Category: দক্ষিণবঙ্গ

  • আম পাকা খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে পুকুর পাড়ে নিয়ে গিয়ে দশ বছরের নাবালিয়া কে ধর্ষণ টোটো চালকের, পুলিশের জালে গ্রেপ্তার ধর্ষক যুবক।

    আম পাকা খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে পুকুর পাড়ে নিয়ে গিয়ে দশ বছরের নাবালিয়া কে ধর্ষণ টোটো চালকের, পুলিশের জালে গ্রেপ্তার ধর্ষক যুবক।

    ফের নাবালিকা ধর্ষণ, অভিযোগ হতেই গ্রেফতার অভিযুক্ত টোটো চালক

    ফের নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা ঘটল বাঁকুড়ার সোনামুখীতে । গতকাল বিকালে এক নাবালিকাকে স্থানীয় একটি পুকুরের পাড়ে নিয়ে গিয়ে এক টোটো চালক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। নির্যাতিতার পরিবারের তরফে অভিযোগ পেতেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতকে আজ বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে সোনামুখী থানা এলাকার বাসিন্দা বছর দশ বয়সী এক নাবালিকা গতকাল সাইকেলে চড়ে এলাকার একটি দোকানে চিপস কিনতে যায়। সেই সময় আচমকাই সেখানে হাজির হয় স্থানীয় বাসিন্দা পেশায় টোটো চালক সপ্তর্ষী নাগ ওরফে পিন্টু নাগ। অভিযোগ সপ্তর্ষী ওরফে পিন্টু ওই নাবালিকাকে তুলে নিয়ে যায় স্থানীয় একটি পুকুরের পাড়ে।

    সেখানে ওই নাবালিকাকে ওই যুবক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় কোনোক্রমে ওই নাবালিকা বাড়িতে ফিরে পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি জানায়। এরপরই নির্যাতিতার পরিবারের লোকজন অভিযুক্তর বাড়িতে হানা দিয়ে তাকে ধরে সোনামুখী থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

    পরে নির্যাতিতার পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ওই যুবককে গ্রেফতার করে। আজ ধৃতকে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিশ। অভিযুক্তর কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা।

  • রাতের অন্ধকারে জঙ্গলের কাঠ কেটে পাচার করতে গিয়ে কপাল পুরল দুষ্কৃতীদের, বাজেয়াপ্ত গাছ ও পিকআপ ভ্যান।

    রাতের অন্ধকারে জঙ্গলের কাঠ কেটে পাচার করতে গিয়ে কপাল পুরল দুষ্কৃতীদের, বাজেয়াপ্ত গাছ ও পিকআপ ভ্যান।

    জঙ্গল থেকে পিকআপ ভ্যানে করে গাছ চুরি করে পালাতে গিয়ে বিপদে পড়ল চোরের দল, বনদপ্তরের হাতে পাকড়াও গাড়ি উদ্ধার কাঠ।


    জঙ্গল থেকে গাছ চুরি করে রাতের অন্ধকারে পালাতে গিয়ে, ভিজে মাটিতে গাড়ি বসে গিয়ে বিপদে পড়ল গাছ চোরের দল এমনই ঘটনা সাক্ষী থাকলো বাঁকুড়া উত্তর গণবিভাগের বাঁকুড়া ফরেস্ট রেঞ্জের বেলবনি বিটের অন্তর্গত উপরবান্দি গ্রামে ।


    জানা যায় উপরবান্দি গ্রামে ঢোকার আগেই বাঁদিকের জঙ্গল থেকে রাতের অন্ধকারে গাছ কেটে পাচার করার চেষ্টা চালাচ্ছিল বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী। দুর্ভাগ্যক্রমে ভিজা মাটিতে কাঠ বোঝাই করা পিকআপ ভ্যানটি আটকে যায় জঙ্গলের মাঝে পিকআপ ভ্যানটিকে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করলেও বিফলে যায় সেই চেষ্টা। ফলে সকালেই বন কমিটি ও গ্রামের লোকেদের চোখে পড়ে।


    রীতিমতো খবর দেয়া হয় বেলবনি বিট অফিসে, বেলবনি বিট অফিসের পক্ষ থেকে কাটা গাছ ও গাছ বোঝায় পিকআপ ভ্যানটিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে নিয়ে আসে বনদপ্তরের অফিসে। কারা পাচার করছিল জঙ্গলের কাঠ, কারা এর সাথে যুক্ত তার তদন্ত করছে বলে জানান বনদপ্তর।

  • বহু প্রতীক্ষিত পুরুলিয়া-বাঁকুড়া-হাওড়া ভায়া মশাগ্রাম নতুন ট্রেন পরিষেবা উদ্বোধনে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকলো দক্ষিণবঙ্গ।

    বহু প্রতীক্ষিত পুরুলিয়া-বাঁকুড়া-হাওড়া ভায়া মশাগ্রাম নতুন ট্রেন পরিষেবা উদ্বোধনে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকলো দক্ষিণবঙ্গ।

    পুরুলিয়া-বাঁকুড়া-হাওড়া নতুন ট্রেন পরিষেবা চালু, উদ্বোধন রেলমন্ত্রীর।

    আজ ২৮ জুন ঐতিহাসিক এক দিনের সাক্ষী থাকল দক্ষিণবঙ্গ। চালু হলো বহু প্রতীক্ষিত পুরুলিয়া-বাঁকুড়া-হাওড়া ভায়া মশাগ্রাম নতুন ট্রেন পরিষেবা। সাঁতরাগাছি স্টেশন থেকে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ট্রেনটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

    অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ সহ একাধিক বিজেপি নেতৃত্ব।

    দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে ট্রেনটি পুরুলিয়া স্টেশন থেকে ছেড়ে বাঁকুড়ায় পৌঁছায় বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে। এরপর মশাগ্রাম হয়ে রাত ৯টা ১০ মিনিটে হাওড়ায় পৌঁছাবে এই ট্রেন। দীর্ঘদিন ধরেই এই ট্রেন চালুর দাবি জানিয়ে আসছিলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। অবশেষে সেই দাবি পূরণ হওয়ায় তিনি নিজেও আনন্দ প্রকাশ করেন।

    বাঁকুড়া স্টেশনে ট্রেনটি পৌঁছানো মাত্রই জেলার বিজেপি বিধায়ক ও নেতারা সবুজ পতাকা নেড়ে ট্রেনকে স্বাগত জানান। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার, বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা, দিবাকর ঘরামি সহ জেলার অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব এই সময় উপস্থিত ছিলেন। সোনামুখী সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলোতেও বিজেপি কর্মীদের উপস্থিতি ছিল নজরকাড়া।

    রেলযাত্রীরা জানিয়েছেন, নতুন এই ট্রেন পরিষেবা চালু হওয়ায় তারা অত্যন্ত খুশি। কেউ কেউ প্রথম দিনের যাত্রা উপভোগ করতে কলকাতা থেকেও ছুটে এসেছেন। সকলের মুখে ছিল আনন্দের ছাপ। জেলা বাসীর দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে এই ট্রেন পরিষেবা তাদের যাতায়াতকে অনেকটাই সহজতর করবে বলেই আশাবাদী সকলেই।

  • বাঁকুড়ার দারকেশ্বর নদে স্নান করতে নেমে আবার চলে গেল ফুটফুটে ৯ বছরের শিশুর প্রাণ, বুকফাটা কান্নায় বাবা।

    বাঁকুড়ার দারকেশ্বর নদে স্নান করতে নেমে আবার চলে গেল ফুটফুটে ৯ বছরের শিশুর প্রাণ, বুকফাটা কান্নায় বাবা।

    _*দ্বারকেশ্বর নদে ফের দুর্ঘটনা, সামরোর ব্রিজ বেড়াতে এসে স্নান করতে নেমে নদীর জলে তলিয়ে গিয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা বাঁকুড়ার ইন্দাস ও কোতুলপুরে।

    আবারো ফের মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেল দারকেশ্বর নদীতে, এবার স্নান করতে নেমে নদীর জলে তলিয়ে গিয়ে ঘটনায় মৃত ৯ বছরের শিশু।
    বৃহস্পতিবার দুপুরে কোতুলপুর ও ইন্দাস থানার সংযোগকারী সামড়োঘাট ব্রিজের নিচে দ্বারকেশ্বর নদে স্নান করতে নামে চারজন ছাত্র। তারা সকলেই ইন্দাস থানার আমরুল অঞ্চলের বাসিন্দা। স্নানের সময় হঠাৎই জলের তোড়ে তলিয়ে যায় তিনজন ছাত্র।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতায় দু’জনকে কোনওক্রমে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও নিখোঁজ ছিল ৯ বছরের শেখ সলমন। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ইন্দাস ও কোতুলপুর থানার পুলিশ ও প্রশাসন।

    প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় সিভিল ডিফেন্স কর্মী ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার করা হয় শেখ সলমনের নিথর দেহ।

    উল্লেখ্য, এই একই দ্বারকেশ্বর নদেই মাত্র দু’দিন আগেই বিষ্ণুপুরের তিন ছাত্র ডুবে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। তার পরেই ফের এক ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। নদী পারাপার বা স্নানের সময় আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বনের দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা।

  • *কংসাবতী জলাধার থেকে আগাম জল ছাড়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস বাঁকুড়ার কৃষকদের

    *কংসাবতী জলাধার থেকে আগাম জল ছাড়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস বাঁকুড়ার কৃষকদের

    *নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁকুড়া, ২৪ জুন:


    বাঁকুড়া জেলার কৃষিজীবী মানুষদের জন্য সুখবর। চলতি মরসুমে প্রথমবারের জন্য মুকুটমণিপুরের কংসাবতী জলাধার থেকে জল ছাড়া হল। সেচ দফতর সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার রাত বারোটা নাগাদ জলাধারের চারটি গেট খুলে প্রায় ছয় হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হয় কংসাবতী নদীতে।

    গত কয়েক দিনের লাগাতার বৃষ্টি ও বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত হওয়া সম্ভাব্য নিম্নচাপের আশঙ্কায় জলাধারের জলস্তর দ্রুত বেড়ে চলেছে। সোমবার রাত পর্যন্ত ওই স্তর দাঁড়ায় ৪২৫.৭৫ ফুটে। ফলে অতিরিক্ত জল ধরে রাখতে না পেরে আগেভাগে জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেচ দপ্তর।

    এই পদক্ষেপে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হচ্ছেন গ্রামীণ এলাকার কৃষকরা। ইতিমধ্যেই আলু তোলা হয়ে গেছে, তিলও কাটার কাজ প্রায় শেষ। এবার এই বিনামূল্যের জল ব্যবহার করে জমিতে আউশ ও আম্রপালি ধানের বীজতলা তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছেন কৃষকেরা। এর ফলে সাবমার্সিবল পাম্প চালিয়ে জলের জন্য বাড়তি খরচের হাত থেকেও রেহাই মিলেছে।

    গ্রামের কৃষকদের মতে, “প্রতিবার  জল কিনতে গিয়ে 1 বিঘা প্রতি অনেক টাকা চলে যায়। এবার জলাধার থেকে জল পেয়ে আমরা খুবই খুশি। হাতের কাছে জল থাকলে জমি বাঁচে, ফসল বাঁচে।”

    সেচ দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “জলাধারে অতিরিক্ত জল জমা হতে থাকলে আরও কয়েক দিন এমনভাবে জল ছাড়া হতে পারে।

    এই খবরের পর বাঁকুড়া ও আশেপাশের অঞ্চলে কৃষকদের মধ্যে উৎসবের আমেজ। বীজতলা তৈরির পাশাপাশি অনেকে আগাম জমি তৈরি করে ফেলছেন আগামী চাষের জন্যও।

  • গ্রামে রাত থেকে হিস-হিস শব্দ, সকালে দেখেই ঘুম ছুটলো গ্রামবাসীদের,গ্রামে যেন শুধুই আতঙ্ক, দেখুন কি এমন ঘটল।

    গ্রামে রাত থেকে হিস-হিস শব্দ, সকালে দেখেই ঘুম ছুটলো গ্রামবাসীদের,গ্রামে যেন শুধুই আতঙ্ক, দেখুন কি এমন ঘটল।

    গ্রামের পুকুর পাড়ে বিশালাকার পাহাড়ি অজগর সাপ কে দেখে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য।
    ইন্ডিয়ান রক পাইথন দেখতে গ্রামবাসীদের ভিড় এলাকায়।


    এর আগে অজগর ময়াল দেখেছেন গ্রামবাসীরা তবে এত বড় মাপের অজগর সাপ দেখেননি কেউই। কোথা থেকে এলো, কিভাবে বা এলো? এত বড় আকারের সাপ। তবে গ্রামবাসীদের ধারণা,লাগাতার চলছে বৃষ্টি, একদিকে যেমন বৃষ্টির জেরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ঠিক তেমনি দুর্গাপুর ব্যারেজের ছাড়া জলে জলমগ্ন এলাকা, তাহলে কি দামোদর নদীর জল থেকে উঠে এলো এই সাপ। এই প্রশ্নটাই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে গ্রামবাসীদের মনে। তবে এত বড় মতের সাব দেখে আতঙ্ক রয়ে যাচ্ছে গ্রামবাসীদের মনে দামোদর নদীর জলে কি নাকি গ্রামে চলে এসেছে কে জানে, মাত্র দুদিন আগে উদ্ধার হয়েছে বর্ধমান থেকে আনাগণ্ডা প্রজাতির সাপ আজ আবার সোনামুখী থেকে উদ্ধার রক পাইথন। গ্রামবাসিদের দাবি গ্রামের একটি পাড়ের ঝোপের মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে ছিল এই সাপটি হিস হিস শব্দ শুনে গ্রামের মানুষের নজরে পড়ে এত বড় মাপের সাপের, প্রথমে এত বড় মাপের সাপ দেখে ভয় পেয়ে যান গ্রামবাসীরা,এটা কি সাপ কৌতুহল জাগে মনে।


    খবর দেয়া হয় গ্রাম বাসীদের তড়িঘড়ি ছুটে আসে এলাকায়। খবর দেয়া হয় সোনামুখী বনদপ্তরে। তৎক্ষণাৎ এলাকায় ভিড় জমায় সাপ দেখতে আসা জনতার, দেখলে মনে হবে গ্রামে যেন কোন পরব লেগে গেছে,এতটাই সাপ দেখতে ভিড়। তবে তড়িঘড়ি বড় দপ্তরের পক্ষ থেকে ছুটে আসা হয় বাঁকুড়ার সোনামুখী ব্লকের নারায়ণ সুন্দরী গ্রামে। পুকুরপাড় থেকে উদ্ধার করা হয় সাপটিকে।

    বনদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয় এই সাপটি ইন্ডিয়ান রক পাইথন অর্থাৎ পাহাড়ি অজগর সাপ। প্রায় ১০ থেকে ১২ বছরের বেশি হবে বয়স, বহু পুরাতন সাপ এই সাপ সাধারণত ঠান্ডা স্বভাব চরিত্রের, হাঁস-মুরগি, ব্যাং, ছাগল ভেড়া পশু পাখি,এদের শিকার। এরা নির্বিশ,তবে সুযোগ পেলে মানুষকেও ছাড়ে না।
    যাই হোক না কেন বনদপ্তর এই সাপকে নিয়ে পুকুরপাড় থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় বনদপ্তরে। তারপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় এলাকায়, যে যার ফিরে যায় বাড়ি।

    দেখুন সেই ছবি কি বলছেন বনদপ্তর দেখুন তাহলে।। বাঁকুড়ার সোনামুখী থেকে অরূপ ঘোষের রিপোর্ট বিসিএন বাংলা।

  • দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ পাবে গ্রামবাসীরা তাও আবার দুয়ারে রেশন প্রকল্পে, সেই পেঁড়া গোজা তৈরি হচ্ছে ব্লকে ব্লকের মিষ্টির দোকানে

    দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ পাবে গ্রামবাসীরা তাও আবার দুয়ারে রেশন প্রকল্পে, সেই পেঁড়া গোজা তৈরি হচ্ছে ব্লকে ব্লকের মিষ্টির দোকানে

    দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, রাজ্যবাসীর হাতে পৌঁছে যাবে জগন্নাথ দেবের প্রসাদ। সেই অনুযায়ী রাজ্য প্রশাসনের নির্দেশে বাঁকুড়ার বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে তৈরি হচ্ছে প্রসাদী পেঁড়া ও গজা।

    ইতিমধ্যেই দিঘা মন্দির থেকে আসা খোয়া মিশিয়ে চলছে প্রস্তুতি। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্যাকেজিংয়ের কাজ শেষ হলেই রেশন ডিলারদের মাধ্যমে দুয়ারে রেশন প্রকল্পের উপভোক্তাদের মধ্যে বিলি করা হবে এই মহাপ্রসাদ।

    পেরা ও গজা বানানোর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বিভিন্ন মিষ্টি ব্যবসায়ীদের। অংকুর এর বাংলা বাজারের আশীর্বাদ সুইট ফিরবান ব্লক প্রদর্শনের ওই প্রসাদ তৈরির বরাত পেয়েছে। দোকানের কর্ণধার তুষার চ্যাটার্জি জানান হীর্বাদ ব্লক প্রশাসনের প্রায় 12000 প্রসাদ প্যাকেটের বরাত পেয়েছেন তিনি কর্মীরা, পরিচ্ছন্নতার সাথে সুরক্ষাবিধি মেনে পেরা ও গোজা তৈরি করছেন।
    প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে প্রসাদ প্যাকেজিং হলেই রেশন ডিলারদের মাধ্যমে দুয়ারের রেশন প্রকল্প থেকে তা উপভোক্তা পরিবারগুলিকে বিল করা হবে।

    রাজ্য প্রশাসনের নির্দেশে জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ তৈরি হচ্ছে জেলার বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে

    দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়‌ ঘোষণা করেছিলেন জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ পাবেন রাজ্যবাসী। সেই থেকে রাজ্য প্রশাসনের নির্দেশে জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ তৈরি হচ্ছে জেলার বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে। প্রশাসনের তরফে, প্রসাদী পেঁড়া ও গজা বিলির প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। ইতিমধ্যে পেঁড়া ও গজা বানানোর দায়িত্বপ্রাপ্ত মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীদের কাছে দিঘার মন্দির থেকে জগন্নাথ দেবের মহাপ্রসাদের প্রসাদী খোয়া এসে পৌঁছেছে।

    তা মিশিয়ে চলছে প্রসাদী পেঁড়া তৈরি। ইন্দপুরের বাংলা বাজারের আশীর্বাদ সুইটস্- হিড়বাঁধ ব্লক প্রশাসনের ওই প্রসাদ তৈরির বরাত পেয়েছে। দোকানের কর্ণধার তুষার চ্যাটার্জি জানান, হিড়বাঁধ ব্লক প্রশাসনের প্রায় বারো হাজার প্রসাদ প্যাকেটের বরাত পেয়েছেন তিনি। কর্মীরা পরিচ্ছন্নতার সাথে, সুরক্ষা বিধি মেনে পেঁড়া ও গজা তৈরি করছেন।


    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রসাদ প্যাকেজিং হলেই, রেশন ডিলারদের মাধ্যমে দুয়ারে রেশন প্রকল্প থেকে তা উপভোক্তা পরিবারগুলিকে বিলি করা হবে।

  • দুর্গাপুর ব্যারেজ পরিদর্শনে এসে এক ঢিলে দুই পাখি মারলেন সেচ মন্ত্রী মানুষ ভূঁইয়া।

    দুর্গাপুর ব্যারেজ পরিদর্শনে এসে এক ঢিলে দুই পাখি মারলেন সেচ মন্ত্রী মানুষ ভূঁইয়া।

    দুর্গাপুর ব্যারেজের পলি উত্তোলন নিয়ে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুললেন সেচ মন্ত্রী মানস ভূঁইয়া।

    শুক্রবার সকালে দুর্গাপুর ব্যারেজের সংস্কার হওয়া রাস্তা পরিদর্শন করতে আসেন রাজ্যের সেচ মন্ত্রী মানস ভূঁইয়া। তখনই তিনি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন,”দুর্গাপুর ব্যারেজের লকগেট মেরামতির জন্য ২০১৫ সাল থেকে কেন্দ্রের কাছে কোন সহযোগিতা পায়নি। আর ১২ বছর ধরে ড্যামগুলির ধারণ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য পল্লী উত্তোলনের আবেদন জানানো হয়েছে রাজ্যের তরফ থেকে কেন্দ্রের কাছে। দুর্গাপুর ব্যারেজেও দীর্ঘদিন ধরে পলি উত্তোলন না হওয়ার জন্য জল ধারণ ক্ষমতা কমছে।

    সেই পলি উত্তোলনের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কেন্দ্রকে চিঠি করেছেন জলশক্তি মন্ত্রকে এবং প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি করেছেন। কিন্তু ওরা শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু কোন সহযোগিতা না করে রাজ্যকে বঞ্চিত করছে।” দুর্গাপুর ব্যারেজের রাস্তা সংস্কার নিয়ে তিনি বলেন,”সময়ই রাস্তা সংস্কারের কাজ শেষ হয়েছে। বৃষ্টির জন্য কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। এখনো ব্যারেজের রাস্তায় রবার সিল লাগানো বাকি রয়েছে। হায়দ্রাবাদ থেকে এনে সেগুলি লাগানো হবে। দেড় মাস ধরে রাস্তার কাজ হওয়ার জন্য বন্ধ ছিল জল ছাড়া।

    মাইথন পাঞ্চেত এবং দুর্গাপুর ব্যারেজের জলে লেবেল স্বাভাবিক করার জন্য অল্প অল্প জল ছাড়া হচ্ছে। বাঁকুড়া,পুরুলিয়া পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং ঝাড়খন্ডে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। সেই জল দামোদরের নামছে। তেলুঘাট যাতে জল ছাড়ার আগে রাজ্যকে জানাই সেই আবেদন করা হয়েছে। আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা এবং সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা নজর রাখছে। সেচ দপ্তরের সচিব মণীশ জৈন নিজে নজর রাখছে। আজ ৪১ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হচ্ছে। কোন মানুষের যাতে সমস্যা না হয় সেজন্য তৎপর রাজ্য প্রশাসন।

    পুরনো সেতুর পাশে নতুন সেতু করার আবেদন দেওয়া হয়েছে। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো। তারপরেই উত্তর জানানো হবে।” এদিন মন্ত্রীর সাথে ছিলেন বাঁকুড়ার সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী, সিয়াদ এন, আইএএস

    জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও কালেক্টর,

    বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক পন্নামবলাম এস, বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি, দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায়, বড়জোড়ার বিধায়ক অলোক মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।

  • এলাকার উন্নয়নের নিরিখে রাজ্যে ৩৩৫৪টা গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে প্রথম কুড়ির পুরস্কার পেল বাঁকুড়া জয়পুর সলদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অনিল দে।

    এলাকার উন্নয়নের নিরিখে রাজ্যে ৩৩৫৪টা গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে প্রথম কুড়ির পুরস্কার পেল বাঁকুড়া জয়পুর সলদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অনিল দে।

    এলাকার উন্নয়নের নিরিখে রাজ্যে ৩৩৫৪টা গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে প্রথম কুড়ির পুরস্কার পেল বাঁকুড়া জয়পুর সলদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অনিল দে।


    আলট্রাটেক যশো স্ত্রী প্রধান গ্রাম গড়বে দেশ এগোবে প্রতিযোগিতায় রাজ্যের কুড়ি জন প্রধানকে দেয়া হয় প্রথম পুরস্কার ।


    তার মধ্যে প্রথম কুড়িতে স্থান অধিকার করল সলদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অনিল দে। আলট্রাটেক সিমেন্ট ও মিডিয়া পার্টনার আনন্দবাজার পত্রিকার যৌথ উদ্যোগে প্রথম পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় প্রধানদের হাতে।


    বাঙালির গর্ব সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও অভিনেতা প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জীর হাত থেকে পুরস্কার নিলেন প্রধান।
    যেমন খুশি তিনি তার সাথে খুশি হল বাঁকুড়া জেলার জয়পুরের মানুষ। জানা যায় কাজের নিরিখে এলাকার উন্নয়নের জন্য একাধিক বিষয়ের উপর রাজ্যের ৩৩১৭ টি গ্রাম পঞ্চায়েতে সমীক্ষা চালানো হয়।

    এবং পরীক্ষামূলকভাবে কাজের নিরিখে সিলেকশন করা হয়,তারই মধ্যে বাঁকুড়া জেলার গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানদের মধ্যে একমাত্র প্রধান সিলেকশন হন জয়পুর ব্লকের সোলদা গ্রাম পঞ্চায়েত।


    এই পুরস্কার পেয়ে কতটা খুশি, কি বলছেন প্রধান চলুন শোনাবো আপনাদের।।

  • প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই ইলেকট্রিক তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎ পৃষ্ঠ হয়ে মৃত্যু প্রৌঢ়ার

    প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই ইলেকট্রিক তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎ পৃষ্ঠ হয়ে মৃত্যু প্রৌঢ়ার

    বর্ষার শুরুতেই বিদ্যুতের ছেঁড়া তারে বিদ্যুৎ পৃষ্ঠ হয়ে মৃত্যু প্রৌঢ়ার, বিদ্যুৎ দফতরের গাফিলাতিতেই এই মর্মান্তিক মৃত্যু দাবি গ্রামবাসীদের



    বর্ষার শুরুতেই ছেঁড়া তারে বিদ্যুৎ পৃষ্ঠ হয়ে মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ার। পুলিশ জানিয়েছে মৃতার নাম রেবা মাজি। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের সাহাপুর মাজিপাড়া এলাকায়। বিদ্যুৎ দফতরের গাফিলাতিতেই ওই প্রৌঢ়ার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। আগামীদিনে এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে দাবি বিদ্যুৎ দফতরের।

    বর্ষার শুরুতেই প্রবল বৃষ্টিতে বানভাসি অবস্থা বাঁকুড়া জেলার। তার মাঝেই বিদ্যুতের ছেঁড়া তারে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে এক প্রৌঢ়ার মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। জানা গেছে এদিন সকালে স্থানীয় একটি পুকুর থেকে স্নান করে নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন ওন্দা ব্লকের সাহাপুর গ্রামের বাসিন্দা রেবা মাজি। গ্রামের রাস্তায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়েছিল তা নজরে আসেনি রেবা মাজির।

    ছেঁড়া সেই তারে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই ওন্দা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। স্থানীয়দের দাবি এলাকার বিভিন্ন জায়গায় বিপজ্জনকভাবে হাইটেনশান বিদ্যুতের তার ঝুলে রয়েছে। এছাড়া দীর্ঘদিনের পুরানো তার বদলের বারংবার দাবিও জানিয়েছিলেন স্থানীয়রা।

    কিন্তু সে কথায় বিদ্যুৎ দফতর কান দেয়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ বিদ্যুৎ দফতর গ্রামবাসীদের কথামতো বিদ্যুতের তার বদল করলে এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটতো না। বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকদের দাবি আগামীতে এমন দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।