তার উপর বাঁকুড়া জয়পুর জঙ্গলে হাতির ভয়। এ দুইয়ের আতঙ্কে নাজেহাল কৃষকেরা।
    বাঁকুড়ায় একদিকে লাগাতার হাতির তাণ্ডব, ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি অন্যদিকে প্রচন্ড বৃষ্টি। জেঠ আলু পোখরাজ পেপসি সুপার সিক্স জ্যোতি চন্দ্রমুখী সহ আলুর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, নাজেহাল কৃষকেরা।
    হাজার হাজার টাকা খরচা করে লাগিয়েছেন আলু একবার নয় দুই দুবার, এর আগে অতিবৃষ্টিতে নষ্ট করেছিল চাষের আলু লাগানো অবস্থায়, সেই আলু ভেঙ্গে আবারো রোপন করেছিল আলু, আবার সেই আলুতে ব্যাঘাত ঘটালো বৃষ্টি।
    আবহাওয়ার খামখেয়ালী পোনায় মরণফাঁদে কৃষকেরা।
    কিভাবে চালাবেন সংসার কিভাবে শোধ হবে দেনা, একই বৃষ্টিতে রক্ষে নেই বাঁকুড়ার মানুষদের তার উপর বাঁকুড়ার জয়পুর জঙ্গলে হাতির আতঙ্ক। প্রায় দিনই হাতির আনাগোনা, একবার পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে জয়পুর জঙ্গল আবার অন্যদিকে সোনামুখীর জঙ্গল থেকে জয়পুর জঙ্গল। অনবরত হাতির আনাগোনা জয়পুর জঙ্গলে, যদিও একবার ফরেস্টের চোখকে ফাঁকি দিয়ে নষ্ট করছে জমির ফসল আলু। আজ আবার সকাল থেকেই প্রচন্ড বৃষ্টি, এই দুইয়ের আতঙ্কে রয়েছেন জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের মানুষ। আবারো আজ ভোরে প্রবেশ করেছে হাতীর দল, একই বৃষ্টিতে রক্ষে নেই তার উপর হাতির দলের প্রবেশ জয়পুরে। নাজেহাল জঙ্গল লাগবো গ্রামের মানুষ।

  • ৭৫ তম প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হল বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর মহকুমার বি এস এ স্টেডিয়ামে।

    ৭৫ তম প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হল বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর মহকুমার বি এস এ স্টেডিয়ামে।

    ৭৫ তম প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হল বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর মহকুমার বি এস এ স্টেডিয়ামে।
    ৭৫ তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে স্টেডিয়াম জুড়ে সাজো সাজো রব আজ সকাল থেকে, স্টেডিয়ামের উপচে পড়া দর্শকের ভিড়ে সকলের উপস্থিতিতে ঘড়ির কাটায় ঠিক নটার সময় ৭৫ তম প্রজাতন্ত্র দিবসের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভ উদ্বোধন। উদ্বোধন করলেন বিষ্ণুপুর মহকুমা শাসক প্রসেনজিৎ ঘোষ, সাথে উপস্থিত ছিলেন বিষ্ণুপুর মহকুমার আরাধ্যক্ষ সুপ্রকাশ দাস, সাথে উপস্থিত ছিলেন বিষ্ণুপুরের আইসি, অতনু সাঁতরা।
    প্যারেড কমান্ডার বিশ্বনাথ শাহানা, সাথে উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়া জেলা ট্রাফিক পুলিশ শহ পুলিশের একাধিক আধিকারিক ।
    ভারতের জাতীয় সংগীতের পাশাপাশি তিন রাউন্ড গ্রান ফায়ার করাহয় তারপরেই চলে প্যারেড, প্যারেড শেষে একাধিক ব্লকের ট্যাবল পদর্শনী করা হয়। অভিবাদন বহন করেন বিষ্ণুপুর মহকুমা শাসক ও মহাকুমার পুলিশ আধিকার।
    তারপরে চলে একাধিক স্কুলের ছেলেমেয়েদেরকে নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
    সকাল থেকে এমনই দৃশ্য ধরা পরল আমাদের ক্যামেরায় দেখুন সেই ছবি।
    আজকের দিনের এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে বিষ্ণুপুর মহকুমা শাসক কি অভিবাসন দিলেন চলুন শোনাবো আপনাদের।

  • কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে হালকা রোদের উঁকি ঝুঁকি কে অপেক্ষা করে ম্যারাথন দৌড়ের মধ্য দিয়ে শুভ সূচনা হয়ে গেল জয়পুর উৎসব।

    কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে হালকা রোদের উঁকি ঝুঁকি কে অপেক্ষা করে ম্যারাথন দৌড়ের মধ্য দিয়ে শুভ সূচনা হয়ে গেল জয়পুর উৎসব।

    কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে হালকা রোদের উঁকি ঝুঁকি কে অপেক্ষা করে ম্যারাথন দৌড়ের মধ্য দিয়ে শুভ সূচনা হয়ে গেল জয়পুর উৎসব।
    গান ফায়ার এর মধ্য দিয়ে শুরু হল ম্যারাথন দৌড় উদ্বোধন করলেন জয়পুর ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক দেবজ্যোতি পাত্র। শুরু হলো সপ্তম তম জয়পুর মেলা। আজ সকালে, জয়পুর ব্লকের রাজগ্রাম বাস স্ট্যান্ড থেকে পুরুষ দের ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা,ও বাঘা জোল বাস স্ট্যান্ড থেকে মহিলাদের ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয় শেষ হয় জয়পুর হাই স্কুল মাঠে।
    আজ ২৫শে জানুয়ারি জাতীয় ভোটার দিবস সেই ভোটার দিবসে জয়পুর ব্লক প্রশাসনের জাতীয় ভোটার দিবস পালনে অভিনব উদ্যোগ দেখল জয়পুর ব্লকের মানুষ। হালকা আকাশী কালারের ড্রেস পড়ে শয়ে শয়ে পুরুষ ও মহিলারা এই দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন প্রথম হন আরামবাগের যুবক সাহেব অধিকারী প্রতিবছরই তিনি এই দৌড় প্রতিযোগিতায় ডাক পান অংশগ্রহণ করার জন্য। তিনি এসেছিলেন এবং প্রথম পুরস্কার জিতে নিয়ে যান।
    মহিলা প্রথম হন কোতুলপুর ব্লকের সিয়াস শ্রীরামপুরের কন্যা বৃষ্টি সেন। পুরস্কার তুলে দেন জয়পুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিউটি শার্ট, ৫০০০ টাকার চেক ও সাথে ট্রফি।
    ও সাহেবের হাতে প্রথম পুরস্কার তুলে দেন জয়পুর ব্লকের বিডিও দেবজ্যোতি পাত্র।
    তবে ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতায় এক অন্য চিত্র ধরা পরল আমাদের ক্যামেরায় দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন জয়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ওসি রামনারায়ণ পাল, উনাকে দীর্ঘ রাজগ্রাম থেকে জয়পুর পর্যন্ত দৌড়াতে দেখা যায় সাথে ছিলেন একাধিক কর্মীরা।
    ওনার এই প্রতিভাকে কুর্নিশ জানান জয়পুর ব্লকের মানুষ যে সারাদিন অতি ব্যস্ত থাকার পরেও তিনি দৌড় প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করে সকলকে দেখিয়ে দিলেন তিনি সারাদিন ব্লক সামাললেও কোন দিক দিয়ে তিনি কম যান না কোথায় বলে না যিনি রাঁধেন তিনি চুলও বাঁধেন।
    তেনার এই প্রতিভাকে দেখে ওনাকেও পুরস্কৃত করা হয় জয়পুর ব্লক এর পক্ষ থেকে।