Category: প্রতিবেদন

  • *আপনি কি জানেন বালি হাঁসের নাম বালি হাঁস হল কেন ? দেখুন বিস্তারিত।।*

    *আপনি কি জানেন বালি হাঁসের নাম বালি হাঁস হল কেন ? দেখুন বিস্তারিত।।*

    বালিহাঁস নাম কারনের প্রধান কারন হলো, এদের বাসভূমি সাধারণত বালু বা বেলেভূমিযুক্ত এলাকায়। এরা বেলে মাটি যুক্ত মাটিতে থাকতে পছন্দ করে এদের এই ধরনের পরিবেশে দেখা যায়, যেখানে বালি বা বেলে মাটি বেশি থাকে, তাই এদের স্থানীয় নাম করন করা হয়েছে “বালিহাঁস”।। এটি একটি সাধারণ পরিচিত নাম, যা এদের আবাস এবং বৈশিষ্ট্যকে নির্দেশ করে.


    এদের সম্বন্ধে ভালোভাবে বলতে গেলে:
    বালিহাঁস (Nettapus coromandelianus) একটি ছোট আকারের হাঁস, যা
    এদের আবাসস্থল সাধারণত নদী বা হ্রদের পাড়, যেখানে বালু বা বেলে মাটি বেশি থাকে.
    যা এদের আবাসস্থল এবং বৈশিষ্ট্যকে নির্দেশ করে.

    এই হাঁসের
    বৈজ্ঞানিক নাম “Nettapus coromandelianus” এর অর্থ “কোরাম্যান্ডলের শোরগোল করা হাঁস” (gr. netta = হাঁস, ops = ডাকাডাকি, ল্যাটিন coromandelianus = কোরাম্যান্ডল).

    পাখিটি উত্তর অস্ট্রেলিয়া ও তার আশেপাশের অঞ্চলে দেখা যায়। সবুজ বালিহাঁসের বৈজ্ঞানিক নামের অর্থ শোরগোল করা সুন্দরী হাঁস (গ্রিক netta = হাঁস, ops = ডাকাডাকি; ল্যাটিন pulcher = সুন্দর)। সারা পৃথিবীতে এক বিশাল এলাকা জুড়ে এদের আবাস, প্রায় ১৯ লাখ বর্গ কিলোমিটার।

  • সাপ সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা

    সাপ সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা

    সাপ সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা


    অভিজিৎ হাজরা * আমতা * হাওড়া :-
    সাপ সম্পর্কিত ভ্রান্ত ধারণা গলির মধ্যে একটি হল কার্বলিক অ্যাসিডের গন্ধে বুঝি সাপের উপদ্রব হয় না।সত্যিটা জেনে হাসিই পাবে-যে প্রাণীর ঘ্রাণশক্তি অত্যন্ত ক্ষীণ,প্রায় নেই বললেই চলে।তার উপর কার্বলিক অ্যাসিডের গন্ধে প্রভাব ফেলবে কি করে। খুব বিশদে প্রবেশ না করে মোটামুটি ভাবে বলা চলে সাপের নস্টিল বা নাসারন্ধ্র থাকা সত্ত্বেও এরা গন্ধ শুঁকতে পারে না কারণ এই নস্টিলের সহিত ব্রেণের সরাসরি কোনো যোগাযোগ নেই, সুতরাং গাঢ় ঘ্রাণশক্তি লাভ থেকে এরা বঞ্চিত বরং এদের অর্ধবিভক্ত জিভে কিছুটা কেমিক্যাল সেন্সিটিভ হওয়ায় সামান্যতম গন্ধ অনুভব করতে পারলে ও হাসনুহানা ফুল কিংবা কার্বলিক অ্যাসিডের গন্ধ পাবে এরীতিমত অসম্ভব। বরং ব্যাপারটা কিছুটা ঘুরিয়ে নাক ধরার মতো, সাপের প্রধান খাদ্য ইঁদুর,ব্যাঙ প্রভৃতি।তাই যেখানে এদের উপদ্রব বেশি সেখানে সাপের আনাগোনা বেশি। কার্বলিক অ্যাসিড পক্ষান্তরে ফেনলের নিজস্ব একটা উৎকট গন্ধ আছে। সেই ঝাঁঝালো অসহ্য গন্ধ ইঁদুর বা ব্যাঙের উপর কিছুটা প্রভাব ফেলে। ফলস্বরূপ তারা কার্বলিক অ্যাসিডের গন্ধ এড়িয়ে চলে। এদের অবর্তমানে সাপের আসার সম্ভাবনা কম কারণ শিকার যেখানে- সাপ ও সেখানে।
    দ্বিতীয় আরেকটি বড় কারন হচ্ছে এই ফেনল যৌগটি ততক্ষন স্থায়ী এবং নিজস্ব স্বকীয় গন্ধ ধরে রাখতে পারে যতক্ষন না বায়ুর সংস্পর্শে আসছে। কিন্তু আমারা তো কার্বলিক অ্যাসিড কিনে বোতলের মুখ ছ্যাঁদা করে, অথবা কোন কোন ছোট পাত্রে তুলা কিংবা কাপড়ের ছোট ছোট টুকরা রেখে তাতে কার্বলিক অ্যাসিড দিয়ে ভিজিয়ে রেখে দিই। ওখানেই গ্যাঁড়াকল, বায়ু চলাচল শুরু করে,ফেনল বায়ুর অক্সিজেন কতৃক অক্সিডাইসড অর্থাথ জারিত হয়ে বাদামী বর্ণের প্যারাবেঞ্জোকুইনন পরিণত করে এবং এই প্যারাবেঞ্জোকুইনন আবার দুইটি ফেনল মলিকিউলের সাথে হাইড্রোজেন বন্ড করে গোলাপী বর্ণের ফেনোকুইনন সৃষ্টি করে।এই পদার্থের মধ্যে ফেনলের কোন ধর্ম অবশিষ্ট থাকে না, এমনকি গন্ধ প্রায় লোপ পেতে বসে। ভেবে দেখুন টাটকা অবস্থায় যে গন্ধ সাপের উপর কোন প্রভাব বিস্তার করতে পারে না, সেই গন্ধ ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হওয়ার পরে ও কি সাপ সেই গন্ধ পেতে পারে!!!! ব্যাপারটা তবে বিজ্ঞান বিরুদ্ধ হয়ে যায়,এ অসম্ভব।তাই কার্বলিক অ্যাসিড নতুন হোক আর পুরাতন এর দ্বারা কোনো ভাবেই সাপ তাড়ানো যাবে না।(আপনার বাড়িতে কার্বলিক অ্যাসিডের বোতল থাকলে লক্ষ্য করবেন কেনার সময় দেখতে ছিল স্বচ্ছ কৃষ্টাল কিন্তু একমাস পর সেটা খানিক বাদামী খানিক কালচে গোলাপী হয়ে গেছে।)

  • জঙ্গলে জলের ওভাবে প্রচন্ড গরমে দিশেহারা হাতির দল জঙ্গল থেকে চলে আসছে গ্রামে একটু জলের খোঁজে।

    জঙ্গলে জলের ওভাবে প্রচন্ড গরমে দিশেহারা হাতির দল জঙ্গল থেকে চলে আসছে গ্রামে একটু জলের খোঁজে।

    জঙ্গলে জলের ওভাবে প্রচন্ড গরমে দিশেহারা হাতির দল জঙ্গল থেকে চলে আসছে গ্রামে

    নিজস্ব প্রতিবেদন:-
    প্রচণ্ড গরমের ফলে জঙ্গলে থাকতে পারছে না হাতি-সহ অন্যান্য বন্যপ্রাণীরাও। একদিকে প্রচন্ড গরম অন্যদিকে জলের অভাব, জঙ্গলের ভিতরে পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। তাই প্রচন্ড গরমের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য হাতি-সহ অন্যান্য বন্যপ্রাণীরা খাবারের সন্ধানের পাশাপাশি তেষ্টা নিবারণের জন্য জঙ্গল ছেড়ে লোকালয় চলে আসছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি। শনিবার প্রকাশ্য দিবালয়ে হাতির দল লোকালয়ে ঢুকে কোথাও পুকুরের ধারে, কোথাও জলাশয়ে, কোথাও বা খালের ধারে গিয়ে জলের সন্ধান করছে।যেভাবে হাতির দল দিনের বেলা বাড়ির উঠানে ঘোরাফেরা করছে তাতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন এলাকা জুড়ে। ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম, সাঁকরাইল, জামবনি, ঝাড়গ্রাম, বিনপুর, লালগড়, বেলপাহাড়ি থানা এলাকায় থাকা বিভিন্ন জঙ্গলে হাতির দল লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। কোথাও আবার দলছুট হাতি লোকালয়ে গিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। মাঠে গিয়ে হাতির দল ধান চাষের জমিতে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি করছে। সেইসঙ্গে সবজি চাষেরও জমিতে গিয়ে তান্ডব চালাচ্ছে। যার ফলে মাঠে থাকা বোরো ধান চাষের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন জঙ্গল লাগুয়া গ্রামগুলির বাসিন্দারা। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে আরও কয়েকদিন এভাবেই তাপমাত্রা থাকবে শুধু নয়, আরো তাপমাত্রা বাড়বে, লু বইতে পারে। তাই জঙ্গল ঘন না থাকায় হাতির দল জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসেছে জলের তেষ্টা মেটানোর জন্য। হাতির দল লোকালে চলে আসায় ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন এলাকায় হাতির হামলার আশঙ্কা ক্রমশ বেড়েই চলছে। বন দপ্তরের পক্ষ থেকে গ্রামবাসীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

  • নববর্ষে বাড়ির দরজায় আম পাতার তোরণ লাগানো হয় কেন জানেন?

    নববর্ষে বাড়ির দরজায় আম পাতার তোরণ লাগানো হয় কেন জানেন?

    নববর্ষে বাড়ির দরজায় আম পাতার তোরণ লাগানো হয় কেন জানেন?

    নিজস্ব প্রতিবেদন : আর মাত্র কয়েকটা ঘন্টা বাদেই পয়লা বৈশাখ। এদিন ব্যবসায়ীদের নতুন খাতার উদ্বোধন হয়। আমের পাতা লেগে যে হাওয়া বাড়িতে আসে, তাতে সংসারের সমৃদ্ধি হয় বলে মনে করা হয়। মনে করা হয় বজরংবলির প্রিয় ফল আম, আর সেই নিরিখে বাড়িতে আমের পাতা সদর দরজায় থাকলে, বাড়ির কোনও কাজে সংকট আসে না। একই সঙ্গে নির্বিঘ্নে বাড়িতে শুভ কাজ সম্পন্ন হয় বলে বিশ্বাস করেন বাঙালিরা।অনেকেই দোকানে বা বাড়িতে বছরের প্রথম দিনটিতে সদর দরজা সাজান আমপাতা দিয়ে। বাস্তু মতে সদর দরজায় আম পাতা দিয়ে সাজালে একাধিক উপকার মেলে। চৈত্রের অবসানে বৈশাখের শুরুতে গোটা বাংলা জুড়ে এই উৎসবে মেতে উঠবে বাঙালিরা। বৈশাখের প্রথম দিনের সকালে স্নান সেরে লক্ষ্মী ও গণেশের পূজার্চনা করে, নতুন জামা পরে শুরু হয় বাঙালির এই উৎসব। বেশ কয়েকটি মত অনুযায়ী মনে করা হয়, আমের পাতা মূলত দেবী লক্ষ্মীর প্রতীক। আর তার জন্যই বছরের প্রথম দিনটিতে বাড়ির সদর দরজায় রাখা হয় এই পাতা। এতে ঘরে লক্ষ্মীর প্রবেশ করবেন বলে আশা করা হয়।
    বাস্তুশাস্ত্র মতে মনে করা হয়, সদর দরজায় আমের পাতা রাখা হলে তা ঘরে, সংসারে পজিটিভ এনার্জি দেবে। এতে বাড়ি থেকে নেগেটিভ এনার্জি বেরিয়ে গিয়ে, ঘরে পজিটিভ এনার্জি আসবে বলে মনে করা হয়। মনে করা হয় যে দেবতা বজরংবলির প্রিয় ফল আম। সেই নিরিখে বাড়িতে আমের পাতা সদর দরজায় থাকলে, বাড়ির কোনও কাজে সংকট আসে না। একই সঙ্গে নির্বিঘ্নে বাড়িতে শুভ কাজও সম্পন্ন হয় বলে বিশ্বাস। এই প্রতিবেদনটি ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই লাইক কমেন্ট শেয়ার করুন। আপনারা দেখছেন বাংলা সার্কেল নিউজ জনগণের পক্ষে বাংলার সংবাদ।

  • জয়পুর জঙ্গলে আবারো প্রবেশ করল বুনো হাতির দল,

    জয়পুর জঙ্গলে আবারো প্রবেশ করল বুনো হাতির দল,

    জয়পুর জঙ্গলে আবারো প্রবেশ করল বুনো হাতির দল,

    রঞ্জিত কুন্ডু–বাঁকুড়া

    এতদিন বাঁকুড়া উত্তর বন বিভাগের বড়জোড়ার জঙ্গলে জামাই আদর খাবার পর সেই হাতির দল অনেকদিন পর আবারো ফিরে আসছে একের পর এক দল ভাগ হয়ে জয়পুর জয়পুর হয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতার জঙ্গলে ফিরে যাচ্ছে। প্রায় দীর্ঘ দিন ধরে বাঁকুড়া উত্তর বন বিভাগ বড়জোড়া রেঞ্জের ফেন্সিং এর মধ্যে অবস্থান করছিল। তাদের প্রতিদিন খাবার খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছিলেন বনদপ্তর , এবার সেই হাতি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হতেই হাতির আনাগোনা শুরু হলো বাঁকুড়ার জয়পুর জঙ্গলে। গতকাল ১৫ থেকে ২০ টি হাতির একটি দল প্রবেশ করে সেই দলটিকে গতকাল রাত্রিবেলাতে পাঠিয়ে দেয় পশ্চিম মেদিনীপুর গড়বেতার জঙ্গলে। সেই হাতির দল যেতে না যেতেই আবারো আজ ভোরে প্রবেশ করে ৩০ থেকে ৩৫ টি হাতির একটি দল হাতির দলটি আজ সোনামুখীর জঙ্গল থেকে ভোরের দিকে দারকেশ্বর নদী পেরিয়ে জয়পুর ব্লকের সামনগর অঞ্চলের তাঁতি পুকুরের রাস্তা পার হয়ে খুশির বাগান এলাকায় সারাদিন বিচরণ করার পর হাতিগুলিকে সন্ধ্যার দিকে আবারো পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলে পাঠানোর জন্য বিষ্ণুপুর পঞ্চায়েত ডিভিশনের বন কর্মীরা তৎপরতার সাথে হাতির গতিবিধির উপর নজর রেখে জয়পুর জঙ্গল থেকে গরবেতা বাকাদহ জঙ্গলে প্রবেশ করানোর চেষ্টা তারা চালিয়ে যাচ্ছেন। এমনটাই বনদপ্তর সূত্রে খবর। তবে বহুদিন পর আবারো জয়পুর জঙ্গলে হাতি দেখতে পাওয়ায় খুশি হাতি প্রেমিক মানুষদের। তবে এই সময় সে রকম ভাবে কোন ফসল নেই জমিতে তাই কোন ক্ষয়ক্ষতি হবার সম্ভাবনা খুব একটা নেই এবং এখন পর্যন্ত পাওয়া খবর কোন ক্ষয়ক্ষতি করেনি। এই হাতির দলটি।

  • “রহস্যময় হাকন্দ মন্দির”সেই মন্দিরকে নিয়ে প্রতিবছরের শুরু হয় হাকন্দ মেলা। এই মেলা চলে তিন দিন, চলে ঠাকুরের নাম সংকীর্তন।

    “রহস্যময় হাকন্দ মন্দির”সেই মন্দিরকে নিয়ে প্রতিবছরের শুরু হয় হাকন্দ মেলা। এই মেলা চলে তিন দিন, চলে ঠাকুরের নাম সংকীর্তন

    “রহস্যময় হাকন্দ মন্দির”সেই মন্দিরকে নিয়ে প্রতিবছরের শুরু হয় হাকন্দ মেলা। এই মেলা চলে তিন দিন, চলে ঠাকুরের নাম সংকীর্তন
    “””””””””””””””””””””””””””””””””””
    রাজ রাজার আমলেপাল ও সেন যুগের রহস্যময় আকন্দ মন্দিরকে নিয়ে লুকিয়ে আছে নানান রহস্য।
    ধর্ম পূজার আদি গ্রন্থ “শূণ্যপুরাণ” এর রচয়িতা ‘রামাই পণ্ডিত’ , “শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পুঁথি” প্রণেতা ‘অক্ষয় কুমার সেনের’ জন্মভিটা ও ধর্ম ঠাকুর স্মৃতি বিজড়িত ” হাকন্দ মন্দির” টি রাঢ় বঙ্গের বাঁকুড়া জেলার জয়পুর থানার দক্ষিণ পূর্বে “ময়নাপুর” গ্রামে অবস্থিত। কথিত আছে “মঙ্গল” কাব্যাখ্যাত ‘লাউ সেনের’ কন্যা ‘ময়নাবতী’ র নামে গ্রামের নাম হয় “ময়নাপুর”।
    গ্রামের মধ্যস্থলে অবস্হিত “ধর্ম মঙ্গল” কাব্যে উল্লেখিত “হাকন্দ পুষ্করিনী”। হাকন্দ শব্দের অর্থ হলো গোলাকৃতি কুণ্ড। ময়নাপুর বাজারে এই প্রাচীন পুষ্করিনী র সামনে অবস্থিত এই প্রাচীন হাকন্দ মন্দির। পশ্চিমমুখী পাথরের তৈরী সপ্তরথ নকশায় নির্মিত পীড়া দেউলটি বাঁকুড়া জেলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ পুরাকীর্তি।
    “নন্দবংশ” গ্রন্থের রচয়িতা চন্দ্রশেখর মুখোপাধ্যায়ের তৃতীয় পুত্র দ্যোতিনী প্রসাদ মুখোপাধ্যায় নিজ উদ্যোগে ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দে পুষ্করিনী টির সংস্কার করান। পুষ্করিনী সংস্কারের‌ সময়ে এর মধ্যস্থলে একটি পাথরের মন্দিরের চূড়া দেখতে পাওয়া যায়। একটি বাঁশের বাতা গভীরে চালনা করা হলে তা প্রায় ২৪ ফুট নীচে পাথরের বেদি তে গিয়ে বাধা প্রাপ্ত হয়। পর্যাপ্ত অর্থ না থাকার কারণে আর খনন কার্য্য চালিয়ে মন্দিরটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পরে তিনি কেন্দ্রীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগের নিকট আবেদন করেছিলেন এই রহস্যময় মন্দির উদ্ধারের । খনন কার্য্য চলা কালীন অনেক প্রাচীন মূর্তি এবং নানা অলঙ্কার উদ্ধার হয়, যেগুলি বর্তমানে বিষ্ণুপুর যোগেশচন্দ্র পুরাকৃতি ভবনে সংরক্ষিত আছে।
    অনেকে মনে করেন অনাবিষ্কৃত ওই মন্দির টি ধর্ম ঠাকুরের পূজারী রামাই পণ্ডিতের আসন কক্ষ ছিলো কেউ আবার মনে করেন এটি মাল্লারাজাদের কোনো গোপন কক্ষ ছিলো। এই হাকন্দ পুস্করিনী র জলকে গঙ্গা জলের ন্যায় পবিত্র মনে করেন এখানের অধিবাসীরা। কথিত আছে চৈত্র মাসে মধুকৃষ্ণ দ্বাদশী হতে চতুর্দশী তিথী পর্যন্ত অন্তঃসলিলা ভগবতী গঙ্গা এই পুষ্করীনিতে অবস্থান করে।
    বর্তমানে মন্দিরটি তে শিবলিঙ্গ থাকলেও এটি অতীতে ধর্ম ঠাকুরের মন্দির ছিলো বলে মনে করেন অনেকে।
    Archaeological Survey of India কাছে গ্রামবাসীদের একান্ত অনুরোধ বর্তমানে এই হাকন্দ মন্দিরটি অবহেলিত প্রায় ভগ্নাবশেষ অবস্থায় রয়েছে মন্দিরটি সংস্কারের প্রয়োজন তা না হলে অচিরে হারিয়ে যাবে এই স্থাপত্য।