প্রচন্ড গরমের মাঝেই প্লাস্টিকের ডিম কিনছেন না তো? ভুলে যাচ্ছেন প্লাস্টিকের ডিমের কথা।
নিজস্ব প্রতিবেদন :সুপার ফুড হওয়ায় যে কোনও মরশুমেই ডিম খাওয়া যেতে পারে। ডিমে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং ওমেগা-3 থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে। সেই কারণেই বহু লোক ডিম খান। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজারে নকল ডিম বিক্রি করে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে চলছে ছেলে খেলা। এর ফলে স্বাস্থ্যের ভয়াবহ ক্ষতি হতে পারে।দেশে সবচেয়ে বেশি ডিম উৎপাদন হয় অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুতে। শুধুমাত্র হায়দরাবাদেই প্রতিদিন ৭৫ লাখ ডিমের চাহিদা রয়েছে। ডিমের ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে দিন দিন বাড়ছে নকল ডিমের ব্যবসা। তাই ডিম কেনার ক্ষেত্রে গ্রাহককে সতর্ক থাকতে হবে। মাথায় রাখতে হবে নকল ডিম বেশি চকচকে হয়। নকল ডিম তৈরিতে এর খোসায় প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়। তাই নকল ডিম আগুনের কাছে রাখলে ডিম থেকে পোড়ার গন্ধ আসবে এবং আগুনও ধরে যেতে পারে। কিন্তু আসল ডিমের বাইরের খোসা হয় কিছুটা খসখসে। এই চকচকে দেখে অনেকেই ডিম কিনে ফেলে ঠকে।আসল ডিমের ক্ষেত্রে হাতে নিয়ে নাড়ালে ভেতর থেকে কোনও শব্দ পাওয়া য়াবে না। কিন্তু নকল ডিম হাতে নিয়ে ঝাঁকালে কিছু শব্দ পাওয়া যাবে। তাই ডিম কেনার আগে অবশ্যই গ্রাহককে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ এই নকল ডিম খেলে স্বাস্থ্য হানির আশঙ্কা থেকেই যায়। শহরে গড়ে প্রতি দিন প্রায় দেড় কোটি ডিম বিক্রি হয়। যা কিনা দেশের অনেক শহরের তুলনায় প্রায় ডবল। তাই দেখে নিয়ে কিনুন, সুস্থ থাকুন।